সখীপুরে আ’লীগ কার্যালয় ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করার  তিনদিন পর থানায় মামলা

সখীপুরে আ’লীগ কার্যালয় ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করার তিনদিন পর থানায় মামলা

জুয়েল রানা, সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : সখীপুর পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুর ও কার্যালয়ে টাঙানো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভেঙে চুরমার করার তিনদিন পর ওই মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে থানা পুলিশ। গত শনিবার রাতে ৮নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নূর মোহম্মদ, ফারুক হোসেন ও মাদকসেবী কামাল উদ্দিন, শিবলি, নাজমুল হাসানহ পাঁচজনকে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেছেন। এদিকে ঘটনার চারদিন পার হলেও অভিযুক্ত কোনো মাদকসেবীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মাদকসেবীদের নিয়ে শালিশী বৈঠক চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। কার্যালয়ে হামলা ও ছবি ভাংচুরের ঘটনার তিন দিন পর থানায় মামলা রেকর্ড হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় চলছে।

মামলার বাদী ও আরজির বর্ণনা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কামাল হোসেন (২৪), শিবলি (২২) ও নাজমুল হোসেন (২০) নামের তিন যুবক পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের মান্দাইপাড়া থেকে দেশিয় মাদক সেবন করে পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের মুচির পুকুরপাড় এলাকায় এসে মাতলামি শুরু করে। এক পর্যায়ে তাদের ভাড়া করা ব্যাটারি চালিত ভ্যানগাড়ির তিনটি চাকা ভেঙে ফেলে মাদকসেবীরা। পরে স্থানীয় লোকজন ওই তিন মাদক সেবীকে ধরে ৮নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহিদুল ইসলামের কাছে নিয়ে এলে কাউন্সিলর ৮নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম কার্যালয়ে বসে ওই তিন মাদক সেবীকে ওই ভ্যানগাড়ির ক্ষতিপূরণ বাবদ জরিমানা করে। সমাধানের শেষ পর্যায়ে ওই তিনজন পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ (২৭) ও স্থানীয় ফারুক (২৮) নামের দুই যুবককে জড়িয়ে কথা বললে তারা ছুটে আসে। ওই তিনজনের অভিযোগ মিথ্যা-এ কথা বলার পর কার্যালয়ের ভেতর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ভেতরে থাকা চেয়ার- টেবিলসহ কিছু আসবাবপত্র ভাংচুর হয়। এক পর্যায়ে দেয়ালে টাঙানো প্রধানমন্ত্রীর ছবিটি মেঝেতে পড়ে ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। ওই সময় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উভয়পক্ষকে শান্ত করতে না পেরে পুলিশে খবর দেয়। জানতে চাইলে মামলার বাদী মো. রফিকুল ইসলাম জানান, মিমাংসার অপেক্ষায় মামলা করতে দেরি হয়েছে।

৮নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, কোনোপক্ষই প্রধানমন্ত্রী ছবিটি দেয়াল থেকে খুলে ভাঙচুর করেনি। উভয়পক্ষের ধাক্কাধাক্কি ও চেয়ার নিয়ে ঠেলাঠেলির কোনে এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর ছবিটি মেঝেতে পড়ে ভেঙে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সখীপুর থানার উপপরির্শক (এসআই) মো. সাদেক জানান, গত শনিবার রাতে মামলা রেকর্ড হয়েছে। আসামিদের ধরতে প্রযুক্তিগত নানা কৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে।