রাজধানীতে আজ থেকে পশুর হাট

রাজধানীতে আজ থেকে পশুর হাট

ডেক্স নিউজ : আজ (শনিবার) থেকে রাজধানীতে বসছে কোরবানির পশুর হাট। এবছর রাজধানীর মোট ২৩টি স্থানে হাট বসানোর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে রাস্তার পাশে কোনো হাট বসতে দেয়া হবে না ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে এ নিয়ে শতভাগ নিশ্চয়তা।

জানা গেছে, ঢাকায় দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ৭টি, উত্তর সিটি করপোরেশনে ১০টি ও জেলা প্রশাসনের অধীনে ৬টি পশুর হাট বসার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, নির্ধারিত ২৩টি স্থানের বাইরে রাস্তার পাশে আর কোনো কোনো হাট বসবে না।

প্রতি বছরই ডিএমপির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হলেও পরে তা সম্ভব হয় না। এবার সম্ভব হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, ‘এই বিষয়ে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকবে। আমি নিজে এই বিষয়টি তদারকি করবো। তবে শতভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছি না, নিয়ন্ত্রণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।’

ঈদের সময় রাজধানীর প্রতিটি পশুর হাটে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার বেচা-কেনা হয়। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলতে থাকে এই আর্থিক লেনদেন। এসব লেনদেন হয় নগদ টাকায়। এতে টাকা ছিনতাইয়ের চরম ঝুঁকি রয়েছে। টাকা বহন করে হাটে যাওয়াকে নিরাপদ মনে করেন না অনেক নাগরিক। এবার প্রতিটি হাটের নিরাপত্তায় ডিএমপি বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। এবারও প্রতিটি হাটেই পুলিশের কন্ট্রোল রুম থাকবে ও সিসি ক্যামেরা থাকবে। সার্বিক নিরাপত্তায় ডিএমপির সঙ্গে আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও র‌্যাব সমন্বয় করে কাজ করবে।

বিগত বছরগুলোতে বেশ কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। তাই পশুর হাটের পাশে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ঈদের সময় হাটের ভেতরে ২৪ ঘণ্টার জন্য টাকা লেনদেনের জন্য বুথ স্থাপনের অনুরোধ করে ডিএমপি। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠিও দেয়া হয়। তবে সম্প্রতি পুলিশের সঙ্গে মত বিনিময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধি বুথ সেবার বদলে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত পার্শ্ববর্তী ব্যাংকের শাখা খোলা রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ফলে রাজধানীর ১৯টি এলাকার পশুর হাটের পাশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা ঈদের আগে সন্ধ্যায়ও খোলা থাকবে। ঈদের আগে তিনদিন এ সেবা থাকবে রাত ৯টা পর্যন্ত। এতে গরু, ছাগলসহ কোরবানির পশু কেনার জন্য ব্যাংক থেকে যে কোনো সময় টাকা তোলা যাবে। বিক্রেতারাও ব্যাংকে গিয়ে টাকা জমা রাখতে পারবেন। ব্যাংকগুলোকে ঘিরে নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করছে পুলিশ। ব্যাংকে টাকা আনা-নেয়ার জন্য হাটেই একটি করে মানি এসকর্ট টিম থাকবে পুলিশের।