টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ী আব্বাস হত্যা মামলায় ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড

টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ী আব্বাস হত্যা মামলায় ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড

বিভাস কৃষ্ণ চৌধুরী : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ব্যবসায়ী আব্বাস হত্যা মামলায় তার স্ত্রী সাজেদাসহ ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয়) আদালতের বিচারক। গতকাল বুধবার বিকেলে আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এই রায় প্রদান করেন। এছাড়া প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- আব্বাসের স্ত্রী সাজেদা বেগম ও তার ছোট ভাই মির্জাপুর পৌর সদরের বাওয়ার কুমারজানি গ্রামের সাজু মিয়ার ছেলে জসিম, একই এলাকার নশকর আলীর ছেলে সাজেদার পরকীয়া প্রেমিক কালু মিয়া, কালুর বোন জামাই কটু মিয়ার ছেলে রাইজ উদ্দিন, তাদের ভাড়াটে খুনি মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর গ্রামের মাসুদ শেখের ছেলে জালাল ও ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার নান্নার গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে ছানোয়ার। এদিকে, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ধামরাই এলাকার পারভেজ ও মুক্তার নামে দুই আসামিকে খালাস দেয়া হয়।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, মির্জাপুর বাজারের ব্যবসায়ী আব্বাসের স্ত্রী সাজেদা বেগমের সঙ্গে একই গ্রামের কালু মিয়ার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায় সাজেদা বেগম তার স্বামী আব্বাসকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। আব্বাসের স্ত্রী সাজেদা, প্রেমিক কালু মিয়া ও সাজেদার ভাই জসিম কালুর বোন জামাই রাইজ উদ্দিন ভাড়াটিয়া খুনি জালাল ও ছানোয়ারকে নিয়ে ২০০৪ সালের ৪ নবেম্বর রাতে আব্বাস মিয়াকে হত্যা করেন তারা। পরে মৃতদেহ বাওয়ার কুমারজানি গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ফেলে রাখেন। ওই ঘটনায় আব্বাসের বড় ভাই আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে ১৮ নবেম্বর সাজেদার পরকীয়া প্রেমিক কালু ও রাইজ উদ্দিনসহ ৮ জনেক আসামি করে মামলা করেন। মামলার বাদী নিহত আব্বাসের বড় ভাই আব্দুল মজিদ আদালতের রায়ের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে আমি ভাই হত্যার বিচার পেয়েছি।