মৃত্যুতেও গাঁটছড়া ভাঙেননি তারা

মৃত্যুতেও গাঁটছড়া ভাঙেননি তারা

ওপার-বাংলা ডেক্স : কঠিন মৃত্যুকে বেছে নেওয়ার সময়েও গাঁটছড়া ভাঙেননি তারা। হয়তোবা অভাবই মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছিল তাদের। ছেলেও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল বাবা-মা থেকে। অসহায়ত্ব সইতে পারছিলেন না তারা। পূজার কারণে শহর যখন উৎসবমুখর, তখনই অত্যন্ত বেদনা বুকে বয়ে মৃত্যুর হিমশীতল পথকেই বেছে নিলেন। সুইসাইড নোট তো বলছিল তাই।

মাস ছয়েক আগে কলকাতার কসবা এলাকায় নিউ বালিগঞ্জের একটি আবাসনের দোতলার ফ্ল্যাটে ভাড়া আসেন সমীররঞ্জন চক্রবর্তী এবং দেবযানী চক্রবর্তী। একই ফ্ল্যাটে থাকতেন গৃহকর্তার বোন স্বাগতাও। রবিবার ব্যক্তিগত কাজে বাইরে যান তিনি। বুধবার বাড়ি ফিরে দেখেন ফ্ল্যাটের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ রয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা। কসবা থানার পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘর থেকে ঘুমের ওষুধের একটি খালি পাতা পাওয়া গিয়েছে। মিলেছে সুইসাইড নোটও। সুইসাইড নোটে ওই দম্পতি জানিয়েছেন, টিউশন পড়িয়ে সংসার চালানোর খরচ সামলাতে পারছিলেন না সমীরবাবু। ছেলেও বাবা-মাকে দেখত না। চক্রবর্তী দম্পতির এই পরিণতিতে হতবাক তাদের প্রতিবেশীরা। তারা বলছেন,  ওরা খুব শান্ত ছিল। খুব ভাল ছিল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গৃহকর্তা সমীররঞ্জনবাবু আগে শিক্ষকতা করতেন। তার একমাত্র ছেলে দিল্লিতে কর্মরত। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ছেলের সঙ্গে বনিবনা ছিল না এই প্রৌঢ় দম্পতির।

আর্থিক সমস্যা থেকেই ওই দম্পতি আত্মহত্যা করেছে বলেই পুলিশের অনুমান।

তথ্যসূত্র : আনন্দবাজার, এবিপি আনন্দ