রবিবার ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২

Logo
Add Image
Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামের ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্টে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ সকালে ইতালির রাজধানী রোমের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। 

 

প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।

 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

সফরসূচি অনুযায়ী, অধ্যাপক ইউনূস ফোরামের মূল অধিবেশনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন। পাশাপাশি, তিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এসব বৈঠকে খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য নিরসন ও টেকসই উন্নয়নসহ বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে।

 

ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আয়োজিত একটি বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বিশ্বের নীতিনির্ধারক, গবেষক ও উদ্যোক্তারা খাদ্য ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে মতবিনিময় করেন।

 

এবারের ইভেন্টটি ১০ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত রোমে এফএওর সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

 

প্রধান উপদেষ্টার এই সফরকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সক্রিয় কূটনৈতিক ভূমিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

 

আগামী ১৫ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
 

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় আট বাংলাদেশী শ্রমিক নিহত হয়েছেন। 


৮ অক্টোবর, ২০২৫ বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে দেশটির দুকুম সিদরা এলাকায় মাছবাহী একটি কনটেইনার ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মাইক্রোবাসে থাকা নয়জন বাংলাদেশি শ্রমিক মাছ ধরতে সমুদ্রের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। 

 

ওমানের রাজধানী মাস্কাটে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) আসাদুল হক গণমাধ্যমকে জানান, চালকসহ নয়জন বাংলাদেশি শ্রমিক মাস্কাট থেকে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দুকুম সিদরার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মাছবাহী কনটেইনার ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আটজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং চালক গুরুতর আহত হন। আহত চালককে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের পর মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়, ফলে উদ্ধারকাজে বেশ সময় লাগে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মাস্কাটে বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নিহতদের মরদেহ দুকুমের বিভিন্ন হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

 

ওমানে বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, নিহতদের মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিহতদের আনুষ্ঠানিক পরিচয় প্রকাশ করা না হলেও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের বেশিরভাগই চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দা।

 

সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মংচিংনু মারমা বলেন, “ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় আমাদের উপজেলার সাতজন প্রবাসী নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। নিহতদের পরিবারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।”

 

স্থানীয় গণমাধ্যম ও প্রবাসী সংগঠনের সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে আছেন আমিন সওদাগর, আরজু, রকি, বাবলু, শাহাবউদ্দিন, জুয়েল, রনি ও আলাউদ্দিন।

 

দূতাবাসের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে সহায়তা এবং মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
 

Pic

নিজস্ব প্রতিনিধি:
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বেই জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন, আদেশ জারী ও উক্ত আদেশের উপর গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

 

আজ ১২ অক্টোবর, রোববার সকালে মিছিলসহ  জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গেয়ে পৌছান। পরে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী ও জেলা আমীর আহসান হাবিব মাসুদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক।

 

এসময় টাঙ্গাইল -৪ (কালিহাতী) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী ও জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভুঞাপুর) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা হুমায়ুন কবির, টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী ও জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হোসনি মোবারক বাবুল, টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখিপুর) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী ও জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা শফিকুল ইসলাম খান, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী ও জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ তালুকদার, জেলা সাংগঠনিক সেক্রেটারি মোঃ শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল সদর আমীর অধ্যাপক ইকবাল হোসেন বাদল সহ জেলার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

স্মারকলিপি প্রদানের আগে টাঙ্গাইল শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। 

 

সমাবেশ শেষে মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
 

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ অর্থনীতি ডেস্ক:
দেশজুড়েই সড়কগুলোতে এখন ইজিবাইক বা ব্যাটারিচালিত রিকশার দাপট। ওসব বাহনের কারণে আশঙ্কাজনক হারে দুর্ঘটনা বাড়ার পাশাপাশি প্রতিদিন জাতীয় গ্রিড থেকে অবৈধভাবে খরচ হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ। বর্তমানে রাজধানীর রাজপথ ব্যাটারি রিকশার দখলে। শুধু অলিগলি নয়, প্রধান সড়কেও চলছে। এমনকি বাদ থাকছে না ভিআইপি সড়কও। দ্রুতগ্রামী ওই বাহনটি হুটহাট ডানে-বাঁয়ে মোড় নেয়ার ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। পরিবহন হিসেবে সরকারি অনুমোদন না থাকলেও ইতিমধ্যে ঢাকার রাজপথে ১০ লাখেরও বেশি ব্যাটারিচালিত রিকশা নেমেছে। আর ওসব রিকশার ব্যাটারি রিচার্জ করতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ৫ হাজারেরও চার্জিং স্টেশন গড়ে উঠেছে। সেখান থেকে অবৈধ বাহনটির ব্যাটারি চার্জে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে। পুলিশ বিভাগ এবং রিকশা মালিকদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। 

 

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ঢাকার সড়কে প্রতিদিনই ৪০০ থেকে ৫০০ ব্যাটারিচালিত রিকশা যোগ হচ্ছে। রাজধানীর কামরাঙ্গীর চর, কেরানীগঞ্জ, কমলাপুর, সবুজবাগ, মান্ডা, গাজীপুর, টঙ্গীতে থাকা অন্তত ১ হাজার কারখানায় ব্যাটারিচালিত রিকশা তৈরি হচ্ছে। ব্যাটারিতে তৈরি একটি অটোরিকশার দাম ৮০ হাজার টাকা। তবে চার ব্যাটারিতে তৈরি অটোরিকশার দাম পড়ছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। বর্তমানে রাজধানীর সড়কে প্রায় ১০ লাখ ব্যাটারি রিকশা চলছে। ওসব রিকশার চার্জিং স্টেশনের বেশির ভাগেই ব্যবহার হচ্ছে অবৈধ লাইন টেনে নেয়া বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ বিভাগের অসাধু চক্র এবং স্থানীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে দিনের পর দিন ওই ব্যবসা চলছে। আরঅভিযান চলাকালে খুলে রাখা হয় অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন। 

 

