এ মুহূর্তে জিকা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কম অধ্যাপক ড. মাহমুদুর রহমান

এ মুহূর্তে জিকা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কম অধ্যাপক ড. মাহমুদুর রহমান

স্বাস্থ্য ডেক্স : ডেঙ্গুবাহী এডিস মশার মাধ্যমেই জিকা ভাইরাস সংক্রমণ ঘটে। দেশে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে চলমান কর্মসূচি আরও জোরদার করার মাধ্যমে জিকা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিমুক্ত থাকা সম্ভব।

দেশে এ মুহূর্তে জিকা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কম বলে মনে করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইন্টারন্যাশনাল হেলথ রেগুলেশন (আইএইচআর) কমিটির সদস্য ও মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পরিচালক রোগতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. মাহমুদুর রহমান।

জাগো নিউজের এ প্রতিবেদক সম্প্রতি বিশ্বব্যাপি বহুল আলোচিত জিকা ভাইরাসের ঝুঁকি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ড. মাহমুদুর রহমান বলেন, আজ হউক বা কাল হউক যেকোনোভাবে দেশে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটতেই পারে। তবে এ নিয়ে এখনও আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার কোনো কারণ রয়েছে বলে তিনি মনে করেন না।

তিনি বলেন, জ্বর ও গায়ে লালচে রেশ ওঠা জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ। শতকরা ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে রোগী ওষুধপত্র ছাড়াই সুস্থ হয়ে যায়। তবে গর্ভবতী মায়েদের জিকাবাহী এডিস মশা কামড়ালে তাদের সন্তানদের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যা সত্যিই উদ্বেগজনক। ব্রাজিলে একই সঙ্গে এ ধরনের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুর জন্মগ্রহণের পর গোটা বিশ্বে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় বলে তিনি জানান।

ড. মাহমুদুর রহমান বলেন, সিটি কর্পোরেশন কিংবা পৌরসভায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে যে স্প্রে কার্যক্রম পরিচালিত হয় তা মূলত বাড়ির বাইরে ছিটানো হয়। কিন্তু এডিসমশা ঘরের ভেতর ও আঙ্গিনায় জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে জন্মায়।

ফলে ডেঙ্গু বা জিকা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও সংক্রমণমুক্ত থাকার বিষয়টি জনগণের সচেতনতার ওপর অধিক নির্ভরশীল। এ মুহূর্তে জনগণকে জিকা ভাইরাস নিয়ে বলার মতো কোনো কারণ আছে বলে তিনি মনে করেন না বলে মন্তব্য করেন।