ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ড্রাগন চাষে বাম্পার ফলন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ড্রাগন চাষে বাম্পার ফলন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী তিন উপজেলায় আম, কাঁঠাল, লিচু,পেয়ারা ও মাল্টার পর বিদেশী ফল ড্রাগন চাষেও এগিয়ে এসেছেন উদ্যোক্তারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী তিন উপজেলায় আম, কাঁঠাল, লিচু,পেয়ারা ও মাল্টার পর বিদেশী ফল ড্রাগন চাষেও এগিয়ে এসেছেন উদ্যোক্তারা। চলতি মৌসুমে মাল্টা ও ড্রাগন উৎপাদন করে লাভবান হয়েছেন কৃষকরা।
কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩ হেক্টর জমিতে ড্রাগনের আবাদ হয়েছে। অনুকুল আবহাওয়া ও সীমান্তবর্তী এলাকার মাটির গুনগত কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পূর্বাঞ্চলের তিন উপজেলা ইতোমধ্যে বিভিন্ন ফল উৎপাদনে দেশে প্রসিদ্ধ হয়ে উঠেছে।
জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে বিজয়নগর, কসবা ও আখাউড়ায় আম,কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা ও মাল্টা চাষের পর চলতি মৌসুমে বিদেশি ফল ড্রাগন চাষ করে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় চলতি মৌসুমে ৩ হেক্টর জমিতে বারি ড্রাগন -১ এর ৩.১২ মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ড্রাগন ফল হৃদরোগ, ডায়বেটিস সহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সক্ষম বলে জানান কৃষিবিদরা। উৎপাদন খরচ যেমন কম তেমনি ফুল থেকে ৪৫ দিনে ফল পাওয়া যায়।
লাল মাটির কারণে জেলার সীমান্তবর্তী মিষ্টির উপজেলা বলে খ্যাত তিন উপজেলার এসব এলাকার ফল যেমনি ফরমালিন ও বিষমুক্ত তেমনি খেতেও সুস্বাদু হওয়ায় দেশ বিদেশে খ্যাতি অর্জন করেছে এই এলাকার উৎপাদিত ফল। দূরদূরান্ত থেকে পাইকাররা এসে এসব বাগান থেকে আশপাশের জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করা করে যাচ্ছে।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক রবিউল হক মজুমদার জানান, দিনে দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ফলের আবাদ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জেলার ৩হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে ফল চাষ হচ্ছে। বর্তমানে আম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, মাল্টা সহ পাশাপাশি বিদেশি ফল ড্রাগন চাষ করে উদ্যোক্তারা সফল হওয়ায় তারা লাভবান হয়েছে। সরকারি ভাবে ড্রাগন চাষে তাদের আরও উৎসাহ দেওয়া হবে।
আরো পড়ুন
ড্রাগন চাষে স্বাবলম্বী গৃহিণী রাবেয়া
বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম
from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/133520/ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়-ড্রাগন-চাষে-বাম্পার-ফলন