বৃহস্পতিবার ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

Logo
Add Image
Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:

৫০তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষা-২০২৫ এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

 

আজ ২৬ নভেম্বর, ২০২৫ বুধবার কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) মাসুমা আফরীনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে আবেদন ও ফি জমাদান শুরু হবে। যা চলবে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৫০তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ২০২৬ সালের ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া লিখিত পরীক্ষা শুরুর তারিখ ৯ এপ্রিল ও মৌখিক পরীক্ষা ১০ আগস্ট শুরু হবে। এই বিসিএসে এক হাজার ৭৫৫ জনকে ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। এছাড়া, নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে ৩৯৫ জনকে।

 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৬। এরপর লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে ৯ এপ্রিল ২০২৬ এবং এর ফল প্রকাশ হবে ৩০ জুলাই ২০২৬। মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে ১০ আগস্ট ২০২৬ এবং ফল প্রকাশ করা হবে ২৫ নভেম্বর ২০২৬।

 

প্রিলিমিনারি টেস্ট ও লিখিত পরীক্ষা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। তবে কোনো প্রার্থীর পছন্দের কেন্দ্রে পরীক্ষা আয়োজন সম্ভব না হলে কমিশনের নির্ধারিত অন্য কোনো কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে হবে। মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে কমিশনের প্রধান কার্যালয় ঢাকায়। আর কেন্দ্র পরিবর্তনের কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না।

 

৫০তম বিসিএস পরীক্ষার জন্য মোট এক হাজার ৭৫৫টি পদ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২০০ জন, স্বাস্থ্য ক্যাডারে ৬৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১১৭ জন এবং কৃষি ক্যাডারে ১২০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। সাধারণ শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারি কলেজগুলোর জন্য প্রভাষকের পদ ১৩৯টি, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার জন্য ২৬টি এবং পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট ও গ্লাস অ্যান্ড সিরামিক ইনস্টিটিউটে ২১টি প্রভাষকের পদ রাখা হয়েছে।

 

নন-ক্যাডারে নবম গ্রেডের পদ ৭১টি, দশম গ্রেডের পদ ৪২টি, ১১তম গ্রেডের পদ ২৭৮টি এবং ১২তম গ্রেডের পদ ৪টি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ২০২৬ সালের ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লিখিত পরীক্ষা ৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে এবং মৌখিক পরীক্ষা ১০ আগস্ট থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

 

বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে, যা অনুযায়ী প্রতিবছর নভেম্বর মাসে নতুন বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এবং পরের বছরের ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের লক্ষ্যে কাজ করা হয়। এ রোডম্যাপ অনুযায়ী নভেম্বর ২০২৫ মাসে ৫০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পিএসসি।
 

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির লালকেল্লায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভারতীয় কিছু গণমাধ্যম যে সংবাদ প্রকাশ করেছে, তা ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ ও ‘দায়সারা সাংবাদিকতা’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

 

আজ মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর,২০২৫ সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুযোগ পেলেই ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করে। কিন্তু লালকেল্লার হামলার সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। “এসব খবরের কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই, কোনো বিবেকবান মানুষ এমন সংবাদ বিশ্বাস করবে না,” বলেন তৌহিদ হোসেন।


তিনি আরও বলেন, ভারতের গণমাধ্যমের এই ধরনের মনগড়া প্রতিবেদন দুই দেশের সম্পর্কের জন্য ইতিবাচক নয়। বাংলাদেশ বরাবরই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে আসছে। “আমরা বরাবরই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি, এবং এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও করে যাচ্ছি,” তিনি যোগ করেন।

 

এ সময় শেখ হাসিনার বিচারের বিষয়ে জাতিসংঘের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “জাতিসংঘ এ বিষয়ে কিছু বলেনি। যদি বলে, তখন সরকার সে অনুযায়ী উত্তর দেবে।”

 

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে। “চীন থেকে অস্ত্র কিনলে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ব—এমন ধারণা ঠিক নয়। আমরা কারও দিকে ঝুঁকিনি, বরং সবার সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখছি।”

 

এর আগে সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্থানীয় সময় প্রায় ৬টা ৫০ মিনিটে দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লার কাছে মেট্রো স্টেশনের গেট নম্বর ১-এর সামনে একটি গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলেই অন্তত ১৩ জন নিহত হন এবং ২৪ জন আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশের গাড়িতে আগুন ধরে যায় এবং রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে মানবদেহের অংশবিশেষ।

 

দিল্লির পুলিশ কমিশনার সতীশ গোলচা সাংবাদিকদের বলেন, “লালবাতিতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতেই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের আরও কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।” পুলিশ জানায়, হুন্দাই আই২০ মডেলের ওই গাড়ির মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গাড়িটি ২০১৩ সালে কেনা হলেও পরে কয়েক দফা বিক্রি হয়। সর্বশেষ ক্রেতাকেও পুলিশ আটক করেছে।

 

বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক জানিয়েছে ভারতের বাংলাদেশ হাইকমিশন। সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে হাইকমিশন বলেছে, “এই দুঃসময়ে বাংলাদেশ ভারতের পাশে আছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা ও প্রার্থনা রইল।”

 

এদিকে বিস্ফোরণের পর দিল্লি পুলিশ পুরো শহরে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। লালকেল্লা মেট্রো স্টেশন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং ১১ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত লালকেল্লা দর্শনার্থীদের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

 

বিস্ফোরণের ঘটনার পর দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানানো হয়েছে।
 

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
ঠাকুরগাঁওয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্র উত্তরণের পথে চলছে, নির্বাচনকে ঘিরে দেশে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হয়েছে এবং কোনও ঝামেলা ছাড়াই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে, এমন কোনও পরিস্থিতি নেই যা ভোটকে ব্যাহত করতে পারে।

 

আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর, ২০২৫) বিকালে ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতি কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করেছে এবং বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল তাদের প্রার্থী ঠিক করেছে। তার ভাষায়, “দেশে নির্বাচনের আবহাওয়া তৈরি হয়েছে।”

 

