অর্থনীতি ডেক্স : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ ওয়েলডিং ইলেকট্রোডের (বিডি ওয়েলডিং) শেয়ার কারসাজির দায়ে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম নুরুল ইসলাম ও ‘ডেইলি ইন্ডাস্ট্রি’ পত্রিকার সম্পাদক এনায়েত করিমকে ৩ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে উভয়কে ২০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার পুঁজিবাজার মামলা নিষ্পত্তিতে গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) হুমায়ুন কবীর এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় বিচারক বলেন, আসামিদের কাছ থেকে অর্থ আদায় হলে ও সরকার চাইলে তা ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বন্টন করা যেতে পারে।
এটি ট্রাইব্যুনালের দ্বিতীয় রায়। এর আগে ৩ আগস্ট ফেসবুকে শেয়ার কেনা বেচার আগাম মিথ্যা তথ্য প্রচারকারী মাহাবুব সরোয়ারকে ২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত।
বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন ভবনে স্থাপিত বিশেষ ট্রাইবুনালের বিচারক হুমায়ুন কবীর সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় রায় পড়া শুরু করেন এবং ১১ টার দিকে রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আদালতে উভয় আসামি উপস্থিত ছিলেন।
রায় ঘোষণার পর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের(বিএসইসি) আইনজীবী মাসুদ রানা খান ও হাসিবুর রহমান সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। উচ্চ আদালতে আপিল করা হলেও মামলার রায় বহাল থাকবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
বিডি ওয়েল্ডিংয়ের এমডি এস এম নুরুল ইসলামের আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রমাণ করার মতো কোন উপাদান ছিল না। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। সেখানে বেকসুর খালাস পাব বলে আমরা আশা করছি।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুইজনকে ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য,বিডি ওয়েলডিংয়ের শেয়ার কারসাজির অভিযোগ তদন্ত করে ২০০৭ সালের ২২ মে এনায়েত করিম ও এস এম নুরুল ইসলাম এবং বিডি ওয়েলডিংয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
২০০৭ সালের ৩ জানুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে বিডি ওয়েলডিং ইলেকট্রোডের শেয়ারের বাজার মূল্য ৬.৯০ টাকা থেকে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে ৪২.৫০ টাকায় উন্নীত হয়। এ তিন মাসে শেয়ারটির দর শতকরা হিসেবে বেড়েছিল ৬১৫.৯৪ শতাংশ, যার পরিপ্রেক্ষিতে ৬ মার্চ বিএসইসি শেয়ারটির দর অস্বাভাবিক বাড়ার কারণ তদন্তে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন— ওই সময়ের পরিচালক বর্তমানে নির্বাহী পরিচালক এ টি এম তারিকুজ্জামান ও ওই সময়ের সহকারী পরিচালক তানিয়া শারমিন। বর্তমানে তিনি অন্যত্র কর্মরত রয়েছেন। অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধিতে এনায়েত করিম ও এস এম নুরুল ইসলামের সম্পৃক্ততা খুঁজে পায় তদন্ত কমিটি।
এটি ট্রাইব্যুনালের দ্বিতীয় রায়। এর আগে ৩ আগস্ট ফেসবুকে শেয়ার কেনা বেচার আগাম মিথ্যা তথ্য প্রচারকারী মাহাবুব সরোয়ারকে ২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত।
বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন ভবনে স্থাপিত বিশেষ ট্রাইবুনালের বিচারক হুমায়ুন কবীর সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় রায় পড়া শুরু করেন এবং ১১ টার দিকে রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আদালতে উভয় আসামি উপস্থিত ছিলেন।
রায় ঘোষণার পর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের(বিএসইসি) আইনজীবী মাসুদ রানা খান ও হাসিবুর রহমান সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। উচ্চ আদালতে আপিল করা হলেও মামলার রায় বহাল থাকবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
বিডি ওয়েল্ডিংয়ের এমডি এস এম নুরুল ইসলামের আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রমাণ করার মতো কোন উপাদান ছিল না। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। সেখানে বেকসুর খালাস পাব বলে আমরা আশা করছি।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুইজনকে ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য,বিডি ওয়েলডিংয়ের শেয়ার কারসাজির অভিযোগ তদন্ত করে ২০০৭ সালের ২২ মে এনায়েত করিম ও এস এম নুরুল ইসলাম এবং বিডি ওয়েলডিংয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
২০০৭ সালের ৩ জানুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে বিডি ওয়েলডিং ইলেকট্রোডের শেয়ারের বাজার মূল্য ৬.৯০ টাকা থেকে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে ৪২.৫০ টাকায় উন্নীত হয়। এ তিন মাসে শেয়ারটির দর শতকরা হিসেবে বেড়েছিল ৬১৫.৯৪ শতাংশ, যার পরিপ্রেক্ষিতে ৬ মার্চ বিএসইসি শেয়ারটির দর অস্বাভাবিক বাড়ার কারণ তদন্তে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন— ওই সময়ের পরিচালক বর্তমানে নির্বাহী পরিচালক এ টি এম তারিকুজ্জামান ও ওই সময়ের সহকারী পরিচালক তানিয়া শারমিন। বর্তমানে তিনি অন্যত্র কর্মরত রয়েছেন। অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধিতে এনায়েত করিম ও এস এম নুরুল ইসলামের সম্পৃক্ততা খুঁজে পায় তদন্ত কমিটি।