সূত্র জানায়, বর্তমানে রাজধানীতে বৈধ-অবৈধ সহস্রাধিক গ্যারেজ রয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তালিকা অনুযায়ী রাজধানীর ১০টি অপরাধ বিভাগের আটটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশার ৩ হাজার ৩০০ বৈধ চার্জিং স্টেশন এবং ৪৮ হাজার ১৩৬টি অবৈধ চার্জিং পয়েন্ট ও ৯৯২টি গ্যারেজ রয়েছে। ওসব গ্যারেজে ব্যাটারি চার্জ দেয়ার সুবিধা রয়েছে। তার মধ্যে মিরপুর বিভাগের সাত থানায় আছে ৩ হাজার ৯৮৩টি চার্জিং পয়েন্ট ও ২৫৯টি গ্যারেজ। ওয়ারী বিভাগে ৩ হাজার ৫১৬ চার্জিং পয়েন্ট ও ১৩৬টি গ্যারেজ। গুলশান বিভাগে ২ হাজার ৬৪৩ চার্জিং পয়েন্ট ও ১২৮টি গ্যারেজ। উত্তরায় ১ হাজার ৩০৫ চার্জিং পয়েন্ট ও ৭২টি গ্যারেজ। মতিঝিল বিভাগে ১ হাজার ৩৯০ চার্জিং পয়েন্ট ও ৬০টি গ্যারেজ। লালবাগে ১৯৯ চার্জিং পয়েন্ট ও ৭৭টি গ্যারেজ রয়েছে। তাছাড়া পুলিশ তেজগাঁও বিভাগে ২৩৪ এবং রমনা বিভাগে ২৬টি অবৈধ গ্যারেজের সন্ধান পেয়েছে। রিকশার একেকটি গ্যারেজে ৮০ থেকে ১৫০টি রিকশা রাখা হয়। 

 

একটি ইজিবাইকের জন্য সাধারণত চার থেকে পাঁচটি ১২ ভোল্টের ব্যাটারির দরকার হয়। আর প্রতি সেট ব্যাটারি চার্জের জন্য গড়ে ৯০০ থেকে ১ হাজার ১০০ ওয়াট হিসেবে ৫ থেকে ৬ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়। ওই হিসেবে প্রায় ১০ লাখ ইজিবাইক বা ব্যাটারিচালিত রিকশা চার্জে জাতীয় গ্রিড থেকে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ গ্যারেজে চুরি করে ও লুকিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে ব্যাটারিচালিত রিকশা রাজধানীতে নিষিদ্ধ হলেও ব্যাটারি চার্জে অনুমতি দিয়েছে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। তাদের অনুমোদিত ৩ হাজার ৩০০ চার্জিং স্টেশন রয়েছে। তার মধ্যে ডিপিডিসির রয়েছে ২ হাজার ১৪৯টি। ডিপিডিসির তথ্যানুযায়ী তাদের প্রতিদিন বিদ্যুৎ খরচ ২৬ দশমিক ১৬২ মেগাওয়াট। 

 

সূত্র আরো জানায়, বিগত ২০১৪ সালে তৎকালীন সরকার ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছিল। ব্যাটারিচালিত রিকশা বিগত সময় নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও নিয়ন্ত্রণ না করায় এখন সড়কে তাদেরই আধিক্য। বর্তমানে রাজধানীর ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলো ক্যানসারে পরিণত হয়েছে। আর ওই ক্যানসার এখন সর্বশেষ স্টেজে রয়েছে। যে কোনো সময় বিপদ ঘটাতে পারে। এ নিয়ে সরকারকে দ্রুত কাজ করতে হবে। না হলে ঢাকাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। 

 

এদিকে আইসিডিডিআরবির এক গবেষণায় ঢাকার শিশুদের রক্তে স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ গুণ বেশি ক্ষতিকর সিসার উপস্থিতির জন্য ব্যাটারিচালিত রিকশাকে দায়ী করা হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়, রিকশাপ্রতি গড়ে ২০ কেজি সিসা হিসেবে ধরলে সারা দেশে ৪০ লাখ বাহনে প্রতি বছর ৮০ কোটি কেজি সিসা পরিবেশে যুক্ত হচ্ছে। আর সিসা ধ্বংস হয় না। ব্যাটারি পোড়ানোর পরও ৮০ ভাগ সিসা ফেরত থাকে। তার ২০ ভাগ মাটি, নদী, খাল, বিলসহ পরিবেশে নিক্ষিপ্ত হয়। ওসব সিসা মাছ, হাঁস-মুরগি ও অন্যান্য প্রাণীর শরীরে গিয়ে খাদ্যচক্রের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে। বর্তমানে দেশের আনাচকানাচে, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে অনানুষ্ঠানিক ব্যাটারি ভাঙার কারখানা গড়ে উঠেছে। সেখানে কোনোরকম সুরক্ষা ছাড়াই ব্যাটারি ভেঙে পানিতে ধুয়ে সিসা বের করার কাজ করা হয়। আবার ব্যবহৃত সিসা আগুনে গলিয়ে গোলা তৈরি করে নতুন ব্যাটারি তৈরির কারখানায় বিক্রি করা হয়। 

 

অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ খোকন জানান, দুই বছর আগেও এ সংখ্যা ২ লাখ ছিল। বর্তমানে ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। বিশেষ করে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরই তা হুহু করে বাড়তে থাকে। অ্যাসিড ব্যাটারিতে চালিত ওসব পরিবহন পরিবেশের জন্য ভয়ংকর। প্রণীত নীতিমালায় অ্যাসিড ব্যাটারির স্থলে লিথিয়াম ব্যাটারি বাধ্যতামূলক করা হলেও দেশে এখন পর্যন্ত কোনো লিথিয়াম ব্যাটারির রিকশা নেই।

 

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক জানান, বর্তমানে রাজধানীসহ সারা দেশে প্রায় ৬০ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা রয়েছে। রাজধানীতেই রয়েছে ৮ লাখের ওপরে। চট্টগ্রামে রয়েছে ৩ লাখ। ওসব পরিবহন প্রধান সড়কের জন্য খুবই বিপজ্জনক। সেজন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন।
 

আলোচিত খবর

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামের ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্টে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ সকালে ইতালির রাজধানী রোমের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। 

 

প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।

 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

সফরসূচি অনুযায়ী, অধ্যাপক ইউনূস ফোরামের মূল অধিবেশনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন। পাশাপাশি, তিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এসব বৈঠকে খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য নিরসন ও টেকসই উন্নয়নসহ বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে।

 

ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আয়োজিত একটি বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বিশ্বের নীতিনির্ধারক, গবেষক ও উদ্যোক্তারা খাদ্য ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে মতবিনিময় করেন।

 

এবারের ইভেন্টটি ১০ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত রোমে এফএওর সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

 

প্রধান উপদেষ্টার এই সফরকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সক্রিয় কূটনৈতিক ভূমিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

 

আগামী ১৫ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
 

Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় আট বাংলাদেশী শ্রমিক নিহত হয়েছেন। 


৮ অক্টোবর, ২০২৫ বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে দেশটির দুকুম সিদরা এলাকায় মাছবাহী একটি কনটেইনার ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মাইক্রোবাসে থাকা নয়জন বাংলাদেশি শ্রমিক মাছ ধরতে সমুদ্রের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। 

 