সভায় বক্তৃতাকালে মির্জা ফখরুল আইনজীবীদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীরা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বিএনপির সাংগঠনিক শক্তির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “বিএনপি স্রোতস্বতী নদীর মতো। প্রতিটি আসনে চার থেকে পাঁচজন করে প্রার্থী আছে, এতে বোঝা যায় বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল।”

 

মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়া আইনজীবীরা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইন-আদালতের স্বাধীনতা, মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় পেশাজীবী মহলের করণীয় নিয়ে মতামত উপস্থাপন করেন।

 

সভায় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক মো. মকদুম সাব্বির মৃদুল, জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমিন এবং সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলীসহ দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
 

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রোববার (২৩ নভেম্বর) জানায়, ২০২৫-২৬ কর বছরের ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমার সময় এক মাস বাড়িয়ে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে সময়সীমা ছিল ৩০ নভেম্বর। 

 

এতে বলা হয়, যদি কোনো করদাতা ই-রিটার্ন সিস্টেমে নিবন্ধন সংক্রান্ত সমস্যার কারণে অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে না পারেন, তবে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের কাছে সুনির্দিষ্ট যৌক্তিকতাসহ আবেদন করতে পারবেন। এনবিআর বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে, চলতি বছর ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রবীণ করদাতা, শারীরিকভাবে অসক্ষম বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন করদাতা, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতা, মৃত করদাতার পক্ষে আইনগত প্রতিনিধি ও বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিক ছাড়া সব ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার জন্য অনলাইনে রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক। তবে উল্লিখিত কয়েক শ্রেণির করদাতা চাইলে ইচ্ছামতো অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।

 

এ বছর করদাতার পক্ষে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে পারছেন। বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা তাদের পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও ই-মেইল পাঠিয়ে রেজিস্ট্রেশন করলে সহজে ই-রিটার্ন দাখিল করতে পারছেন। করদাতারা কোনো কাগজপত্র বা দলিল আপলোড না করে, তাদের আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের তথ্য ই-রিটার্নে এন্ট্রি করে ব্যাংকিং বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ব্যবহার করে অনলাইনে কর পরিশোধ ও রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। সঙ্গেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাপ্তিস্বীকার পত্র এবং আয়কর সনদ প্রিন্ট নেওয়ার সুবিধা রয়েছে।

 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এই প্রক্রিয়া সহজ করতে সারাদেশে ই-রিটার্ন হেল্প-ডেস্ক স্থাপন করেছে। এছাড়া কল সেন্টার (০৯৬৪৩ ৭১ ৭১ ৭১) ও ওয়েবসাইটের www.etaxnbr.gov.bd ই-ট্যাক্স সার্ভিস অপশন থেকেও করদাতারা সহায়তা পেতে পারেন। রোববার পর্যন্ত প্রায় ১৮ লাখের বেশি করদাতা চলতি করবর্ষে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন।
 

আলোচিত খবর

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:

৫০তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষা-২০২৫ এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

 

আজ ২৬ নভেম্বর, ২০২৫ বুধবার কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) মাসুমা আফরীনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে আবেদন ও ফি জমাদান শুরু হবে। যা চলবে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৫০তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ২০২৬ সালের ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া লিখিত পরীক্ষা শুরুর তারিখ ৯ এপ্রিল ও মৌখিক পরীক্ষা ১০ আগস্ট শুরু হবে। এই বিসিএসে এক হাজার ৭৫৫ জনকে ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। এছাড়া, নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে ৩৯৫ জনকে।

 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৬। এরপর লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে ৯ এপ্রিল ২০২৬ এবং এর ফল প্রকাশ হবে ৩০ জুলাই ২০২৬। মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে ১০ আগস্ট ২০২৬ এবং ফল প্রকাশ করা হবে ২৫ নভেম্বর ২০২৬।

 

প্রিলিমিনারি টেস্ট ও লিখিত পরীক্ষা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। তবে কোনো প্রার্থীর পছন্দের কেন্দ্রে পরীক্ষা আয়োজন সম্ভব না হলে কমিশনের নির্ধারিত অন্য কোনো কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে হবে। মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে কমিশনের প্রধান কার্যালয় ঢাকায়। আর কেন্দ্র পরিবর্তনের কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না।

 

৫০তম বিসিএস পরীক্ষার জন্য মোট এক হাজার ৭৫৫টি পদ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২০০ জন, স্বাস্থ্য ক্যাডারে ৬৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১১৭ জন এবং কৃষি ক্যাডারে ১২০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। সাধারণ শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারি কলেজগুলোর জন্য প্রভাষকের পদ ১৩৯টি, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার জন্য ২৬টি এবং পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট ও গ্লাস অ্যান্ড সিরামিক ইনস্টিটিউটে ২১টি প্রভাষকের পদ রাখা হয়েছে।

 

নন-ক্যাডারে নবম গ্রেডের পদ ৭১টি, দশম গ্রেডের পদ ৪২টি, ১১তম গ্রেডের পদ ২৭৮টি এবং ১২তম গ্রেডের পদ ৪টি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ২০২৬ সালের ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লিখিত পরীক্ষা ৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে এবং মৌখিক পরীক্ষা ১০ আগস্ট থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

 

বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে, যা অনুযায়ী প্রতিবছর নভেম্বর মাসে নতুন বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এবং পরের বছরের ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের লক্ষ্যে কাজ করা হয়। এ রোডম্যাপ অনুযায়ী নভেম্বর ২০২৫ মাসে ৫০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পিএসসি।
 

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির লালকেল্লায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভারতীয় কিছু গণমাধ্যম যে সংবাদ প্রকাশ করেছে, তা ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ ও ‘দায়সারা সাংবাদিকতা’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

 

আজ মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর,২০২৫ সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুযোগ পেলেই ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করে। কিন্তু লালকেল্লার হামলার সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। “এসব খবরের কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই, কোনো বিবেকবান মানুষ এমন সংবাদ বিশ্বাস করবে না,” বলেন তৌহিদ হোসেন।


তিনি আরও বলেন, ভারতের গণমাধ্যমের এই ধরনের মনগড়া প্রতিবেদন দুই দেশের সম্পর্কের জন্য ইতিবাচক নয়। বাংলাদেশ বরাবরই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে আসছে। “আমরা বরাবরই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি, এবং এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও করে যাচ্ছি,” তিনি যোগ করেন।

