সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের বক্তব্য ৩৭০০০ কোটি টাকা মাফ করার আপনি কে?
মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০১৬
ঢাকা প্রতিনিধি : ৩৭০০০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ অবলোপন করা হয়েছে উল্লেখ করে এর তীব্র সমালোচনা করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘এই অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে? এটা জনগণের টাকা, পেনশন ভোগীদের টাকা। এই টাকা আপনি মওকুফ করে দিয়েছেন। এই অধিকার আপনাকে আমরা দেইনি।’ মঙ্গলবার (২৮ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। তিনি বাজেটের সমালোচনা করে বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বিরাট বাজেট দিয়েছেন। বাজেট বড় হলেই জনগণের জনগণের কল্যাণ হবে তা বলা যাবে না। বাজেট দেয়ার পর ব্যবসায়ীরা বলেছেন এমন জটিল বাজেট তারা আর দেখেনি। তারা যদি এ কথা বলে তাহলে কিভাবে হবে?’ এ সময় ব্যাংকের অর্থ জালিয়াতকারী ও অর্থ পাচারকারীদের বিচারের দাবি জানান তিনি।
২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের বাজেটে সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা না থাকায় তিনি উল্লেখ করে বলেন, ‘যারা লুটেরা তাদের বিচার করতে পারেন না। তারা মাথা উঁচু করে চলা ফেরা করেন। আমার আমলে তো কোনো ব্যাংক জালিয়াতি হয়নি। পারলে দেখান আমার সময় কোন ব্যাংক লুটপাট হয়েছে। আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।’
২০১১-১২ সালে শেয়ারবাজারে ধস নেমেছিল উল্লেখ করে সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমরা এখনও তা কাটিয়ে উঠতে পারিনি। আমি শেয়ার বাজারে গিয়েছিলাম। কান্না শুনেছি, আর্তনাদ শুনেছি। জনাব ইব্রাহীমের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির রিপোর্ট আমরা জানতে পারিনি, কোন প্রভাবও দেখিনি। তাহলে এই কমিটি করে লাভ কী?’
২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের বাজেটে সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা না থাকায় তিনি উল্লেখ করে বলেন, ‘যারা লুটেরা তাদের বিচার করতে পারেন না। তারা মাথা উঁচু করে চলা ফেরা করেন। আমার আমলে তো কোনো ব্যাংক জালিয়াতি হয়নি। পারলে দেখান আমার সময় কোন ব্যাংক লুটপাট হয়েছে। আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।’
২০১১-১২ সালে শেয়ারবাজারে ধস নেমেছিল উল্লেখ করে সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমরা এখনও তা কাটিয়ে উঠতে পারিনি। আমি শেয়ার বাজারে গিয়েছিলাম। কান্না শুনেছি, আর্তনাদ শুনেছি। জনাব ইব্রাহীমের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির রিপোর্ট আমরা জানতে পারিনি, কোন প্রভাবও দেখিনি। তাহলে এই কমিটি করে লাভ কী?’