ওমানের রাজধানী মাস্কাটে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) আসাদুল হক গণমাধ্যমকে জানান, চালকসহ নয়জন বাংলাদেশি শ্রমিক মাস্কাট থেকে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দুকুম সিদরার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মাছবাহী কনটেইনার ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আটজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং চালক গুরুতর আহত হন। আহত চালককে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের পর মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়, ফলে উদ্ধারকাজে বেশ সময় লাগে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মাস্কাটে বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নিহতদের মরদেহ দুকুমের বিভিন্ন হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

 

ওমানে বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, নিহতদের মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিহতদের আনুষ্ঠানিক পরিচয় প্রকাশ করা না হলেও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের বেশিরভাগই চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দা।

 

সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মংচিংনু মারমা বলেন, “ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় আমাদের উপজেলার সাতজন প্রবাসী নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। নিহতদের পরিবারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।”

 

স্থানীয় গণমাধ্যম ও প্রবাসী সংগঠনের সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে আছেন আমিন সওদাগর, আরজু, রকি, বাবলু, শাহাবউদ্দিন, জুয়েল, রনি ও আলাউদ্দিন।

 

দূতাবাসের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে সহায়তা এবং মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
 

Pic

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুটি একাডেমিক গবেষণার ফলাফল দেখায় যে জো বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন গত দুই বছরে ইহুদিবাদী ইসরায়েল এবং এই অঞ্চলে অভিযানের জন্য সামরিক সহায়তা দিতে ৩২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয় করেছে যা ছাড়া গাজা যুদ্ধ অব্যাহত রাখা অসম্ভব হত।

 

ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে কমপক্ষে ২১.৭ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দিয়েছে যার মধ্যে ১৭.৯ বিলিয়ন ডলার প্রথম বছরে এবং ৩.৮ বিলিয়ন ডলার দ্বিতীয় বছরে। এছাড়াও, মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা অভিযানে আরও প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়েছে।

 

ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াটসন স্কুলের "যুদ্ধের খরচ" প্রকল্প দ্বারা প্রকাশিত প্রতিবেদনে জোর দেওয়া হয়েছে যে এই ব্যাপক সহায়তা ছাড়া ইসরায়েল গাজায় তার সামরিক অভিযান চালিয়ে যেতে সক্ষম হত না। নথিপত্র দেখায় যে শুধুমাত্র যুদ্ধের প্রথম ১০ দিনেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্রের পাঁচটি বড় চালান ইসরায়েলে পৌঁছেছে।

 

ইরানি স্টুডেন্টস নিউজ এজেন্সি ইরনার উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, বাইডেন প্রশাসন কংগ্রেসের তদারকি এড়িয়ে দুবার অস্ত্র বিক্রির জন্য বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ১০৬.৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ১৪,০০০ ট্যাঙ্ক শেল এবং ১৪৭.৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের অন্যান্য অস্ত্র বিক্রি।

 

হোয়াইট হাউস এবং পেন্টাগন এই বিষয়ে স্পষ্টীকরণের অনুরোধের জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। গবেষকরা সতর্ক করেছেন যে ভবিষ্যতে ইসরায়েলকে বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত সহায়তা দেওয়া হবে।

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইহুদিবাদী সরকার ৭ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ শুরু করে যা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং মারাত্মক দুর্ভিক্ষের পাশাপাশি হাজার হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা ও আহত করেছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

 

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অমান্য করে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব এবং গণহত্যা প্রতিরোধ এবং গাজা উপত্যকার বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতির উন্নতির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে তেল আবিব গাজার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে গণহত্যামূলক অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।
 

Pic

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুটি একাডেমিক গবেষণার ফলাফল দেখায় যে জো বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন গত দুই বছরে ইহুদিবাদী ইসরায়েল এবং এই অঞ্চলে অভিযানের জন্য সামরিক সহায়তা দিতে ৩২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয় করেছে যা ছাড়া গাজা যুদ্ধ অব্যাহত রাখা অসম্ভব হত।

 

ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে কমপক্ষে ২১.৭ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দিয়েছে যার মধ্যে ১৭.৯ বিলিয়ন ডলার প্রথম বছরে এবং ৩.৮ বিলিয়ন ডলার দ্বিতীয় বছরে। এছাড়াও, মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা অভিযানে আরও প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়েছে।

 

ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াটসন স্কুলের "যুদ্ধের খরচ" প্রকল্প দ্বারা প্রকাশিত প্রতিবেদনে জোর দেওয়া হয়েছে যে এই ব্যাপক সহায়তা ছাড়া ইসরায়েল গাজায় তার সামরিক অভিযান চালিয়ে যেতে সক্ষম হত না। নথিপত্র দেখায় যে শুধুমাত্র যুদ্ধের প্রথম ১০ দিনেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্রের পাঁচটি বড় চালান ইসরায়েলে পৌঁছেছে।

 

ইরানি স্টুডেন্টস নিউজ এজেন্সি ইরনার উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, বাইডেন প্রশাসন কংগ্রেসের তদারকি এড়িয়ে দুবার অস্ত্র বিক্রির জন্য বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ১০৬.৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ১৪,০০০ ট্যাঙ্ক শেল এবং ১৪৭.৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের অন্যান্য অস্ত্র বিক্রি।

 

হোয়াইট হাউস এবং পেন্টাগন এই বিষয়ে স্পষ্টীকরণের অনুরোধের জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। গবেষকরা সতর্ক করেছেন যে ভবিষ্যতে ইসরায়েলকে বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত সহায়তা দেওয়া হবে।

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইহুদিবাদী সরকার ৭ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ শুরু করে যা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং মারাত্মক দুর্ভিক্ষের পাশাপাশি হাজার হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা ও আহত করেছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

 

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অমান্য করে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব এবং গণহত্যা প্রতিরোধ এবং গাজা উপত্যকার বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতির উন্নতির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে তেল আবিব গাজার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে গণহত্যামূলক অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।
 

Add

Site Counter

Online

70

Total

29k

Pic

মোঃ নুর আলম, গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
টাইফয়েড জ্বর একটি প্রতিরোধযোগ্য মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা দূষিত পানি ও খাদ্যের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং অনেক সময় প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। এই রোগ প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকার সারাদেশে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছে।

 

এরই অংশ হিসেবে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।


রবিবার (১২ অক্টোবর, ২০২৫) সকালে পৌর এলাকার পোড়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তুহিন হোসেন।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোক্তার আশরাফ উদ্দিন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খাইরুল আলম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মফিজুর রহমান এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, টাইফয়েড জ্বর একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ। মাত্র এক ডোজ টিকা গ্রহণের মাধ্যমে এই রোগ থেকে কার্যকরভাবে সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব।