 

এ সময় শেখ হাসিনার বিচারের বিষয়ে জাতিসংঘের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “জাতিসংঘ এ বিষয়ে কিছু বলেনি। যদি বলে, তখন সরকার সে অনুযায়ী উত্তর দেবে।”

 

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে। “চীন থেকে অস্ত্র কিনলে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ব—এমন ধারণা ঠিক নয়। আমরা কারও দিকে ঝুঁকিনি, বরং সবার সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখছি।”

 

এর আগে সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্থানীয় সময় প্রায় ৬টা ৫০ মিনিটে দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লার কাছে মেট্রো স্টেশনের গেট নম্বর ১-এর সামনে একটি গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলেই অন্তত ১৩ জন নিহত হন এবং ২৪ জন আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশের গাড়িতে আগুন ধরে যায় এবং রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে মানবদেহের অংশবিশেষ।

 

দিল্লির পুলিশ কমিশনার সতীশ গোলচা সাংবাদিকদের বলেন, “লালবাতিতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতেই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের আরও কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।” পুলিশ জানায়, হুন্দাই আই২০ মডেলের ওই গাড়ির মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গাড়িটি ২০১৩ সালে কেনা হলেও পরে কয়েক দফা বিক্রি হয়। সর্বশেষ ক্রেতাকেও পুলিশ আটক করেছে।

 

বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক জানিয়েছে ভারতের বাংলাদেশ হাইকমিশন। সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে হাইকমিশন বলেছে, “এই দুঃসময়ে বাংলাদেশ ভারতের পাশে আছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা ও প্রার্থনা রইল।”

 

এদিকে বিস্ফোরণের পর দিল্লি পুলিশ পুরো শহরে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। লালকেল্লা মেট্রো স্টেশন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং ১১ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত লালকেল্লা দর্শনার্থীদের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

 

বিস্ফোরণের ঘটনার পর দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানানো হয়েছে।
 

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বোলদাক শহরে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ৪০ জন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৭৯ জন। 

 

স্পিন বোলদাক শহরটির অবস্থান আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে। 


স্পিন বোলদাকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা করিমুল্লাহ জুবাইর আগা-এর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে আফগান সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজ জানিয়েছে।


প্রতিবদন অনুযায়, নিহত এবং আহতদের সবাই বেসমারিক এবং একটি বড় অংশই নারী ও শিশু।


সীমান্তে গত ১১ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত সংঘাত, হামলা-পাল্টা হামলার পর ১৫ অক্টোবর থেকে ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে যায় দুই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সেনাবাহিনী। সেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয়েছে ১৭ অক্টোবর শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১ টার দিকে।


বিরতি শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। যারা বেঁচে গেছেন, তারা সবাই নিন্দা জানিয়েছেন এ হামলার।


হামলার শিকার এবং আহত হাজি বাহরাম নামের এক ব্যক্তি তোলো নিউজকে বলেন, “আমি ইতিহাসে কখনও এমন অবিচার দেখিনি। একটি দেশ, যারা নিজেদের মুসলিম বলে দাবি করে- তারা এখানে নারী, শিশু ও বেসামরিক লোকজনের ওপরে হামলা করল।”


বিমান বাহিনীর অভিযানের পাশপাশি স্পিন বোলদাক শহরের নোকলি, হাজি হাসান কেলাই, ওয়ার্দাক, কুচিয়ান, শহীদ ও শোরবাকে একের পর এক আর্টিলারি গোলা নিক্ষেপ করেছে পাকিস্তানি স্থলবাহিনী। এতে বেশ কিছু বাড়িঘর, দোকান ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে হতাহতও হয়েছেন অনেকে।
 

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় আট বাংলাদেশী শ্রমিক নিহত হয়েছেন। 


৮ অক্টোবর, ২০২৫ বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে দেশটির দুকুম সিদরা এলাকায় মাছবাহী একটি কনটেইনার ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মাইক্রোবাসে থাকা নয়জন বাংলাদেশি শ্রমিক মাছ ধরতে সমুদ্রের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। 

 

ওমানের রাজধানী মাস্কাটে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) আসাদুল হক গণমাধ্যমকে জানান, চালকসহ নয়জন বাংলাদেশি শ্রমিক মাস্কাট থেকে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দুকুম সিদরার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মাছবাহী কনটেইনার ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আটজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং চালক গুরুতর আহত হন। আহত চালককে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের পর মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়, ফলে উদ্ধারকাজে বেশ সময় লাগে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মাস্কাটে বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নিহতদের মরদেহ দুকুমের বিভিন্ন হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

 

ওমানে বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, নিহতদের মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিহতদের আনুষ্ঠানিক পরিচয় প্রকাশ করা না হলেও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের বেশিরভাগই চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দা।

 

সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মংচিংনু মারমা বলেন, “ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় আমাদের উপজেলার সাতজন প্রবাসী নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। নিহতদের পরিবারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।”

 

স্থানীয় গণমাধ্যম ও প্রবাসী সংগঠনের সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে আছেন আমিন সওদাগর, আরজু, রকি, বাবলু, শাহাবউদ্দিন, জুয়েল, রনি ও আলাউদ্দিন।

 

দূতাবাসের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে সহায়তা এবং মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
 

Add

Site Counter

Online

89

Total

33k

Pic

দেলদুয়ার (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী-২০২৫’র শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

 

আজ ২৬ নভেম্বর, ২০২৫ বুধবার উপজেলা স্টেডিয়ামে এর উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোহরা সুলতানা যূথী। 

 

উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাইমিনুল ইসলাম, দেলদুয়ার থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেব খান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ মাহবুবুল হাসান, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম প্রমূখ। 

 

উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শণী উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যায়লি বের হয়। র্যািলি শেষে উপজেলা স্টেডিয়ামে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী শুরু হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
 


Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার আসন্ন টি-২০ সিরিজকে ঘিরে জমে উঠেছে চট্টগ্রাম। 

 

