তিউনিসিয়ায় ৮০ মসজিদ বন্ধ করবে সরকার

তিউনিসিয়ায় ৮০ মসজিদ বন্ধ করবে সরকার

ছবি : ডেইলিমেইল।
সহিংসতা উস্কে দেয়ার অভিযোগে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়ে যাওয়া ৮০টি মসজিদ এক সপ্তাহের মধ্যে বন্ধ করে দেবে তিউনিসিয়া। দেশটির সুস শহরের ইম্পেরিয়াল মারহাবা হোটেলে সন্ত্রাসী হামলায় হামলাকারীসহ ৩৯ জন নিহত হওয়ার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী হাবিব এসিদ শুক্রবার এ ঘোষণা দিয়েছেন। ওই হামলায় আরো ৩৬ জন আহত হয়েছেন বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। সুস শহরটি দেশটির রাজধানী তিউনিস থেকে ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে। নিহতদের বেশিরভাগই বিদেশি পর্যটক, যাদের মধ্যে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও বেলজিয়ামের নাগরিক রয়েছেন।

পর্যটকের ছদ্মবেশে এক হামলাকারী ছাতির ভিতরে রাইফেল লুকিয়ে এনেছিল। পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার আগে ওই রাইফেল ব্যবহার করেই তাণ্ডব চালায় হামলাকারী। নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আরেক বন্দুকধারী গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলেও পরবর্তী সময়ে তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। রমযান মাসে হামলা বাড়ানোর জন্য বিবৃতিতে অনুসারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে গোষ্ঠীটি। এর আগেও ইসলামপন্থি জঙ্গিরা উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছিল। তিউনিসিয়ায় হামলার পাশাপাশি একই দিন আইএস সমর্থিত জঙ্গিরা কুয়েতের একটি শিয়া মসজিদে আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে ২৭ জনকে হত্যা ও ২২৭ জনকে আহত করেছে। সিরিয়ার কুর্দি অধ্যুষিত শহর কোবানিতে ১৪৫ জনকে খুন করেছে এবং ফ্রান্সে একজনের শিরশ্ছেদ করেছে। উত্তর আফ্রিকার তিউনিসিয়ায় চলতি বছরে দ্বিতীয় বড় ধরনের জঙ্গি হামলার ঘটনা এটি।

মার্চে তিউনিসের একটি জাদুঘরে বন্দুকধারীদের হামলায় ২২ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিদেশি পর্যটক ছিলেন।ওই হামলার পর জঙ্গি হামলার বিষয়ে দেশটিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। ২০১১ সালে ‘আরব বসন্তের’ পর গণতান্ত্রিক রূপান্তরের ক্ষেত্রে তিউনিসিয়া একটি মডেল হিসেবে সামনে এসেছে। এটি আরব বিশ্বের সবচেয়ে ধর্ম নিরপেক্ষ একটি দেশে পরিণত হয়েছে। দেশটির সৈকতের রিসোর্ট ও নাইট ক্লাবগুলো ইউরোপীয় পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়।-এফএনএস২৪