‘তারেকই কাইয়ুমকে নির্দেশ দিয়েছে’-মাহবুব-উল আলম হানিফ

‘তারেকই কাইয়ুমকে নির্দেশ দিয়েছে’-মাহবুব-উল আলম হানিফ

রাজনীতি ডেক্স : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘ইতালির নাগরিক তাভেল্লা সিজারের হত্যাকারী চারজনকে আটক করা হয়েছে। তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে, তাতে উঠে এসেছে, এক বড় ভাইয়ের নির্দেশে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। আমি বলতে চাই, বিএনপি নেতা কাইয়ুম কমিশনারকে তারেক রহমানই নির্দেশ দিয়েছে।’ গোয়েন্দা সংস্থা খোঁজ নিলেই এ তথ্য বেরিয়ে আসবে বলেও মনে করেন তিনি।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত ২ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত জনসভা সফল করার লক্ষে এক বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

হানিফ বলেন, ‘এ বড় ভাই তারেক রহমান লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করছে। তারা নতুন ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। খালেদা জিয়া যখন চিকিৎসার নামে লন্ডনে গিয়েছিল তখনই অনেকে সন্দেহ করেছি। ওই কু-পুত্র তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে গিয়ে ষড়যন্ত্র করবে।’

জাতীয় সংসদ অকার্যকর- ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এমন প্রতিবেদনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘টিআইবির প্রতিবেদন ষড়যন্ত্রের অংশ। তারা বিএনপির এজেন্ট হিসেবে ও বিদেশি প্রভুদের পরামর্শেই এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘টিআইবি বলেছে, সংসদ অকার্যকর। তারা তো বলবেই, কারণ, সব ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য হয়েছে। তাহলে বোঝাই যায়, ষড়যন্ত্র কোথা থেকে হচ্ছে। টিআইবি ফর্মুলা দিয়েছে, একটি নির্বাচন দিলে ও বিএনপি ক্ষমতায় আসলে নাকি সংসদ কার্যকর হবে। কিন্তু বিএনপি বিরোধী দল থাকাকালে অশালীন ভাষা ও খিস্তি খেউর ছাড়া কিছুই হয়নি। সংসদ অকার্যকর করতে যা যা করা দরকার বিএনপি তাই করেছে। টিআইবির মন্তব্য তাদের নয়। এটা বিএনপির এজেন্ট হিসেবে ও বিদেশি প্রভুদের পরামর্শের প্রতিবেদন।’

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘সরকারকে ব্যর্থ করার জন্যই দুই বিদেশি নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। আর পশ্চিমা বন্ধুরাও রেড এলার্ট জারি করলেন। আমি বলব, বাংলাদেশে কোনো আইএস ও জঙ্গি নেই। আমাদের ওপর জোর করে আইএস ও জঙ্গি ইস্যু চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।’

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘দেশে জঙ্গি নেই। যা আছে তা বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে। বাংলা ভাই, হরকাতুল জিহাদ এমন সব খণ্ড খণ্ড নাম দিয়ে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। যদি জঙ্গি খুঁজতে হয়, তা বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে খুঁজুন।’

কৃষক লীগ সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুননেছা ইন্দ্রিরা, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক রেজা প্রমুখ।

তথ্যসূত্র : বাংলামেইল২৪ডটকম।