টেস্ট সিরিজের সমাপ্তির পরই এবার সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নামছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আয়ারল্যান্ড দল তাদের বাংলাদেশ সফরের অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে। তারই আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু হোটেল বে ভিউতে দুটি দলের অধিনায়কদের উপস্থিতিতে উন্মোচন করা হয় সিরিজের আকাঙ্ক্ষিত ট্রফি। দুই দলের জন্যই এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ। বিশেষ করে আয়ারল্যান্ডের জন্য, যারা টেস্টে হারের পর এবার নতুন ফরম্যাটে জয়ের ধারা শুরু করতে মরিয়া। টেস্ট সিরিজে আধিপত্য দেখানোর পর, বাংলাদেশ চাইবে টি-২০তে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে। 

 

শান্ত, লিটন দাস এবং তাসকিন আহমেদের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের ওপর দল অনেকটাই নির্ভরশীল। সিরিজ সমনে রেখে টাইগার অধিনায়ক লিটন বলেন, “আমি আমি চাই যে আমাদের ক্রিকেটাররা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ুক। গত সিরিজে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ার পর যে জিনিসটা হয়েছে, সিরিজটা আমরা জিততে পারিনি।

 

এবার চেষ্টা করব যেন ওখান থেকে বের হয়ে যেন ম্যাচগুলো জিততে পারি।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের যে দল আছে, আমাদের যে সামর্থ্য আছে, আমরা যদি আমাদের দিনে শতভাগ ক্রিকেট খেলতে পারি, অবশ্যই দাপুটে জয় পাওয়া সম্ভব। পাশাপাশি, আমাদেরকে ক্রিকেটে প্রত্যেক দলকে শ্রদ্ধা করতে হবে। যেদিন যে ভালো ক্রিকেট খেলবে, তাদেরই পক্ষে খেলা যাবে। আমরা চেষ্টা করব আমাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলার।” 

 

বাংলাদেশের বড় দুর্ভাবনার জায়গা দুটি। ফিল্ডিংয়ে ক্যাচ পড়ছে নিয়মিতই। ক্যাচিংয়ে মাঝেমধ্যেই আসে খুব বাজে দিন। ব্যাটিংয়ে মিডল অর্ডার ধারাবাহিকতা দেখাতে পারছে না অনেক দিন ধরেই। লিটন যদিও দুর্ভাবনার কিছু দেখছেন না, তবে বিশ্বকাপের আগে এই জায়গাগুলোতে উন্নতির তাড়না ফুটে উঠল তার কণ্ঠে। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় তিন বিভাগেই আমাদের উন্নতির জায়গা আছে। উন্নতির শেষ নেই। বিশেষ করে যদি আমরা ফিল্ডিংটা ভালো করতে পারি, আমাদের মনে হয় এটা প্লাস পয়েন্ট হবে। 

 

আমি খুব একটা চিন্তিত নই মিডল অর্ডার নিয়ে। অবশ্যই গত দুই-একটা সিরিজে আমরা আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারিনি মিডল অর্ডারে। বাট তারা সবাই প্রমাণিত। কিছু কিছু সিরিজ যায় দুই-একটা ক্রিকেটারের খারাপ যায়। তারা আবার ঘুরে দাঁড়াবে এবং আমি আশা করি, তারা এই সিরিজেই ঘুরে দাঁড়াবে।” আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি শুরু হবে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায়।
 

এখন সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হয়েছে, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে আর কোন ঝামেলা নেই: মির্জা ফখরুল

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
ঠাকুরগাঁওয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্র উত্তরণের পথে চলছে, নির্বাচনকে ঘিরে দেশে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হয়েছে এবং কোনও ঝামেলা ছাড়াই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে, এমন কোনও পরিস্থিতি নেই যা ভোটকে ব্যাহত করতে পারে।

 

আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর, ২০২৫) বিকালে ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতি কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করেছে এবং বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল তাদের প্রার্থী ঠিক করেছে। তার ভাষায়, “দেশে নির্বাচনের আবহাওয়া তৈরি হয়েছে।”

 

সভায় বক্তৃতাকালে মির্জা ফখরুল আইনজীবীদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীরা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বিএনপির সাংগঠনিক শক্তির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “বিএনপি স্রোতস্বতী নদীর মতো। প্রতিটি আসনে চার থেকে পাঁচজন করে প্রার্থী আছে, এতে বোঝা যায় বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল।”

 

মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়া আইনজীবীরা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইন-আদালতের স্বাধীনতা, মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় পেশাজীবী মহলের করণীয় নিয়ে মতামত উপস্থাপন করেন।

 

সভায় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক মো. মকদুম সাব্বির মৃদুল, জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমিন এবং সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলীসহ দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
 

মাগুরায় জামায়াতের বিশাল নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত 

মোঃ সাইফুল্লাহ, মাগুরা প্রতিনিধি:
মাগুরায়  জামায়াতে ইসলামী গঙ্গারামপুর ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে ১৬ নভেম্বর রবিবার রাতে পুলুম বাজার ঈদগাহ ময়দানে এক বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত মাগুরা-০২ আসনের এমপি পদপ্রার্থী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার অন্যতম সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা সহকারী অধ্যাপক মাওলানা  এম.বি বাকের।

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মাহবুবুর রহমান এবং মাগুরা জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি অধ্যাপক মশিউর রহমান।

 

জনসভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আলমগীর হোসেনসহ জেলা, উপজেলা ও  ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।  

 

জনসভায়  বক্তারা ন্যায়নীতি, সুশাসন ও জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে আদর্শিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনে কাজ করার আহ্বান জানান। 
 

দাদাগিরির কোনো সুযোগ নেই বাংলাদেশের সাথে: মির্জা ফখরুল

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘পদ্মা বাঁচাও গণসমাবেশ’ এর আগে মহানন্দা নদীর ওপর নির্মিত রাবার ড্যাম পরিদর্শন শেষে বললেন, “প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সমতাভিত্তিক সম্পর্ক বজায় থাকবে, দাদাগিরির কোনো সুযোগ নেই। ক্ষমতায় গেলে পদ্মা-তিস্তার পানি বণ্টন ও ফারাক্কা ইস্যুতে গুরুত্ব দেবে বিএনপি।”

