সখীপুরে বনবিভাগের দুই কর্মকর্তাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

সখীপুরে বনবিভাগের দুই কর্মকর্তাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জুয়েল রানা, সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি :
সখীপুরে বনবিভাগের দুই কর্মকর্তাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

টাঙ্গাইলের সখীপুরে সামাজিক বনায়নের প্লট ও বন সৃজনের বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বন বিভাগের দুই কর্মকর্তাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন টাঙ্গাইল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার দুদকের টাঙ্গাইল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসেন বাদী হয়ে সখীপুর থানায় পৃথক  দুইটি মামলা করেন।

ওই দুইটি মামলার আসামিরা হচ্ছেন বন বিভাগের বাঁশতৈল রেঞ্জের সখীপুর উপজেলার নলুয়া বিট কর্মকর্তা আলাউদ্দিন (বর্তমানে সিলেট জেলায় বদলি) ও বহেড়াতৈল রেঞ্জের সদর বিটের সাবেক বন বিট কর্মকর্তা শহীদুল আলম (বর্তমানে রাজশাহী বন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনিস্টিটিউটে কর্মরত), বনায়ন ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাত্তার মিয়া, ঘাটেশ্বরী মৌজার সবুজ ছায়া সামাজিক বনায়ন সমিতির নাজিম উদ্দিন, আকবর হোসেন ও আবদুস সালাম।

মামলা সূত্রে জানা যায়, দুদকের সখীপুর থানায় দায়ের করা দুইটি মামলাতেই ওই দুই কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে- পাশাপাশি বন বিভাগের ওই দুই বিট কর্মকর্তাসহ সামাজিক বনায়ন কমিটির সংশ্লিষ্টরা যোগসাজস করে প্লট বরাদ্দের সময় উপকারভোগীদের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মামলার বাদী আমির হোসেন একটি মামলায় সামাজিক বনায়নের প্লট বরাদ্দের নামে উপকারভোগীদের কাছ থেকে ১৮ লাখ ৩০ হাজার ও সামাজিক বনায়ন সৃজন কাজে ব্যবহার না করে ২৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনেছেন। এ মামলায় বহেড়াতৈল রেঞ্জের সদর বিটের নবজাগরণ সামাজিক বনায়ন ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাত্তার মিয়াকে আসামি করা হয়েছে। অন্যদিকে অপর মামলায় বনায়নের প্লট বরাদ্দের নামে উপকারভোগীদের কাছ থেকে ৭ লাখ ৮০ হাজার ও সামাজিক বন সৃজনের কাজে ব্যবহার না করে ১৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় ওই দুই বন কর্মকর্তা ছাড়াও বহেড়াতৈল মৌজার ঘাটেশ্বরী এলাকার সবুজ ছায়া সামাজিক বনায়ন সমিতির নাজিম উদ্দিন, আকবর হোসেন ও আবদুস সালামকে আসামি করা হয়েছে।

সখীপুর থানার ওসি এসএম তুহিন আলী বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে জেলা দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসেন বাদী হয়ে ওই দুই বন কর্মকর্তাসহ ছয়জনকে আসামি করে টাকা আত্মসাতের পৃথক দুইটি মামলা করেছেন।