বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে ১৭৫ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে ১৭৫ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

বিশেষ প্রতিবেদক :  পার্বতীপুর উপজেলার ৫৪ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৭৫ শিক্ষক-শিক্ষিকা গত শনিবার স্কুল বন্ধ রেখে পিকনিকে যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সোমবার জেলা শিক্ষা অফিসার স্বাক্ষরিত চিঠিতে লিখিতভাবে তাদের সর্তক করা হয়েছে।

দুই ভাগে বিভিক্ত হয়ে শনিবার সকালে পার্বতীপুর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়ন ক্লাস্টারের ২৭ ও পলাশবাড়ী ইউনিয়ন ক্লাস্টারের ২৭ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একদিনের সংরক্ষিত ছুটি নিয়ে যথাক্রমে রংপুরের ভিন্নজগত ও নবাবগঞ্জের স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পটে যান। তাদের সঙ্গে অতিথি হিসেবে ছিলেন দুই সহকারী শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান ও আজিজুল হক।

শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বিঘ্ন ঘটিয়ে একযোগে এতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করায় চারিদিকে হৈচৈ পড়ে যায়। কথা উঠেছে শিক্ষকদের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত শিক্ষকরা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে সুকৌশলে কাজটি করেছে। এদের খুঁজে বের করা দরকার।

পার্বতীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতা মোফাজ্জল হোসেন বাবু, মোকাররম হোসেন, মতিয়ার রহমান ও সমরেশ বলেছেন, তারা পাওনা সংরক্ষিত ছুটি নিয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে পিকনিকে গেছেন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আখতারুল ইসলাম বলেছেন, সংরক্ষিত ছুটি প্রধান শিক্ষকের হাতে থাকে। তবে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ছুটি ভোগ করার নিয়ম। তবে এ কাজ করে তারা বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

ইউএনও তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেছেন, শিক্ষকরা কাজটি মোটেও ভাল করেননি। ছুটির দিনে পিকনিকে গেলে সমস্যা কী ছিল।

সোমবার দুপুরে জেলা শিক্ষা অফিসার জানান, এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদের প্রাপ্য সংরক্ষিত ছুটি তারা ভোগ করতেই পারে। তবে এভাবে নয়। শিক্ষকদের জোটবদ্ধ হয়ে এভাবে ছুটি ভোগের চাতুর্যের কারণ খুঁজে বের করা হবে।  জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।