পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে

পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে

বিশেষ প্রতিবেদক, টাঙ্গাইলদর্পণডটকম :  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘১৯৮১ সালে দেশে ফিরে এসে ঘোষণা দিয়েছিলাম পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা রাজনৈতিক সমস্যা, সামাজিক শক্তি দিয়ে নয়, রাজনৈতিকভাবেই এর সমাধান করতে হবে।’

বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরকালে রাঙামাটি’র সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদারের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামের সংঘাত নিরসনে মনোযোগ দেই। এ উদ্দেশ্যে আমরা গঠন করি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি। আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন বাস্তব প্রচেস্টার ফলে পার্বত চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সঙ্গে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

তিনি বলেন, এই চুক্তির ফলে ২২ বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে বয়ে চলেছে শান্তির সুবাতাস।

জনগণের সার্বিক নিরাপত্তাসহ স্বাভাবিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একই সঙ্গে তিনি জানান, নাশকতার মামলায় যারা জামিন পেয়েছে তারা যাতে পুনরায় অনুরূপ অপতৎপরতা চালাতে না পারে সেজন্য তাদেরকে নিবিড় নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরকালে সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা ঝুঁকি পর্যালোচনা করে জনসাধারণের নিরাপত্তা ও জন-শৃঙ্খলা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের মাধ্যমে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ জনসাধারণের সম্পদ ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জনগণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, শান্তিপূর্ণ ও স্বাভাবিক আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি বজায় রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান সংসদ নেতা।

প্রধানমন্ত্রী আরো জানান, পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রতিটি অভিযোগ যথাযথভাবে তদন্ত করে অভিযোগের গুরুত্বানুসারে চাকরি হতে বরখাস্থসহ বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, নাশকতামূলক ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিষয়ে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য যাচাইপূর্বক এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নাশকতার মামলায় যারা জামিন পেয়েছে তারা যাতে পুনরায় অনুরূপ অপতৎপরতা চালাতে না পারে সেজন্য তাদেরকে নিবিড় নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এছাড়া বিদেশি নাগরিকদের বসবাসের এলাকা ও চলাচলের রাস্তাসমূহে গোয়েন্দা কার্যক্রম অধিকতর জোরদার করা হয়েছে।

ডিপ্লোমেটিক এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ চলমান টহল আরো নিবিড় ও চেকপোস্ট ডিউটি জোরদার করা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।