 

গোপালপুর উপজেলায় মোট ৫৩,৩৮০ জন শিশুকে টাইফয়েড টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।


প্রথম পর্যায়ে নগদা শিমলা, হেমনগর, ঝাওয়াইল ও ধোপাকান্দি ইউনিয়নের প্রতিটি তিনটি করে ওয়ার্ডে এবং গোপালপুর পৌরসভার তিনটি কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার ১২ অক্টোবর ২০২৫ থেকে সারাদেশে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু করেছে।

 

বক্তারা অভিভাবকদের সন্তানদের টিকা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে আহ্বান জানান এবং টিকাদান কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে সবাইকে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
 


Pic

টাঙ্গাইল দর্পণ স্পোর্টস ডেস্ক:
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ব্যাট হাতে বিপর্যয়ের আরেক গল্প লিখল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের করা মাত্র ১৯০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৮ দশমিক ৩ ওভারে অলআউট হয় মেহেদী হাসান মিরাজের দল। হার ৮১ রানের, সিরিজও শেষ এক ম্যাচ হাতে রেখেই চলে গেল আফগানদের দখলে।

 

মিরাজ টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েও বলেছিলেন, এই উইকেটে ২৪০–২৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করা সম্ভব। আফগানিস্তান করতে পারল কেবল ১৯০। কিন্তু সেই লক্ষ্যও টাইগারদের জন্য হয়ে গেল অতিক্রমণ অযোগ্য পাহাড়। প্রথম ওভার থেকেই শুরু হয় বিপর্যয়। আজমাতউল্লাহ ওমারজাইয়ের শর্ট বলে প্রথম ওভারেই ক্যাচ তুলে দেন তানজিদ হাসান (০)। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত রান আউট (৭), আর সাইফ হাসান কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও (২২) টিকে থাকতে পারেননি।

 

এক সময় ব্যাটিংয়ের ভরসা হিসেবে যাদের দেখা যেত, সেই তাওহিদ হৃদয় ও অধিনায়ক মিরাজও ব্যর্থ। মিরাজ আউট হন মাত্র ৪ রানে। দলের হাল ধরতে চেষ্টার পরও হৃদয় (২৪) আত্মঘাতী শটে ফিরলে বাংলাদেশ কার্যত হার মেনে নেয়। এরপর নুরুল হাসান সোহান (১৮), তানজিম হাসান, রিশাদ হোসেন, তানভির ইসলাম কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১০৯ রানে গুটিয়ে যায় দল।

 

আফগান বোলারদের মধ্যে রশিদ খান ছিলেন আগুনঝরা। ৮ দশমিক ৩ ওভারে ১৭ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে একাই গুঁড়িয়ে দেন বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। ওমারজাইও নতুন বলে ধ্বংসযজ্ঞে যোগ দেন তিনটি উইকেট নিয়ে।

 

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে আফগানিস্তানের ইনিংসও ছিল টালমাটাল। তানজিম হাসান, মিরাজ ও রিশাদদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে একের পর এক উইকেট হারায় তারা। কিন্তু ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান এক প্রান্ত আগলে রেখে ১৪০ বল খেলে ৯৫ রানের অনন্য ইনিংস খেলেন। চার মারেন তিনটি, ছক্কা একটি। আফগানদের ১৯০ রানের অর্ধেকের বেশি আসে তার ব্যাট থেকে।

 

বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ, দুটি করে উইকেট পান তানজিম হাসান ও রিশাদ হোসেন। কিন্তু তাদের পরিশ্রম মাটি করে দেয় ব্যাটিং ব্যর্থতা।

 

এই পরাজয়ে টানা চতুর্থ ওয়ানডে সিরিজ হারল বাংলাদেশ। আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে এটি টানা তৃতীয় সিরিজ হার। একসময় ওয়ানডেতে শক্তিশালী দল হিসেবে বিবেচিত বাংলাদেশ এখন হারছে প্রায় নিয়মিতভাবে।

 

ম্যাচ শেষে হতাশ মিরাজ বলেন, “আমাদের ব্যাটারদের আরও দায়িত্ব নিতে হবে। এই উইকেটে ১৯০ রান তাড়া না করতে পারাটা হতাশাজনক।”

 

আফগানিস্তানের এই জয়ে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ নির্বাচিত হন ইব্রাহিম জাদরান। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গলবার।

 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান  :  ১৯০ (ইব্রাহিম ৯৫, মিরাজ ৩ উইকেট)
বাংলাদেশ        :  ১০৯ (রশিদ ৫ উইকেট, ওমারজাই ৩ উইকেট)
ফলাফল          :  আফগানিস্তান জয়ী ৮১ রানে
সিরিজ
            :  আফগানিস্তান এগিয়ে ২–০

 

টাঙ্গাইলে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের দাবীতে জামায়াতের স্মারকলিপি প্রদান

নিজস্ব প্রতিনিধি:
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বেই জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন, আদেশ জারী ও উক্ত আদেশের উপর গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

 

আজ ১২ অক্টোবর, রোববার সকালে মিছিলসহ  জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গেয়ে পৌছান। পরে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী ও জেলা আমীর আহসান হাবিব মাসুদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক।

 

এসময় টাঙ্গাইল -৪ (কালিহাতী) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী ও জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভুঞাপুর) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা হুমায়ুন কবির, টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী ও জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হোসনি মোবারক বাবুল, টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখিপুর) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী ও জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা শফিকুল ইসলাম খান, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী ও জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ তালুকদার, জেলা সাংগঠনিক সেক্রেটারি মোঃ শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল সদর আমীর অধ্যাপক ইকবাল হোসেন বাদল সহ জেলার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

স্মারকলিপি প্রদানের আগে টাঙ্গাইল শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। 

 

সমাবেশ শেষে মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
 

জাতীয় স্বার্থে জোটের প্রয়োজনে এনসিপি প্রস্তুত : আখতার হোসেন

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন শনিবার দুপুরে রংপুর নগরীর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শহীদ আবু সাঈদ চত্ত্বরে নেতাকর্মীদের সাথে কুশল বিনিময় শেষে তিনি সাংবাদিকদের বললেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এনসিপি নিবন্ধন পাওয়ার সকল ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এনসিপির পক্ষ থেকে কোনো দলের সাথে জোট বিষয়ে আলোচনা করা হয়নি। আমরা মনে করি, জাতীয় স্বার্থ রক্ষায়, দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষার জন্য যদি কারো সাথে জোটের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, তাহলে আর্দশিক জায়গা থেকে প্রয়োজন বিবেচনায় সেই ধরনের জোটের জন্য আমরা ওপেন রয়েছি।”

