গোপালপুরের প্রশাসনকে তোয়াক্কা নাকরে চলছে বৈশাখী মেলার নামে রাতভর জুয়া ও অশ্লীল নৃত্য

গোপালপুরের প্রশাসনকে তোয়াক্কা নাকরে চলছে বৈশাখী মেলার নামে রাতভর জুয়া ও অশ্লীল নৃত্য

মোঃ নূর আলম গোপালপুর :  টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নলিন বাজার নামক স্থানে বৈশাখী মেলায় লটারীর নামে জুয়া ও পুতুল নাচ ও যাদু প্রদর্শণের নামে রাত ভার উলঙ্গ নৃত্য পরিবেশিত হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলার প্রতি নজর রেখে সারা দেশে বিকাল ৫ টার পরে বৈশাখী মেলা বন্ধ থাকার কথা থাকলেও টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পরিলক্ষিত হচ্ছে এর ভিন্ন চিত্র। মেলার নামে এ অনুষ্ঠান চললেও নলিন বাজার তথাকথিত মেলায় কোন স্টল নেই । 

শুধু লটারী, জুয়া আর অশ্লীন নৃত্য ছাড়া অন্যকোন কিছুর অস্তিস্ত লক্ষ্য করা যায়নি। এই প্রতিনিধি গোপালপুর থানার ওছি, ইউ এন ও, সার্কেল এস পি তাদের সাথে যোগাযোগ করে অভিযোগ দিলে ১৭ এপ্রিল ৪ বৈশাখ ইউ এন ও মাসুমুর রহমান এবং ওছি আব্দুল জলিলের যৌথ অভিযানে মেলার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। 

১৮ এপ্রিল ৫ বৈশাখ সন্ধ্যার পরে যথারীতি জুয়া, অশ্লীল নৃত্য ও মাদকের জমজমাট আসর বসে। মেলার পরিচালক লাবু খা ও জাকির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান স্থানীয় প্রশাসনকে মোটা অঙ্কের টাকা প্রদান করে মেলা পুনরায় চালু করেছেন বলে তারা জানান। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইউএনও ও ওসি’র সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। 

গোপালপুরের ইউএনও এবং ওসি আব্দুল জলিল খানের সাথে পৃথক পৃথক ভাবে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ময় প্রকাশ করে বলে – মেলা বন্ধ করে দিয়ে এলাম কিন্তু কিভাবে চলছে ? প্রত্তুত্তরে তাদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করা হয়েছে বলে জানালে তারা দুজনই আরো বিশ্ময় প্রকাশ করেন। তারা জানান এখনই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বন্ধ করার ব্যবস্থা করছি। কিন্তু তা হলো না। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে আলকোজ্জ্বল রঙ্গ মঞ্চে রাত ভর অশ্লীল নৃত্য চললো, জুয়ার তিনটি আসর চললো, চললো লটারী । 

এলাকাবাসীর প্রশ্ন “লাবু ও জাকির হোসেন প্রশাসন ম্যানেজ করেছেন ? আমাদের ভাষ্য- প্রশাসনের দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিবর্গের সাথে যোগাযোগ করার পরে বন্ধ করার পরেও কোন খুঁটির জোড়ে লাবু জাকিররা এমন ধৃষ্টতা প্রদর্শন করে রাতভর অশ্লীল নৃত্য, জুয়া চালাচ্ছে নির্বিগ্নে সেটাই জিজ্ঞাসা ।