 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “প্রত্যেক দেশ তার নিজের স্বার্থ দেখবে এটাই স্বাভাবিক। পদ্মার পানি বণ্টন নিয়ে মূলত সমস্যা, ২০২৬ সালে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। পদ্মার পানি আটকে দিয়ে জীবন-জীবিকা বিনষ্ট করা হয়েছে। দেশের স্বার্থ আগে দেখতে হবে। তবে নির্বাচিত সরকার ছাড়া এই ধরনের স্বার্থ হাসিল করা কঠিন হবে।”

 

আমাদের প্রতিবেশী দেশ ইচ্ছে করলেই আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারে। আমি মনে করি, যুদ্ধের সময় তারা আমাদের সহযোগিতা করেছে, সেই হিসেবে আরও বেশি করে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করা দরকার বলে মনে করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।

 

বিএনপির এ নেতা আরও যোগ করে বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত সরকারের সময়ে উল্টো তারা (ভারত) আমাদের চাপে ফেলেছে। সব নিয়ে গেছে, বিনিময়ে আমাদের কিছু দেয়নি। এটা আওয়ামী লীগ সরকার, হাসিনা সরকারের ব্যর্থতা। আমাদের কমিটমেন্টে আমরা কমিটেট। এটা আমাদের রাজনীতি। এখানকার পানির হিস্যা, সীমান্তে হত্যা, আমাদের ব্যালেন্স অব চেইন ঠিক করা এগুলোয় আমরা বেশি গুরুত্ব দিতে চাই। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সমতার ভিত্তিতে। তবে, আমাদের ওপর ভারতের দাদাগিরি বন্ধ হোক এটা আমরা চাই।”

 

‘বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে একটি দল। এর মধ্যে দিয়ে তারা রাজনীতিতে ফায়দা নিতে চায়। এ ব্যাপারে বিএনপি নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিভাজন সৃষ্টি করা যাবে না। আরেকটা দল ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা বলে এদের দ্বারা দেশের পরিবর্তন ও রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব না’-যোগ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।
 

Pic

ব্রিটিশ কাউন্সিলের ‘ওয়াও – উইমেন অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ গ্র্যান্টস ২০২৫–২০২৬ -এর আবেদন গ্রহণ শুরু

লিঙ্গ-বৈষম্যের বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় কাজ করছেন বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত এমন শিল্পী এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেটের শিল্প ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে আবেদন করার আহ্বান

ঢাকা, ০২  নভেম্বর, ২০২৫

উইমেন অব দ্য ওয়ার্ল্ড (ওয়াও) গ্রান্টস ২০২৫ -এ আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত শিল্পী, সাংস্কৃতিক কর্মী এবং দেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেটভিত্তিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলির জন্য দুই ধরনের গ্রান্ট প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি।  শিল্প, সংস্কৃতি, লৈঙ্গিক সমতা এবং  সমকালীন সমাজের নানা বিষয় নিয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো যাবে আগামী  ১৬ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট (বাংলাদেশ সময়) পর্যন্ত। এছাড়াও আগ্রহী আবেদনকারীদের জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিল একটি ইনফরমেশন ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে যা আয়োজিত হবে আগামী বৃহস্পতিবার ৬ নভেম্বর ২০২৫, বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়)। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং ওয়েবিনারে নিবন্ধন করতে ভিজিট করুন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ ওয়েবসাইট।

 

বিশ্বজুড়েই লৈঙ্গিক সমতা অর্জন করা জরুরি এবং অর্জন সম্ভবও, এ বিশ্বাস নিয়ে কাজ করে বৈশ্বিক উদ্যোগ ‘ওয়াও-উইমেন অফ দ্য ওয়ার্ল্ড।’ ২০১৭ সালে প্রথমবারের মত বাংলাদেশে আয়োজিত হয় ওয়াও।  বিভাগীয় পর্যায়ে আয়োজিত এই ‘ওয়াও ফেস্টিভ্যাল’ পর্যায়ক্রমে ২০১৯ সালে ঢাকায় জাতীয় উৎসব হিসেবে আয়োজিত হয়। এবারের ‘ওয়াও বাংলাদেশ ২০২৫–২০২৬’ -এর জন্য শিল্পী এবং সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংগঠনগুলোকে শিল্পমাধ্যমে অথবা সাংস্কৃতিক কাজ বা উদ্যোগের মাধ্যমে লৈঙ্গিক সমতা নিয়ে কাজ করবে এমন প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠানোর আহ্বান জানানো হচ্ছে; যেখানে এই থিমগুলির এক বা একাধিক থাকতে হবেঃ ১) চলচ্চিত্র, চলমান চিত্র ও মিডিয়া অ্যাস্থেটিকস; ২) হাইপারঅবজেক্ট মিটস হাইপারঅবজেক্ট: লৈঙ্গিক সমতা এবং জলবায়ু নিয়ে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ; ৩) স্টেম (STE(A)M): বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, (শিল্পকলা), প্রকৌশল ও গণিত। 

 

ঘোষিত দুইটি আহবানের মধ্যে প্রথমটি হল ‘ওয়াও বাংলাদেশ কমিশন্স ২০২৫’। এই আহবান যুক্তরাজ্যে কিংবা বাংলাদেশে অবস্থানরত শিল্পী, শিল্পীদল কিংবা শিল্প-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য সর্বোচ্চ বারো হাজার পাউণ্ড (বাংলাদেশী টাকা সমমূল্য) অনুদান প্রদান করবে, যেন নির্বাচিতরা শিল্পকর্ম, প্রদর্শনী, পারফরমেন্স বা প্রদর্শনীমূলক কর্মসূচি তৈরি, প্রযোজনা ও উপস্থাপন করতে পারে।

 

অন্যদিকে, দ্বিতীয় আহবান ‘ওয়াও বাংলাদেশ চ্যাপ্টারস ২০২৬’- শুধুমাত্র চট্টগ্রাম, ঢাকা, রাজশাহী ও সিলেটভিত্তিক শিল্পী সংগঠনগুলোর জন্য, যেন তারা ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ আগস্টের মধ্যে যে কোনো একদিন দিনব্যাপী ‘ওয়াও বাংলাদেশ চ্যাপ্টার’-এর আয়োজন করতে পারে। এ বিভাগে সর্বোচ্চ তেইশ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশী টাকা সমমূল্য) পর্যন্ত গ্রান্ট প্রদান করা হবে। প্রতিটি বিভাগে একাধিক গ্রান্ট প্রদান করা হবে। 

