আত্মসমর্পণের পর গয়েশ্বর কারাগারে

আত্মসমর্পণের পর গয়েশ্বর কারাগারে

রাজনীতি ডেক্স : রামপুরা থানার দায়ের করা হত্যা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার ঢাকা মহানগর দায়েরা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গতকাল মঙ্গলবার এ মামলাটিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের পলাতক দেখিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা, সালাউদ্দিন আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, হাবিবুর রহমান হাবিব ও শফিকুল ইসলাম বাদশা।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ২১ জনের ব্যাপারে আইনজীবী কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। অন্যদিকে, খোকাসহ ১৪ জন পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

২০১৫ সালের ২০ মার্চ রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মামুনুর রশিদ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ১৪ জনকে পলাতক দেখিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।

২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর রামপুরা থানাধীন মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় বিএনপি-জামায়াতের ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচি পালনের সময় ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ওই ঘটনায় মানসুর প্রধানিয়া নামে একজন মারা যান। ৩০ ডিসেম্বর ওই ঘটনায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল মামুন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।