অর্থনৈতিক অঞ্চল ১০০তে উন্নীত করার পরিকল্পনা

অর্থনৈতিক অঞ্চল ১০০তে উন্নীত করার পরিকল্পনা

File Image
টাঙ্গাইলদর্পনডটকম :  দেশের অধিকতর উন্নয়নে পর্যায়ক্রমে অর্থনৈতিক অঞ্চল ১০০তে উন্নীত করার বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর জন্য স্থানীয় ও বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্টের লক্ষ্যে নতুন ধারণা নিয়ে কাজ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আজ বুধবার তার কার্যালয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের গভর্নিং বোর্ডের তৃতীয় বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা তথ্য জানান। বৈঠকে অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের কর্মকান্ডের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হয় বলে প্রেস সচিব জানান।

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেইন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সভায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. এস এ সামাদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং সংশ্লিষ্ট সচিবগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যে দেশে ২১টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিনিয়োগ, শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে এ সংখ্যা ১০০তে উন্নীত করার লক্ষ্যে তাঁর সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এতে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি আরো গতিশীল হবে বলে তিনি এ কথা উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কয়েকটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সঙ্গে আরো অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় এ ধরনের স্থান নির্ধারণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বিভিন্ন অঞ্চলের সম্ভাবনার বিষয় বিবেচনায় নেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংশ্লিষ্ট এলাকার সম্পদের পর্যাপ্ততার ভিত্তিতে বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ওইসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিবেচনায় নিতে হবে। শ্রমঘন শিল্প প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। তিনি উৎপাদনের বহুমুখীকরণ, শিল্পায়ন এবং বাজারজাতের দিকে নজর দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

সংসদ নেতা বলেন, বিভিন্ন ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী উদ্যোক্তাদের তাদের নিজেদের উদ্যোগে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা স্থাপন করতে পারেন। এ প্রসঙ্গে তিনি কর্তৃপক্ষকে ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থা বিবেচনায় নিতে এবং পানি সংরক্ষণাগার ও বৃষ্টির পানি ধরে রাখার বিধান সংযোজনের কথাও মনে করিয়ে দেন। মানুষের আয় অনেক বেড়েছে, একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ বাজারও সম্প্রসারিত হচ্ছে- এ প্রেক্ষাপটে মহাজোট নেতা আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের চাহিদার ভিত্তিতে স্থানীয়ভাবে শিল্প প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জমি খুবই উর্বর। এখানে আরো কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থান করতে হবে। তিনি ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে তার দৃঢ় আশাবাদের কথাও ব্যক্ত করেন।