 

এই গ্রান্ট সকল সাংস্কৃতিক ও শিল্পক্ষেত্রের জন্য উন্মুক্ত। আবেদনকারীদের আহ্বান জানানো হচ্ছে তাদের যৌথ কাজের ভিত্তিতে ‘ওয়াও বাংলাদেশ ২০২৫-২০২৬’ -এর নির্ধারিত বিষয় ও প্রতিপাদ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে জনসাধারণের জন্য প্রদর্শনী, আলোচনা ও অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা প্রকল্পের প্রস্তাবে উল্লেখ করার।  


ওয়েবিনারে নিবন্ধন করতে, আবেদনের যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে ও আবেদন নির্দেশিকা পড়তে এবং আবেদন করতে ভিজিট করুন: https://www.britishcouncil.org.bd/en/programmes/arts 


বাংলাদেশে ওয়াও এর যাত্রা সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ   https://www.britishcouncil.org.bd/en/programmes/arts/wow-women-world 
 

Pic

নারী ফুটবল অঙ্গনে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন কামরুন্নাহার মুন্নি

টাঙ্গাইলের কামরুন্নাহার মুন্নি একজন স্কুল শিক্ষক। সেই সাথে তিনি সফল নারী ফুটবল কোচ এবং দেশের ক্রীড়াঙ্গনের এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। 

 

মুন্নি শুধু ফুটবল প্রশিক্ষণই দেন না, বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক সমস্যা নিয়েও কাজ করেন। তিনি মেয়েদের খেলাধুলার মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করতে এবং তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতেও নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

 

সেই লক্ষ্যে ২০১০ সালে তিনি টাঙ্গাইল শহরের বেড়াডোমায় মোনালিসা উইমেন স্পোর্টস একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন এবং মেয়েদের ফুটবল প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি তিনি বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধেও কাজ করেছেন। 

 

কামরুন্নাহারকে নিয়ে তৈরি একটি প্রামাণ্যচিত্র ৭৪তম কানচলচ্চিত্র উৎসবে বাণিজ্যিক শাখায় ‘মার্সে দ্য ফিল্ম’-এ নির্বাচিত হয়ে পুরস্কার লাভ করে। প্রামাণ্যচিত্রটির কারণে কামরুন্নাহারের বাল্যবিয়ে ঠেকানোর কথা দেশ পেরিয়ে বিশ্বের কাছে পৌঁছে গেছে।

 

মোনালিসা উইমেন স্পোর্টস একাডেমিতে আলাপকালে সমাজের ‘প্রতিকূল’ পরিবেশের বিরুদ্ধে ‘সংগ্রাম’ চালিয়ে যাবার গল্পই তুলে ধরেন মুন্নি।

 

কামরুন্নাহার মুন্নি জানান, সদ্য কৈশোরে পা দেওয়া মেয়েদের হঠাৎ বিয়ে হয়ে যাচ্ছিল। যে বয়সে মেয়েদের লেখাপড়া আর হাসি খেলায় মেতে থাকার কথা, সেই বয়সে তাদের ধরতে হচ্ছিল সংসারের হাল। নিজ ছাত্রীদের এমন পরিণতি দেখে স্কুলশিক্ষিকা কামরুন্নাহার মুন্নি তাদেও জন্য কিছু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাই বাল্যবিয়ে ঠেকানোর কৌশল হিসেবে ছাত্রীদের ফুটবল প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন।

 

পেশায় শিক্ষিকা কামরুন্নাহার নারীদের ফুটবলে ‘বিপ্লব ঘটানো’ এবং ‘বাল্যবিবাহ রোধে’ সমানতালে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রশিক্ষণ দিয়ে এরই মধ্যে অনেক মেয়ের জীবনের গতিপথে পরিবর্তন এনেছেন। পুরুষদের পাশাপশি নারীদের ফুটবল খেলায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ৩৮ জন নারীকে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা করেছেন। এই এডাডেমিতে ৪৭  জন মেয়ে ফুটবল প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এই একাডেমির ছাত্রী হিসেবে বর্তমানে বয়স ভিত্তিক ও সিনিয়র টিমে ৪ জন ফুটবলার রয়েছেন। তারা হলেন রিতু আক্তার,মারিয়াম বিনতে আন্না,আলমিনা আক্তার  ও রুপা আক্তার। বর্তমানে একাডেমির ছাত্রী সংখ্যা ৩৫ জন।

 

মোনালিসা উইমেন স্পোর্টস একাডেমিকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছেন কামরুন্নাহারের স্বামী আনোয়ার সাদাত উজ্জ্বল ও টাঙ্গাইলের ব্যবসায়ী মির্জা মাসুদ রুবেল।

 

মুন্নি আরও জানান, ২০১০ সালে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার বাবুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সে সময় স্কুলের শিশু-কিশোরদের নিয়ে নানা খেলাধূলার আয়োজন করতেন। ২০১২ সালে ‘টাঙ্গাইল প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে’ এক বছরের জন্য প্রশিক্ষণে অংশ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে স্কুলে ফিরে গিয়ে দেখেন অনেক মেয়েই নেই, কারণ তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। 

 

কিছুদিন পর বাল্যবিয়ের শিকার এক ছাত্রীর সঙ্গে তার দেখা হয়। তার কাছ থেকে জানতে পারেন, ছোট ছোট মেয়েদের বাল্যবিয়ের ঘটনা। তখনই তিনি মেয়েদের বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন। যেহেতু বিষয়টা সামাজিক ব্যাধিতে রুপ নিয়েছে, তাই কীভাবে মেয়েদের রক্ষা করা যায় তা নিয়ে কাজ শুরু করেন।

 

