আ’লীগ ক্ষমতায় এলে দেশে উন্নয়ন হয়

আ’লীগ ক্ষমতায় এলে দেশে উন্নয়ন হয়

বিশেষ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ ত্যাগ স্বীকারকারী সংগঠন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে দেশে তখন উন্নয়ন হয়।

শনিবার (০৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যে সংগঠন ত্যাগ স্বীকার করে- যে সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে- সে সংগঠনের দ্বারা দেশে উন্নয়ন হয়। যুদ্ধের পর দেশ চালানো এবং যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ চালানো সহজ কথা নয়। সে সময় জাতির পিতার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য ’৭৫-এ তাকে হত্যা করা হলো।

’৭১ সালে যুদ্ধের ভয়াবহতা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, তখন পাকিস্তানিরা বলতো- ‘মিট্টি মাঙ্গেতা হে আদমি নেহি’, (অর্থ মাটি বা ভূমি চাই, মানুষ নয়) এটি ছিল পাকিস্তানিদের কথা। তখন গর্ভবতী মাকে হত্যা করা হয়, তার পেটের সন্তানকে খুঁচিয়ে মারা হয়। ছোট্ট শিশুদের হত্যা করে পাকিস্তানের পতাকা লাগিয়ে রাখা হয়েছিল। আরও কত না নির্মম হত্যাকাণ্ড করে তারা!

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের পর জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর কমপক্ষে ৫৬৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ‍ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছেন। দেশের বিভিন্ন কারাগারে প্রতি রাতে শত-শত সেনা কর্মকর্তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে তখন। দেশে শুরু হয় ক্যু-পাল্টা ক্যু’র রাজনীতি। তিনি (জিয়া) যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় বসান, রাষ্ট্রপতি-মন্ত্রী-এমপি করেন।

‘খালেদা জিয়া সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি দুর্নীতি-অনিয়ম, অত্যাচার-নির্যাতন চালায়। এর ফলে ১৯৯৬ সালে জনরোষে বিদায় নিতে বাধ্য হয়, ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন করেও টিকে থাকতে পারেনি দলটি’।

২০০১ সালে বিএনপি, জামায়াত দলের সমর্থনেই ক্ষমতায় এসেছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, সেবার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মতোই অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছিল দেশজুড়ে। বাবা-মা নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে নয় বছরের শিশুকে পর্যন্ত ধর্ষণ করা হয়।

১৯৯৬ সালে একবার ও ২০০৮ সালের পর থেকে দু’বার ক্ষমতায় আসার প্রেক্ষাপট ও তিনবারের সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি যুক্ত করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন হয়, দেশের মানুষ কিছু পায়।

উন্নয়নের প্রসঙ্গ এনে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহার ছিল ভিশন-২০২১। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে কিভাবে গড়ে তুলতে চাই, সেটাই ভিশন। শুধু তাই নয়- এখনই আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, বৈদেশিক রিজার্ভ বেড়েছে। বিশ্ব স্বীকৃতি পেয়েছি। আমরা দক্ষতার সঙ্গে দেশ চালিয়েছি বলেই এমনটা পেরেছি।

বলেন, প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা জয়, ভারতের সঙ্গে স্থল সীমানা চুক্তি- সব আমাদের সময়ই হয়েছে। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে ছিটমহল/ভূমি নিয়ে যুদ্ধ হয়, ঝামেলা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে তা হয়নি। এটি আমরা পেরেছি।

প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন, ১২ জানুয়ারি আমরা শপথ গ্রহণ করেছিলাম। টানা দ্বিতীয়বার আমরা দেশ চালাচ্ছি এবং দ্বিতীয় মেয়াদে ২ বছর পূর্ণ হবে আগামী ১২ তারিখ (জানুয়ারি)।