 

আখতার হোসেন বলেন, শুধু যেনতেনভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে উপদেষ্টাদের দায়মুক্তি সম্ভব নয়। অবশ্যই তাদের জনগণের পক্ষে গণঅভুত্থানে পাওয়া দায়িত্ব পুঙ্খানুপুঙ্খানু বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে উপদেষ্টারা সেফ এক্সিট পেতে পারেন। 

 

‘উপদেষ্টা পরিষদের দীর্ঘ সময়ের কার্যকলাপ দেখে মনে হচ্ছে তারা ক্ষমতা হস্তান্তর করে চলে যেতে চান। সেফ এক্সিট নেওয়ার মানসিকতার সেই জায়গা থেকে পরিবর্তন যেন আসে, জনগণ তাদের যে দায়িত্বে অধিষ্ঠিত করেছে, সেই দায়িত্ব পালনে যেন কোনো ধরনের ফাঁকিবাজি তৈরি না হয় এটি আমাদের প্রত্যাশা। উপদেষ্টাদের পলায়নপর মানিসকতায় সেফ এক্সিট নিয়ে তারা শুধু ক্ষমতা হস্তান্তর করে বেঁচে যাবে বিষয়টি এমন নয়’-উল্লেখ করেন এনসিপির এ নেতা।

 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব জুলাই সনদে স্বাক্ষর প্রসঙ্গে বলেন, “জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়ার বিষয়ে সরকার তাদের তরফ থেকে আশ্বস্ত করেছে। আগামীতে গণভোটের মাধ্যমে সংসদকে একটি ক্ষমতা দিয়ে সেগুলো টেকসইভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার কথা সরকার ও ঐক্যমত কমিশন থেকে জানানো হয়েছে। জুলাই সনদের অর্জনকে ধারণ করতে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এনসিপি অংশ নেবে। সরকার যেন জুলাই ঘোষণাপত্রের মতো বিতর্কিত একপেশি আচরণ কিংবা কোন একটি দলের হয়ে কথা না বলে। জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতিতে যে জায়গাগুলো সুনির্দিষ্ট হয়নি, সেই জায়গায় সরকার যেন কোনো দলের দ্বারা নির্ধারিত না হয়ে জনগণের প্রত্যাশার জায়গায় সত্যিকারের আইনি ভিত্তি দিতে কাজ করে।”

 

তিনি বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যদি মাঠ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করা না যায়, বিচার ও সংস্কার দৃশ্যমান করা না হয়, তাহলে নির্বাচনের মহোৎসব অর্জন করা সম্ভব হবে না। নির্বাচন নিয়ে সরকারের প্রস্তুতি ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল দলের কাছে ও জনগণের কাছে যেন গ্রহণযোগ্য হয়, ক্ষেত্রে সর্বাত্মক ভূমিকা পালন করতে হবে।”

 

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য সফল করতে খুন, গুম, আয়নাঘরের বন্দি রাখার সাথে জড়িত সেনাবাহিনী, ডিজিএফআই, র‌্যাবের যেসকল সিনিয়র কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন, তাদের অনেকের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার হচ্ছে। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি-যোগ করেন আখতার হোসেন।
 

অবিলম্বে পিআরসহ ৫ দফা মেনে নেয়ার দাবী ইসলামী আন্দোলনের

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
সাধারণ জনতার চাওয়া পূরণের জন্যই পিআর পদ্ধতির প্রস্তাব করছি দাবি করে ইসলামী আন্দোলনের নেতারা বলেছেন, অবিলম্বে পিআরসহ ৫দফা দাবি মেনে নিন। যাতে কোনোদিনই দেশে স্বৈরতন্ত্র ফিরে আসতে না পারে।

 

আজ ১০ অক্টোবর, ২০২৫ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে গণমিছিলপূর্ব সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

 

ইসলামী আন্দোলনের নেতারা বলেন, দেশের এতোগুলো রাজনৈতিক সংগঠন ধারাবাহিকভাবে রাজপথে আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। অথচ আমাদের দাবির যৌক্তিকতা সুস্পষ্ট। যারা আমাদের সন্তানদের হত্যা করেছে, যারা সেই হত্যাকাণ্ডে সহায়তা করেছে তাদের বিচারের মতো মৌলিক দাবি নিয়ে আমরা রাজপথে আন্দোলন করছি।

 

বক্তারা আরও বলেন, জুলাইয়ের রক্তের চাহিদা ছিল দেশ থেকে স্বৈরতন্ত্রকে চিরস্থায়ী বিলোপের ব্যবস্থা করা। জনতার সেই চাওয়া পূরণের জন্যই আমরা পিআর পদ্ধতির প্রস্তাব করছি। যাতে কোনোদিনই দেশে স্বৈরতন্ত্র ফিরে না আসতে পারে। এসব দাবির প্রতি সরকারের উদাসীনতা গ্রহণযোগ্য না।

 

জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন, গণহত্যার বিচার, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার ও বিচারকালীন তাদের দলকে নিষিদ্ধকরণের দাবিতে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের ২য় দফার কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহসহ দেশের সব বিভাগীয় শহরে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

ঢাকায় বৃষ্টির জন্য আছরের পরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিলে বিভাগীয় নেতারা বক্তব্য দেন।

 

ঢাকায় অনুষ্ঠিত মিছিলে নেতৃত্ব দেন দলের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই। দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, শায়েখে চরমোনাইসহ দলের শীর্ষ নেতারা। 

 

সভাপতিত্ব করেন দলের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ এবং প্রধান বক্তা ছিলেন মাওলানা ইমতিয়াজ আলম।

Pic

নারী ফুটবল অঙ্গনে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন কামরুন্নাহার মুন্নি

টাঙ্গাইলের কামরুন্নাহার মুন্নি একজন স্কুল শিক্ষক। সেই সাথে তিনি সফল নারী ফুটবল কোচ এবং দেশের ক্রীড়াঙ্গনের এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। 

 

মুন্নি শুধু ফুটবল প্রশিক্ষণই দেন না, বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক সমস্যা নিয়েও কাজ করেন। তিনি মেয়েদের খেলাধুলার মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করতে এবং তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতেও নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

 

সেই লক্ষ্যে ২০১০ সালে তিনি টাঙ্গাইল শহরের বেড়াডোমায় মোনালিসা উইমেন স্পোর্টস একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন এবং মেয়েদের ফুটবল প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি তিনি বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধেও কাজ করেছেন। 

 