এক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা তার সামনে ছিলো- বিশেষ কওে সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেয়েদেও নিয়ে যেকোন কাজ করা অনেক সময়ই কঠিন। তার উপর মেয়েদের ফুটবল খেলায় আগ্রহী কওে তোলা মানে সমাজের রেওয়াজের বিরুদ্ধে যাওয়া। তারপরও তিনি দৃঢ় সংকল্প নিয়ে মেয়েদের ফুটবল শেখাতে থাকেন। সে সময় বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেয়েদের নিয়ে ফুটবল দল গঠন করা হয়। তিনিও তার স্কুলে ফুটবল দল গঠন করেন।

 

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে কামরুন্নাহার টাঙ্গাইল শহরের ‘উত্তরণ শিশু শিক্ষালয়ে’ বদলি হয়ে আসেন। এরপর উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে দল গঠনসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পান তিনি। এ সময় গ্রামের বিভিন্ন স্কুলের মেয়েদের ফুটবল খেলায় সম্পৃক্ত করতে থাকেন। কিন্তু দেখা যায়- অনেক পরিবার মেয়েদের খেলাধূলায় আসতে দিতে চাচ্ছে না।

 

অনেক দরিদ্র পরিবারের মেয়েরা নিয়মিত টাঙ্গাইলে এসে অনুশীলনে অংশও নিতে পারে না। সেই মেয়েদের নিজের বাসায় রেখে অনুশীলন করানোর ব্যবস্থা করেন। এক পর্যায়ে ‘মোনালিসা উইমেন স্পোর্টস একাডেমি’ গঠন করেন মুন্নী। এই একাডেমিতে নিয়মিত ফুটবল প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাদের সবার থাকা-খাওয়া ও অনুশীলনের সব দায়িত্বও নিজ কাঁধে তুলে নেন।

 

শুরুর দিকে নিজের আয়ের জমানো টাকা খরচ করে মেয়েদের প্রশিক্ষণ দিতেন মুন্নী। পরে এ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘ডেইলি স্টার আনসাং উইমেন্স নেশন বিল্ডার্স’ পুরস্কার লাভ করেন। সেই পুরষ্কারের দুই লাখ টাকার পুরোটাই তিনি খরচ করেছেন তার একাডেমিতে।

 

মুন্নী বলেন, ২০১৯ সালের নভেম্বরে ভূঞাপুরের সপ্তম শ্রেণীর এক মেয়েকে অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। খবর পেয়ে মেয়েটির অভিভাবকের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাদের বুঝিয়ে মেয়েটিকে নিজের একাডেমিতে নিয়ে যান। কিছুদিন পর শোনেন বিয়ে ভেঙে গেছে। মেয়েটি পরে বিকেএসপিতে প্রমীলা ফুটবল প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে সুযোগ পায়।

 

কামরুন্নাহার মুন্নি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) অধীনে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) বি ডিপ্লোমা কোচেস কোর্স শেষ করেছেন। এর আগে ‘সি’ লাইসেন্স কোর্স করেছেন। বিকেএসপিতেও করেছেন কোচেস কোর্স। মুন্নীর একাডেমির মেয়েদের নিয়ে গড়া টাঙ্গাইল জেলা দল ২০২১ সালে এবং ২০১৯ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেণ্টে ঢাকা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়।

 

সর্বশেষ বাংলাদেশ গেমসে আনসারের হয়ে খেলেছেনে একাডেমির ফুটবলার সিরাত সাবরিন ও রূপা আক্তার। বাংলাদেশ গেমসে রৌপ্যজয়ী রাগবি দলের সবাই এই একাডেমির ছাত্রী । বিকেএসপিতে ভর্তির সুযোগওে পেয়েছেন আট নারী ক্যাডেট ফুটবলার। এ ছাড়া বিকেএসপির ফুটবলে স্বল্প মেয়াদি-দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন অন্তত ২৫ জন ছাত্রী।

 

৩৭ বছর বয়সী কামরুন্নাহার জানান, একাডেমির মেয়েরাই তার আদরের সন্তান, তাদের নিয়েই তার সব ভাবনা। মেয়েরা খেলতে চায়। কিন্তু অনেক পরিবার মেয়েদের খেলতে দিতে চায় না। তিনি মনে করেন, খেলার মাধ্যমেই বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা সম্ভব। খেলায় যুক্ত হলে মেয়েদের মধ্যে একটা নেতৃত্ববোধ তৈরি হওয়ার পাশাপাশি মনের সংকীর্ণতা দূর হয়।

 

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি জানতে চাইলে কামরুন্নাহার জানান, “বাল্যবিয়ে রোধ ও এবং ফুটবল নিয়ে চলমান কাজের প্রসার ঘটাতে চাই। প্রথম যখন মেয়েদের নিয়ে ফুটবল অনুশীলন শুরু করি, তখন অনেকেই বলতেন- এটা আমার পাগলামি। ধীরে ধীরে সফলতা আসছে।” এখন অনেকেই এটাকে আর পাগলামি মনে করে না। কোনো মেয়ের শিক্ষাজীবন যেন ঝরে না যায়, কাউকে যেন বাল্যবিয়ের শিকার হতে না হয় সেজন্য আজীবন কাজ করে যেতে চাই।”

 

মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত উজ্জ্বল বলেন, সুবিধাবঞ্চিত, বিদ্যালয়ে ঝরে পড়া মেয়েদের ফুটবল প্রশিক্ষণে কামরুন্নাহারের এ ইচ্ছেকে আমি সম্মান দেই। তার দৃষ্টিভঙ্গি ভালো, এটা ভালো লাগে। প্রথম প্রথম বিরক্ত হতাম। এখন আমিও উৎসাহ দেই এবং সহযোগিতা করার চেষ্টা করি। তার অবসর সময়কে সে সামাজিক সচেতনতার কাজে লাগায় সেটা আমারও ভালো লাগে। আগে পাগলামি মনে হলেও এখন সেটা, মনে হয় না। কারণ অনেক মেয়ে বাল্যবিবাহ থেকে মুক্ত হচ্ছে তার চেষ্টায়।

 

একাডেমির সভাপতি মির্জা মাসুদ রুবেল বলেন, কামরুন্নাহার সাধারণ জীবন-যাপনের বাইরে ভিন্নভাবে সমাজকে নিয়ে ভাবে। সে মেয়েদের আত্মপ্রত্যয়ী হতে এবং তাদের শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে পড়া রোধ করতে কাজ করছে। বাল্য বিবাহের মতো সামাজিক সমস্যা রোধে তার এই উদ্যোগ সমাজের জন্য অনুপ্রেরণামূলক মনে করি।
 

Pic

তারুণ্য ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কফি পান সহায়ক হতে পারে!

