বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

বিশেষ প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রকল্পের ‘স্যাটেলাইট সিস্টেম’ ক্রয়সহ দুটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সচিবালয়ে মঙ্গলবার বিকেলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, বঙ্গবন্ধু উপগ্রহে স্যাটেলাইট সিস্টেম ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। টার্ণ-কি পদ্ধতিতে এটি কিনতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৯৫১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। আর এ কাজটি করবে ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান থেলাস এলিনিয়া স্পেস।

এক প্রশ্নে জবাবে তিনি জানান, স্যাটেলাইট সিস্টেম ক্রয়ের বিষয়টি এ প্রকল্পের মূল কাজ। এর আগে প্রকল্পের দুটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একটি স্লট ক্রয় ও অপরটি পরামর্শক নিয়োগ।

তিনি বলেন, মোহাম্মদপুর ‘এফ’ ব্লকে সীমিত আয়ের লোকদের কাছে বিক্রির জন্য ১ হাজার ২০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১৬ তলা বিশিষ্ট দুটি ভবন (৭ ও ৮) নির্মাণ কাজের দ্বিতীয় ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে ৭ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় ভেরিয়েশন প্রস্তাব বাবদ ব্যয় বেড়েছে ৯৯ লাখ ১২ হাজার টাকা। আর ব্যয় বৃদ্ধির ফলে মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা। অন্যদিকে, ৮ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় ভেরিয়েশনের ব্যয় বেড়েছে ৯৮ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। এতে মোট ব্যয় বেড়েছে ১৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

সরকার বলছে, বঙ্গবন্ধু উপগ্রহ উৎক্ষেপণের ফলে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট টিভি অপারেটরদের আর বিদেশ থেকে ব্যান্ডউইডথ ভাড়া করে সম্প্রচার চালাতে হবে না। এই কৃত্রিম উপগ্রহ দিয়ে টেলিযোগাযোগ সেবাও দেওয়া সম্ভব হবে। এতে বছরে ১১০ কোটি টাকার বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয় হবে ।

‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ’ প্রকল্পের আওতায় পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করা হবে বাংলাদেশের প্রথম নিজস্ব কৃত্রিম উপগ্রহ, যাতে টেলিকমিউনিকেশন ও ব্রডকাস্টিং সেবা দেওয়ার জন্য ৪০টি ‘ট্রান্সপন্ডার’ থাকবে।

ভূমি থেকে উপগ্রহটি নিয়ন্ত্রণের জন্য দুটি গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণ করা হবে। গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর এবং রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) নিজস্ব জমিতে এ দুটি স্টেশন হবে।

২০১৭ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে সরকার।