কামরুন্নাহারকে নিয়ে তৈরি একটি প্রামাণ্যচিত্র ৭৪তম কানচলচ্চিত্র উৎসবে বাণিজ্যিক শাখায় ‘মার্সে দ্য ফিল্ম’-এ নির্বাচিত হয়ে পুরস্কার লাভ করে। প্রামাণ্যচিত্রটির কারণে কামরুন্নাহারের বাল্যবিয়ে ঠেকানোর কথা দেশ পেরিয়ে বিশ্বের কাছে পৌঁছে গেছে।

 

মোনালিসা উইমেন স্পোর্টস একাডেমিতে আলাপকালে সমাজের ‘প্রতিকূল’ পরিবেশের বিরুদ্ধে ‘সংগ্রাম’ চালিয়ে যাবার গল্পই তুলে ধরেন মুন্নি।

 

কামরুন্নাহার মুন্নি জানান, সদ্য কৈশোরে পা দেওয়া মেয়েদের হঠাৎ বিয়ে হয়ে যাচ্ছিল। যে বয়সে মেয়েদের লেখাপড়া আর হাসি খেলায় মেতে থাকার কথা, সেই বয়সে তাদের ধরতে হচ্ছিল সংসারের হাল। নিজ ছাত্রীদের এমন পরিণতি দেখে স্কুলশিক্ষিকা কামরুন্নাহার মুন্নি তাদেও জন্য কিছু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাই বাল্যবিয়ে ঠেকানোর কৌশল হিসেবে ছাত্রীদের ফুটবল প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন।

 

পেশায় শিক্ষিকা কামরুন্নাহার নারীদের ফুটবলে ‘বিপ্লব ঘটানো’ এবং ‘বাল্যবিবাহ রোধে’ সমানতালে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রশিক্ষণ দিয়ে এরই মধ্যে অনেক মেয়ের জীবনের গতিপথে পরিবর্তন এনেছেন। পুরুষদের পাশাপশি নারীদের ফুটবল খেলায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ৩৮ জন নারীকে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা করেছেন। এই এডাডেমিতে ৪৭  জন মেয়ে ফুটবল প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এই একাডেমির ছাত্রী হিসেবে বর্তমানে বয়স ভিত্তিক ও সিনিয়র টিমে ৪ জন ফুটবলার রয়েছেন। তারা হলেন রিতু আক্তার,মারিয়াম বিনতে আন্না,আলমিনা আক্তার  ও রুপা আক্তার। বর্তমানে একাডেমির ছাত্রী সংখ্যা ৩৫ জন।

 

মোনালিসা উইমেন স্পোর্টস একাডেমিকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছেন কামরুন্নাহারের স্বামী আনোয়ার সাদাত উজ্জ্বল ও টাঙ্গাইলের ব্যবসায়ী মির্জা মাসুদ রুবেল।

 

মুন্নি আরও জানান, ২০১০ সালে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার বাবুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সে সময় স্কুলের শিশু-কিশোরদের নিয়ে নানা খেলাধূলার আয়োজন করতেন। ২০১২ সালে ‘টাঙ্গাইল প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে’ এক বছরের জন্য প্রশিক্ষণে অংশ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে স্কুলে ফিরে গিয়ে দেখেন অনেক মেয়েই নেই, কারণ তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। 

 

কিছুদিন পর বাল্যবিয়ের শিকার এক ছাত্রীর সঙ্গে তার দেখা হয়। তার কাছ থেকে জানতে পারেন, ছোট ছোট মেয়েদের বাল্যবিয়ের ঘটনা। তখনই তিনি মেয়েদের বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন। যেহেতু বিষয়টা সামাজিক ব্যাধিতে রুপ নিয়েছে, তাই কীভাবে মেয়েদের রক্ষা করা যায় তা নিয়ে কাজ শুরু করেন।

 

এক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা তার সামনে ছিলো- বিশেষ কওে সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেয়েদেও নিয়ে যেকোন কাজ করা অনেক সময়ই কঠিন। তার উপর মেয়েদের ফুটবল খেলায় আগ্রহী কওে তোলা মানে সমাজের রেওয়াজের বিরুদ্ধে যাওয়া। তারপরও তিনি দৃঢ় সংকল্প নিয়ে মেয়েদের ফুটবল শেখাতে থাকেন। সে সময় বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেয়েদের নিয়ে ফুটবল দল গঠন করা হয়। তিনিও তার স্কুলে ফুটবল দল গঠন করেন।

 

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে কামরুন্নাহার টাঙ্গাইল শহরের ‘উত্তরণ শিশু শিক্ষালয়ে’ বদলি হয়ে আসেন। এরপর উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে দল গঠনসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পান তিনি। এ সময় গ্রামের বিভিন্ন স্কুলের মেয়েদের ফুটবল খেলায় সম্পৃক্ত করতে থাকেন। কিন্তু দেখা যায়- অনেক পরিবার মেয়েদের খেলাধূলায় আসতে দিতে চাচ্ছে না।

 

অনেক দরিদ্র পরিবারের মেয়েরা নিয়মিত টাঙ্গাইলে এসে অনুশীলনে অংশও নিতে পারে না। সেই মেয়েদের নিজের বাসায় রেখে অনুশীলন করানোর ব্যবস্থা করেন। এক পর্যায়ে ‘মোনালিসা উইমেন স্পোর্টস একাডেমি’ গঠন করেন মুন্নী। এই একাডেমিতে নিয়মিত ফুটবল প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাদের সবার থাকা-খাওয়া ও অনুশীলনের সব দায়িত্বও নিজ কাঁধে তুলে নেন।

 

শুরুর দিকে নিজের আয়ের জমানো টাকা খরচ করে মেয়েদের প্রশিক্ষণ দিতেন মুন্নী। পরে এ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘ডেইলি স্টার আনসাং উইমেন্স নেশন বিল্ডার্স’ পুরস্কার লাভ করেন। সেই পুরষ্কারের দুই লাখ টাকার পুরোটাই তিনি খরচ করেছেন তার একাডেমিতে।

 

মুন্নী বলেন, ২০১৯ সালের নভেম্বরে ভূঞাপুরের সপ্তম শ্রেণীর এক মেয়েকে অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। খবর পেয়ে মেয়েটির অভিভাবকের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাদের বুঝিয়ে মেয়েটিকে নিজের একাডেমিতে নিয়ে যান। কিছুদিন পর শোনেন বিয়ে ভেঙে গেছে। মেয়েটি পরে বিকেএসপিতে প্রমীলা ফুটবল প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে সুযোগ পায়।

 