টাঙ্গাইল দর্পণ লাইফস্টাইল ডেস্ক:
সারা বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়গুলোর মধ্যে কফি অন্যতম। প্রতিদিন মানুষের মধ্যে কফি খাওয়ার প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। 

 

ইন্টারন্যাশনাল কফি অর্গানাইজেশন অনুযায়ী, প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ১০ বিলিয়ন কিলোগ্রাম কফি পান করা হয়। কফির রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্যগুণও।

 

সম্প্রতি গবেষণায় উঠে এসেছে নারীরা নিয়মিত কফি পান করলে তারুণ্য ধরে রাখে। শরীর-মন থাকবে তরতাজা। এমনই চমকে দেওয়া তথ্য দিয়েছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন কফি পানের অভ্যাস নারীদের দীর্ঘায়ু এবং সুস্থ বার্ধক্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। 

 

বিগত ৩০ বছর ধরে প্রায় ৫০ হাজার নারীর উপরে এই গবেষণায় চালানো হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৫০ বছর বয়সে প্রতিদিন এক থেকে তিন কাপ ক্যাফেইনযুক্ত কফি পানকারী নারীরা বার্ধক্যে অনেকটা সুস্থ ছিলেন। তারা বড় কোনো অসুস্থতা ছাড়াই ছিলেন শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে সুস্থ। কফি মস্তিষ্কের তীক্ষ্নতা, মনের জোর বাড়ায়, দীর্ঘস্থায়ী একাধিক জটিল রোগ থেকে দূরে রাখে।

 

৬০ বছর বা তার বেশি বয়সে কোনো গুরুতর দীর্ঘস্থায়ী রোগ, স্মৃতিশক্তির সমস্যা বা শারীরিক অক্ষমতা ছাড়াই জীবনযাপন করতে পেরেছেন এই নারীরা। কফিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহকোষের ক্ষতি এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ক্যাফেইন ছাড়াও কফিতে থাকা অন্যান্য বায়োঅ্যাক্টিভ সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

 

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, কফির এই উপকারিতা শুধু ক্যাফেইনযুক্ত কফির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। চা, ডিক্যাফ কফি বা কোলা জাতীয় অন্যান্য ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়তে এই উপকার পাওয়া যায়নি। বরং কোলা বা সফট ড্রিংক বেশি পান করলে সুস্থ বার্ধক্যের সম্ভাবনা হ্রাস পায়। কফিতে থাকা ক্যাফেইন বার্ধক্য রোধ করার পাশাপাশি কোষের ক্ষতি হওয়া আটকাতে সহায়তা করে। ডিএনএ মেরামত করে স্ট্রেস প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন কফি খেলে মেজাজ উন্নত হয় এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ে ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। বিষণ্নতা বা অ্যালজাইমার রোগের মতো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

 

এছাড়া ফ্যাটি লিভার, লিভার ফাইব্রোসিস, লিভার সিরোসিস এবং লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। টিউলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. লু কিও মনে করেন, সকালের দিকে কফি পান করা স্বাস্থ্যকর হতে পারে, তবে দিনের অন্যান্য সময় কফি পান করলে সুফল কমে যেতে পারে।

 

কফি থেকে দূর থাকবেন যারা
উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, উদ্বেগ বা ঘুমের সমস্যা রয়েছে, তাদের অবশ্যই কফি খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। অতিরিক্ত ক্যাফেইন এই সমস্যাগুলো বাড়াতে পারে।
 

Pic

বয়স বাড়লেও সুস্থ জীবন চান? ৫০-এর পর এই ৫ নিয়ম মেনে চলুন 

টাঙ্গাইল দর্পণ লাইফস্টাইল ডেস্ক:

বর্তমান সময়ে ব্যস্ত জীবনে সুস্থ থাকা যেন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। মানসিক চাপ, ভেজাল খাদ্য ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অনিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন সব মিলিয়ে শরীর ও মনের উপর পড়ছে প্রচণ্ড নেতিবাচক প্রভাব। তবে প্রতিদিনের রুটিনে কিছু সহজ অভ্যাস যোগ করলেই দীর্ঘদিন সুস্থ জীবনধারণ করা সম্ভব।

 

কম-চাপের নিয়মিত ব্যায়াম করুন
বয়স ৫০ এর পর ভারী ব্যায়াম না করে সাঁতার, নিয়মিত হাঁটা, যোগব্যায়াম ও তাই চির মতো ধীর-গতির অনুশীলন উপকারী। এতে করে মাংসপেশি সক্রিয় থাকে, জয়েন্টে চাপ পড়ে না এবং মানসিক চাপও অনেক হ্রাস পায়।

 

সমাজ ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত থাকুন
সমাজচ্যুতি ও একাকীত্ব... মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। নিয়মিত বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করা, কমিউনিটি প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া এবং স্বেচ্ছাসেবী কাজে যুক্ত থাকা মস্তিষ্ককে সচল রাখে।

 

প্রতিদিন মানসিক ব্যায়াম করুন
প্রতিদিন একটি ক্রসওয়ার্ড বা পাজল করলে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানসিক চর্চা স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাশক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে।

 

ধূমপানের অভ্যাস পরিত্যাগ করুন
ধূমপান থেকে হৃদরোগ, স্ট্রোক ও ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকগুণ বেড়ে যায়। এখনই এই ক্ষতিকর অভ্যাসগুলো ত্যাগ করলে শারীরিক সক্ষমতা বাড়বে এবং আয়ু দীর্ঘ হবে।

 

প্রোটিনসমৃদ্ধ খাদ্যাভ্যাস করুন
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাংসপেশি কমে যায়। ডিম, মাছ, বাদাম, দুধ ও লিন মাংস ও মুরগি -এই উপাদানগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখলে শরীর শক্তিশালী থাকবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
 

Logo

সম্পাদক : আবু তাহের

© ২০১৪-২০২৫ টাঙ্গাইল দর্পণ, অনলাইন নিউজ পেপার ২৪/৭