ভবনটি ছিল গ্রেনেড, বোমা তৈরি এবং প্রশিক্ষণকেন্দ্র!

ভবনটি ছিল গ্রেনেড, বোমা তৈরি এবং প্রশিক্ষণকেন্দ্র!

বিশেষ প্রবিবেদক : মিরপুরে-১ নম্বরে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে যে ছয়তলা ভবনটিতে তল্লাশি চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেই ভবন থেকে বিপুল পরিমাণে বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তীতে বোমাগুলো বিশেষ সতর্কতার সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানায় মিরপুরের ওই বাড়িটি ছিল একাধারে গ্রেনেড ও বোমা তৈরি এবং প্রশিক্ষণকেন্দ্র। তাঁদের দাবি, চার মাসে ওই জঙ্গি আস্তানায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বরের এ ব্লকের নয় নম্বর সড়কের একটি ছয়তলা বাড়িতে ১৪ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। ওই বাড়ি থেকে ১৬টি হাতে তৈরি গ্রেনেড ও দুটি ককটেল উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হয়। পরে গ্রেপ্তার তিনজনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে শাহ আলী থানায় একটি মামলা করেছেন ডিবির বোমা অপসারণ ও নিষ্ক্রিয়করণ দলের পরিদর্শক শফিউদ্দীন শেখ। ওই মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি।

ডিবির বোমা অপসারণ ও নিষ্ক্রিয়করণ দলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ছানোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে বাড়িটিতে গ্রেনেড তৈরির পাশাপাশি সেটি জঙ্গিদের প্রশিক্ষণকেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। ওই বাড়ি থেকেই চলমান জঙ্গি কর্মকাণ্ডের গ্রেনেড ও বোমা সরবরাহ করা হচ্ছিল।

কর্মকর্তারা বলেন, এর আগে গত সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রামে একটি মাজারে বোমা হামলার পর গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিরা জানিয়েছিলেন যে মিরপুরের একটি ছয়তলা বাসায় তাদের বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।