কামরুন্নাহার মুন্নি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) অধীনে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) বি ডিপ্লোমা কোচেস কোর্স শেষ করেছেন। এর আগে ‘সি’ লাইসেন্স কোর্স করেছেন। বিকেএসপিতেও করেছেন কোচেস কোর্স। মুন্নীর একাডেমির মেয়েদের নিয়ে গড়া টাঙ্গাইল জেলা দল ২০২১ সালে এবং ২০১৯ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেণ্টে ঢাকা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়।

 

সর্বশেষ বাংলাদেশ গেমসে আনসারের হয়ে খেলেছেনে একাডেমির ফুটবলার সিরাত সাবরিন ও রূপা আক্তার। বাংলাদেশ গেমসে রৌপ্যজয়ী রাগবি দলের সবাই এই একাডেমির ছাত্রী । বিকেএসপিতে ভর্তির সুযোগওে পেয়েছেন আট নারী ক্যাডেট ফুটবলার। এ ছাড়া বিকেএসপির ফুটবলে স্বল্প মেয়াদি-দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন অন্তত ২৫ জন ছাত্রী।

 

৩৭ বছর বয়সী কামরুন্নাহার জানান, একাডেমির মেয়েরাই তার আদরের সন্তান, তাদের নিয়েই তার সব ভাবনা। মেয়েরা খেলতে চায়। কিন্তু অনেক পরিবার মেয়েদের খেলতে দিতে চায় না। তিনি মনে করেন, খেলার মাধ্যমেই বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা সম্ভব। খেলায় যুক্ত হলে মেয়েদের মধ্যে একটা নেতৃত্ববোধ তৈরি হওয়ার পাশাপাশি মনের সংকীর্ণতা দূর হয়।

 

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি জানতে চাইলে কামরুন্নাহার জানান, “বাল্যবিয়ে রোধ ও এবং ফুটবল নিয়ে চলমান কাজের প্রসার ঘটাতে চাই। প্রথম যখন মেয়েদের নিয়ে ফুটবল অনুশীলন শুরু করি, তখন অনেকেই বলতেন- এটা আমার পাগলামি। ধীরে ধীরে সফলতা আসছে।” এখন অনেকেই এটাকে আর পাগলামি মনে করে না। কোনো মেয়ের শিক্ষাজীবন যেন ঝরে না যায়, কাউকে যেন বাল্যবিয়ের শিকার হতে না হয় সেজন্য আজীবন কাজ করে যেতে চাই।”

 

মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত উজ্জ্বল বলেন, সুবিধাবঞ্চিত, বিদ্যালয়ে ঝরে পড়া মেয়েদের ফুটবল প্রশিক্ষণে কামরুন্নাহারের এ ইচ্ছেকে আমি সম্মান দেই। তার দৃষ্টিভঙ্গি ভালো, এটা ভালো লাগে। প্রথম প্রথম বিরক্ত হতাম। এখন আমিও উৎসাহ দেই এবং সহযোগিতা করার চেষ্টা করি। তার অবসর সময়কে সে সামাজিক সচেতনতার কাজে লাগায় সেটা আমারও ভালো লাগে। আগে পাগলামি মনে হলেও এখন সেটা, মনে হয় না। কারণ অনেক মেয়ে বাল্যবিবাহ থেকে মুক্ত হচ্ছে তার চেষ্টায়।

 

একাডেমির সভাপতি মির্জা মাসুদ রুবেল বলেন, কামরুন্নাহার সাধারণ জীবন-যাপনের বাইরে ভিন্নভাবে সমাজকে নিয়ে ভাবে। সে মেয়েদের আত্মপ্রত্যয়ী হতে এবং তাদের শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে পড়া রোধ করতে কাজ করছে। বাল্য বিবাহের মতো সামাজিক সমস্যা রোধে তার এই উদ্যোগ সমাজের জন্য অনুপ্রেরণামূলক মনে করি।
 

Pic

তারুণ্য ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কফি পান সহায়ক হতে পারে!

টাঙ্গাইল দর্পণ লাইফস্টাইল ডেস্ক:
সারা বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়গুলোর মধ্যে কফি অন্যতম। প্রতিদিন মানুষের মধ্যে কফি খাওয়ার প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। 

 

ইন্টারন্যাশনাল কফি অর্গানাইজেশন অনুযায়ী, প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ১০ বিলিয়ন কিলোগ্রাম কফি পান করা হয়। কফির রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্যগুণও।

 

সম্প্রতি গবেষণায় উঠে এসেছে নারীরা নিয়মিত কফি পান করলে তারুণ্য ধরে রাখে। শরীর-মন থাকবে তরতাজা। এমনই চমকে দেওয়া তথ্য দিয়েছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন কফি পানের অভ্যাস নারীদের দীর্ঘায়ু এবং সুস্থ বার্ধক্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। 

 

বিগত ৩০ বছর ধরে প্রায় ৫০ হাজার নারীর উপরে এই গবেষণায় চালানো হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৫০ বছর বয়সে প্রতিদিন এক থেকে তিন কাপ ক্যাফেইনযুক্ত কফি পানকারী নারীরা বার্ধক্যে অনেকটা সুস্থ ছিলেন। তারা বড় কোনো অসুস্থতা ছাড়াই ছিলেন শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে সুস্থ। কফি মস্তিষ্কের তীক্ষ্নতা, মনের জোর বাড়ায়, দীর্ঘস্থায়ী একাধিক জটিল রোগ থেকে দূরে রাখে।

 

৬০ বছর বা তার বেশি বয়সে কোনো গুরুতর দীর্ঘস্থায়ী রোগ, স্মৃতিশক্তির সমস্যা বা শারীরিক অক্ষমতা ছাড়াই জীবনযাপন করতে পেরেছেন এই নারীরা। কফিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহকোষের ক্ষতি এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ক্যাফেইন ছাড়াও কফিতে থাকা অন্যান্য বায়োঅ্যাক্টিভ সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

 

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, কফির এই উপকারিতা শুধু ক্যাফেইনযুক্ত কফির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। চা, ডিক্যাফ কফি বা কোলা জাতীয় অন্যান্য ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়তে এই উপকার পাওয়া যায়নি। বরং কোলা বা সফট ড্রিংক বেশি পান করলে সুস্থ বার্ধক্যের সম্ভাবনা হ্রাস পায়। কফিতে থাকা ক্যাফেইন বার্ধক্য রোধ করার পাশাপাশি কোষের ক্ষতি হওয়া আটকাতে সহায়তা করে। ডিএনএ মেরামত করে স্ট্রেস প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন কফি খেলে মেজাজ উন্নত হয় এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ে ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। বিষণ্নতা বা অ্যালজাইমার রোগের মতো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

 

