সন্দ্বীপে জোড়া খুন! যুবলীগ নেতা অস্ত্রসহ গ্রেফতার

সন্দ্বীপে জোড়া খুন! যুবলীগ নেতা অস্ত্রসহ গ্রেফতার

ক্রাইমনিউজ ডেক্স : সন্দ্বীপে জোড়া খুনের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা ফজলে এলাহী মিশুসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও বেশ কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর সন্দ্বীপ উপজেলার বাতেন মার্কেট এলাকায় পশুর হাটে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন যুবলীগকর্মী জাহাঙ্গীর আলম ও পথচারী হুমায়ুন কবির।

বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত উপজেলার বাউরিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশের দাবি, অস্ত্র উদ্ধারে গেলে মিশুর সহযোগীরা গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে মিশু ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। গ্রেফতার মিশু সন্দ্বীপ পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।

পুলিশ জানায়, বুধবার দিবাগত রাতে খুলনার গোয়ালন্দ ঘাট থেকে মিশুকে এবং বৃহস্পতিবার অন্য তিনজনকে সন্দ্বীপ উপজেলার সন্তোষপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার অন্য তিনজন হলেন রুবেল (২০), লুৎফর (২২) ও রিয়াজ (২৫)। তাদের বাড়ি উপজেলার বাউরিয়ায়।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা পুলিশের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানানো হয়।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, “জোড়া খুনের ঘটনার পর ১৭ দিন ধরে অভিযান চালানো হচ্ছিল। প্রধান আসামি মিশু খুলনায় লুকিয়ে ছিল। অভিযানের খবর পেয়ে সে খুলনা থেকেও পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় গত বুধবার রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থেকে মিশুকে গ্রেফতার করা হয়। বাকি তিনজনকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয় সন্দ্বীপের সন্তোষপুর এলাকা থেকে।”

পুলিশ সুপার কে এম হাফিজ আরো জানান, মিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, ডাকাতিসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে। পরে মিশুর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তার বাড়িসহ বিভিন্ন স্থান থেকে দুটি পিস্তল, দুটি বন্দুক, দুটি শটগান, গুলি, দেশীয় তৈরি অস্ত্র ও ১০টি কিরিচ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার জানান, এর আগেও এ হত্যা মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই নিয়ে এ মামলায় আটজনকে গ্রেফতার করা হলো।

গত ২২ সেপ্টেম্বর নিহত যুবলীগকর্মী জাহাঙ্গীর আলমের বাবা মহসীন আলী ৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।