সখীপুরে দুটি গ্রামকে ‘বাল্যবিবাহ মুক্ত’ ঘোষণা

সখীপুরে দুটি গ্রামকে ‘বাল্যবিবাহ মুক্ত’ ঘোষণা

জুয়েল রানা, সখীপুর প্রতিনিধি :  টাঙ্গাইলের সখীপুরে দুটি গ্রামকে ‘বাল্যবিবাহ মুক্ত’ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় সখীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গান্ধিনাপাড়া এলাকার পাঠশালা স্কুল মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গান্ধিনাপাড়া’ ও ‘হিজলপাড়া’ নামের দুই গ্রামকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হয়। সেন্টার ফর ম্যাস অ্যাডুকেশন ইন সায়েন্স (সিএমইএস) নামের একটি বেসরকারি সংস্থার সখীপুর শাখা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

 সখীপুর পৌরসভার মেয়র আবু হানিফ আজাদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ওই দুই গ্রামের ৪৩৩ পরিবারের অভিভাবকদের তাঁদের ছেলে-মেয়েদের প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না বলে অঙ্গীকার করান। এসময় সখীপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফিরোজা আক্তার, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আবদুল মালেক, দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম, সিএমইএসের ইউনিট সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর আলম, জেন্ডার কর্মসূচি সংগঠক মোতালেব হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সখীপুর সিএমইএসের জেন্ডার কর্মসূচি সংগঠক মোতালেব হোসেন জানান, ‘আমাদের সংস্থার একটি দল উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের হিজলপাড়া ও সখীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গান্ধিনাপাড়া নামের দুই গ্রামে গত দেড় মাস ধরে জরিপ চালায়। জরিপদল ওই দুই গ্রামে ৪৩৩ পরিবারে বাল্যবিয়ের ঝুঁকি রয়েছে বলে চিহ্নিত করে। ওই সমাবেশে অভিভাবকদের আমন্ত্রন জানিয়ে তাঁদের ছেলেদের ২১ ও মেয়েদের ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেবে না বলে অঙ্গীকারপত্রে সই নেওয়া হয়।’ মোতালেব হোসেন দাবি করেন, এর আগেও সখীপুর উপজেলার আরও ছয়টি গ্রামকে বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ওইসব গ্রামে কোথাও বাল্যবিয়ে হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য আমাদের কর্মীরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন।


সমাবেশে আসা হিজলপাড়া গ্রামের সোহরাব আলী ও সোহরাওয়ার্দী বলেন, ‘আমরা নিজেদের ইচ্ছায় ওই অঙ্গীকারপত্রে সই দিয়েছি। আমরা হাত তুলে শপথ নিয়েছি ১৮ বছরের আগে আমাদের মেয়েদের বিয়ে দিব না।’