মুরগির দর দুই বছরে সর্বনিম্ন

মুরগির দর দুই বছরে সর্বনিম্ন

অর্থনীতি ডেক্স : কোরবানি ঈদের পর বাজারে মুরগির চাহিদা কমে যাওয়ায় দামও কমেছে। খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা দরে। পাইকারি বাজারে ১০০-১১০ টাকায়। বিক্রেতাদের ভাষ্য, বিগত দুই বছরে এটিই মুরগির সর্বনিম্ন দর।

সরেজমিন রাজধানীর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুরগির দাম পড়লেও অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম ঈদের আগের মতোই রয়ে গেছে। তবে পেঁয়াজ আর কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ এখনো তেমন কমেনি। ঈদের আগে আলোচিত ওই দুই পণ্যের অব্যাহত দাম বেড়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছিল ক্রেতারা।

শুক্রবার রাজধানীর রাজধানীর শেওড়াপাড়া, কচুক্ষেত, গুলশান, মহাখালীসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় দাম তেমন কমেনি। ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। শিমের দাম গত সপ্তাহের মতো কেজি প্রতি বিক্রি ৮০ টাকায়।

প্রতি কেজি সাদা আলু ২৫-৩০, বেগুন ৫০-৬০, বাঁধাকপি ছোট ৩০-৪০, করলা ৬০-৭০, টমেটো ৮০-১০০, গাজর ১০০, মূলা ৪০-৫০, শশা ৬০-৮০, মিষ্টি কুমড়া ৩০-৪০, বরবটি ৮০-১০০, ঢেঁড়শ ৯০-১০০, কচুরলতি ৪০-৬০, প্রতি আঁটি লাউ শাক ৩০, লাল শাক ও সবুজ শাক ২৫, পালং শাক ৩০, পুঁই শাক ২০ ও ডাটা শাক ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রোকলি প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ঈদের পর গরুর মাংসের চাহিদা কমে গেলেও প্রতি কেজি দাম ৪০০ টাকা দাম হাকা হচ্ছে। তবে বিক্রি হচ্ছে খুবই কম। এছাড়া খাসি ৫৫০-৬০০ টাকা।

রাজধানীর খুচরা মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি রুই ছোট বড় গড়ে ২৫০-৪০০, তেলাপিয়া ১৬০-২৫০, সিলভার কার্প ১০০-১৫০, আইড় ৫০০-৬০০, গলদা চিংড়ি ৫০০-৭০০, পুঁটি ১৮০-২০০, পোয়া ৪০০-৪৫০, মলা ২২০-৩০০ টাকা, পাবদা ৫০০-৬০০, বোয়াল ৩৫০-৫০০, শিং ৫০০-৭০০, দেশি মাগুর ৬৫০-৭০০, শোল মাছ ৪০০-৬০০, পাঙ্গাস ১৪০-১৬০ ও চাষের কৈ ১৫০-২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে চালের মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে। কাল জিরা খোলা ৯০ এবং প্যাকেট পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ১০০-১২০ টাকা। বিক্রেতারা প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি করছে ৩৫-৪০ টাকা দরে। এছাড়া মিনিকেট ৫০-৫৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া তেল, আটা, লবন ও চিনির দামও অপরিবর্তিত রয়েছে।  

সূত্র : জাগোনিউজ24 ।