এছাড়া ফ্যাটি লিভার, লিভার ফাইব্রোসিস, লিভার সিরোসিস এবং লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। টিউলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. লু কিও মনে করেন, সকালের দিকে কফি পান করা স্বাস্থ্যকর হতে পারে, তবে দিনের অন্যান্য সময় কফি পান করলে সুফল কমে যেতে পারে।

 

কফি থেকে দূর থাকবেন যারা
উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, উদ্বেগ বা ঘুমের সমস্যা রয়েছে, তাদের অবশ্যই কফি খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। অতিরিক্ত ক্যাফেইন এই সমস্যাগুলো বাড়াতে পারে।
 

Pic

বয়স বাড়লেও সুস্থ জীবন চান? ৫০-এর পর এই ৫ নিয়ম মেনে চলুন 

টাঙ্গাইল দর্পণ লাইফস্টাইল ডেস্ক:

বর্তমান সময়ে ব্যস্ত জীবনে সুস্থ থাকা যেন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। মানসিক চাপ, ভেজাল খাদ্য ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অনিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন সব মিলিয়ে শরীর ও মনের উপর পড়ছে প্রচণ্ড নেতিবাচক প্রভাব। তবে প্রতিদিনের রুটিনে কিছু সহজ অভ্যাস যোগ করলেই দীর্ঘদিন সুস্থ জীবনধারণ করা সম্ভব।

 

কম-চাপের নিয়মিত ব্যায়াম করুন
বয়স ৫০ এর পর ভারী ব্যায়াম না করে সাঁতার, নিয়মিত হাঁটা, যোগব্যায়াম ও তাই চির মতো ধীর-গতির অনুশীলন উপকারী। এতে করে মাংসপেশি সক্রিয় থাকে, জয়েন্টে চাপ পড়ে না এবং মানসিক চাপও অনেক হ্রাস পায়।

 

সমাজ ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত থাকুন
সমাজচ্যুতি ও একাকীত্ব... মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। নিয়মিত বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করা, কমিউনিটি প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া এবং স্বেচ্ছাসেবী কাজে যুক্ত থাকা মস্তিষ্ককে সচল রাখে।

 

প্রতিদিন মানসিক ব্যায়াম করুন
প্রতিদিন একটি ক্রসওয়ার্ড বা পাজল করলে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানসিক চর্চা স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাশক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে।

 

ধূমপানের অভ্যাস পরিত্যাগ করুন
ধূমপান থেকে হৃদরোগ, স্ট্রোক ও ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকগুণ বেড়ে যায়। এখনই এই ক্ষতিকর অভ্যাসগুলো ত্যাগ করলে শারীরিক সক্ষমতা বাড়বে এবং আয়ু দীর্ঘ হবে।

 

প্রোটিনসমৃদ্ধ খাদ্যাভ্যাস করুন
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাংসপেশি কমে যায়। ডিম, মাছ, বাদাম, দুধ ও লিন মাংস ও মুরগি -এই উপাদানগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখলে শরীর শক্তিশালী থাকবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
 

Pic

পুরুষরা কেন আগে প্রেমে পড়ে? গবেষণায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

টাঙ্গাইল দর্পণ লাইফ স্টাইল:

প্রেম মানেই নারীরা বেশি আবেগী, আর পুরুষরা একটু যেন পিছিয়ে। এই পুরোনো ধারণা কিন্তু ভেঙে দিচ্ছে সাম্প্রতিক এক গবেষণা। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় জানা গেছে, পুরুষরা নারীদের আগে প্রেমে পড়ে, এবং অনেক সময় বেশ তাড়াতাড়িও। অ্যাডাম বোডের নেতৃত্বে করা এই গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষরা গড়পড়তায় নারীদের চেয়ে এক মাস আগেই প্রেমে পড়ে। কিন্তু ব্যাপারটা শুধু আবেগের বিষয় নয়, বরং এটি একটি কৌশলও হতে পারে। বোড বলেন, ‘পুরুষদের প্রমাণ করতে হয় যে তারা কমিটেড, নাহলে সম্পর্ক এগোয় না।’ অর্থাৎ, প্রেমে পড়া কখনও কখনও সঙ্গীকে মুগ্ধ করারই একটি অংশ।  

 

গবেষণায় যা যা পাওয়া গেছে-
এই গবেষণায় অংশ নিয়েছেন ৩৩টি দেশের ৮০০ জনের বেশি তরুণ-তরুণী, যারা সম্পর্কের একদম শুরুতে রয়েছেন-মানে প্রথম দুই বছরের মধ্যে। তারা জানিয়েছেন, তারা কখন প্রেমে পড়েছেন, কতটা গভীরভাবে অনুভব করেছেন, দিনে কতবার সঙ্গীকে মনে পড়েছে এবং সম্পর্কের প্রতি তারা কতটা দায়বদ্ধ ছিলেন।

 

 মজার ব্যাপার হলো, নারীরা সাধারণত বেশি আবেগী হন, সঙ্গীর কথা বেশি ভাবেন, কিন্তু প্রেমে পড়ার দিক দিয়ে পুরুষরা অনেক সময় এগিয়ে।

 

 আরেকটি চমকপ্রদ তথ্য-৯ শতাংশ মানুষ বলেছে, তারা প্রেমে পড়েছে তখন, যখন তারা আগে থেকেই সে সম্পর্কে ছিল। তার মানে, ‘ভালোবাসা প্রথম দর্শনে’ নয়, বরং ‘প্রথম ঝগড়ার পর’ ধরনের একটি ব্যাপার ঘটেছে তাদের সঙ্গে।

 

পুরনো গল্প কি ভুল?
‘নারীরা বেশি প্রেমে পড়ে, পুরুষরা পরে আসে’-এই চিন্তাকে আগাগোড়া একটি স্টেরিওটাইপ বলছে গবেষণাটি। বাস্তবতা আরও জটিল। পুরুষদের দ্রুত প্রেমে পড়া হয়তো আবেগ নয়, বরং একজনকে জয় করার সামাজিক চাপের প্রতিফলন। অর্থাৎ, কেউ যদি প্রথমে প্রেমে পড়ে, সে শুধু আবেগে নয়, দায়িত্বেও পড়ে। ভালোবাসা কখন কার মনে বাসা বাঁধবে, সেটা ঠিক করে দেওয়া যায় না। তাই, কেউ যদি একটু বেশি আগেই প্রেমে পড়ে-তাকে নিয়ে হাসাহাসি না করে বরং ভাবুন, সে হয়তো চেষ্টা করছে সত্যিকারের কমিটমেন্ট দেখাতে।

 

Logo

সম্পাদক : আবু তাহের

© ২০১৪-২০২৫ টাঙ্গাইল দর্পণ, অনলাইন নিউজ পেপার ২৪/৭