
টাঙ্গাইলে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের দাবীতে জামায়াতের স্মারকলিপি প্রদান
নিজস্ব প্রতিনিধি:
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বেই জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন, আদেশ জারী ও উক্ত আদেশের উপর গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
আজ ১২ অক্টোবর, রোববার সকালে মিছিলসহ জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গেয়ে পৌছান। পরে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী ও জেলা আমীর আহসান হাবিব মাসুদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক।
এসময় টাঙ্গাইল -৪ (কালিহাতী) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী ও জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভুঞাপুর) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা হুমায়ুন কবির, টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী ও জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হোসনি মোবারক বাবুল, টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখিপুর) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী ও জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা শফিকুল ইসলাম খান, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী ও জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ তালুকদার, জেলা সাংগঠনিক সেক্রেটারি মোঃ শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল সদর আমীর অধ্যাপক ইকবাল হোসেন বাদল সহ জেলার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপি প্রদানের আগে টাঙ্গাইল শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশ শেষে মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বেই জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন, আদেশ জারী ও উক্ত আদেশের উপর গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
রাজনীতি

ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামের ইভেন্টে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টার ঢাকা ত্যাগ
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামের ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্টে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ সকালে ইতালির রাজধানী রোমের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সফরসূচি অনুযায়ী, অধ্যাপক ইউনূস ফোরামের মূল অধিবেশনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন। পাশাপাশি, তিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এসব বৈঠকে খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য নিরসন ও টেকসই উন্নয়নসহ বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে।
ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আয়োজিত একটি বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বিশ্বের নীতিনির্ধারক, গবেষক ও উদ্যোক্তারা খাদ্য ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে মতবিনিময় করেন।
এবারের ইভেন্টটি ১০ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত রোমে এফএওর সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার এই সফরকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সক্রিয় কূটনৈতিক ভূমিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আগামী ১৫ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামের ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্টে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ সকালে ইতালির রাজধানী রোমের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
জাতীয়

সারাদেশে আজ প্রথম জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি শুরু
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জাতীয়ভাবে টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আজ ১২ অক্টোবর, ২০২৫ রোববার সকাল ৯টায় রাজধানীর আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয় এই এক মাসব্যাপী জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পরিচালিত এ কর্মসূচির আওতায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি শিশুকে বিনামূল্যে ইনজেকটেবল টাইফয়েড টিকা (TCV) দেওয়া হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেন, “টাইফয়েডে এখনও দেশের শিশুদের মৃত্যু হয়, এটা লজ্জার। বাংলাদেশ ডায়রিয়া ও রাতকানার মতো রোগ প্রতিরোধে সফল হয়েছে, এবার টাইফয়েডও রোধ করা সম্ভব হবে।” তিনি আরও বলেন, “রোগ প্রতিরোধ করা গেলে হাসপাতালের চাপ কমে এবং দেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হয়।”
একই দিন রাজধানীর রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। ভিকারুন্নিসা নুন স্কুলে উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) সূত্রে জানা গেছে, অন্তত ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। জন্মসনদবিহীন শিশুরাও এই কর্মসূচির আওতায় আসবে। ইপিআই প্রোগ্রামের ম্যানেজার ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, প্রথম ১০ দিন স্কুল ও মাদরাসায় এবং পরবর্তী ৮ দিন ইপিআই সেন্টারে টিকাদান চলবে।
অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, “এই টিকাটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত ও নিরাপদ। নেপাল, পাকিস্তানসহ আটটি দেশে এটি সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে, বড় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।” তিনি জানান, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে এই টিকা, যা গ্যাভির সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার পেয়েছে।
টিকাদান কার্যক্রমে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা স্কুল বা মাদরাসায় এক ডোজ টিকা পাবে। স্কুলে ভর্তি নয় এমন শিশুরা নির্দিষ্ট টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবে। শহরের পথশিশুদের জন্য দায়িত্বে থাকবে বিভিন্ন এনজিও।
অভিভাবকদের জন্য অনলাইনে নিবন্ধনের সুযোগ রাখা হয়েছে। vaxepi.gov.bd/registration/tcv ওয়েবসাইটে ১৭ সংখ্যার জন্মনিবন্ধন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করে টিকার কার্ড ডাউনলোড করা যাবে। জন্মসনদ না থাকলে পিতা-মাতার মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেও নিবন্ধন সম্ভব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, “টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি শুধু একটি প্রকল্প নয়, বরং এটি বাংলাদেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। নিম্ন আয়ের পরিবারের শিশুরাই টাইফয়েডে বেশি আক্রান্ত হয়। এই উদ্যোগ তাদের জন্য এক বিশাল সুরক্ষা বলয় তৈরি করবে।”
গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ স্টাডির তথ্য তুলে ধরে অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, ২০২১ সালে বিশ্বজুড়ে ৭০ লাখের বেশি মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হন, মৃত্যু হয় ৯৩ হাজারের। বাংলাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল প্রায় আট হাজার, যার মধ্যে ৬৮ শতাংশ শিশুর বয়স ১৫ বছরের নিচে। “টাইফয়েড টিকা নিলে এই জ্বরের প্রকোপ ও অ্যান্টিবায়োটিকের অপপ্রয়োগ কমবে,” বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানার সভাপতি আজমল হোসেন। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, ইউনিসেফের কান্ট্রি ডিরেক্টর রানা ফ্লাওয়ার এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডা. আহমদেম জামশেদ মোহাম্মদ।
দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জাতীয়ভাবে টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আজ ১২ অক্টোবর, ২০২৫ রোববার সকাল ৯টায় রাজধানীর আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয় এই এক মাসব্যাপী জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পরিচালিত এ কর্মসূচির আওতায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি শিশুকে বিনামূল্যে ইনজেকটেবল টাইফয়েড টিকা (TCV) দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) সূত্রে জানা গেছে, অন্তত ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। জন্মসনদবিহীন শিশুরাও এই কর্মসূচির আওতায় আসবে। ইপিআই প্রোগ্রামের ম্যানেজার ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, প্রথম ১০ দিন স্কুল ও মাদরাসায় এবং পরবর্তী ৮ দিন ইপিআই সেন্টারে টিকাদান চলবে।
অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, “এই টিকাটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত ও নিরাপদ। নেপাল, পাকিস্তানসহ আটটি দেশে এটি সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে, বড় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।” তিনি জানান, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে এই টিকা, যা গ্যাভির সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার পেয়েছে।
টিকাদান কার্যক্রমে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা স্কুল বা মাদরাসায় এক ডোজ টিকা পাবে। স্কুলে ভর্তি নয় এমন শিশুরা নির্দিষ্ট টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবে। শহরের পথশিশুদের জন্য দায়িত্বে থাকবে বিভিন্ন এনজিও।
অভিভাবকদের জন্য অনলাইনে নিবন্ধনের সুযোগ রাখা হয়েছে। vaxepi.gov.bd/registration/tcv ওয়েবসাইটে ১৭ সংখ্যার জন্মনিবন্ধন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করে টিকার কার্ড ডাউনলোড করা যাবে। জন্মসনদ না থাকলে পিতা-মাতার মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেও নিবন্ধন সম্ভব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, “টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি শুধু একটি প্রকল্প নয়, বরং এটি বাংলাদেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। নিম্ন আয়ের পরিবারের শিশুরাই টাইফয়েডে বেশি আক্রান্ত হয়। এই উদ্যোগ তাদের জন্য এক বিশাল সুরক্ষা বলয় তৈরি করবে।”
গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ স্টাডির তথ্য তুলে ধরে অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, ২০২১ সালে বিশ্বজুড়ে ৭০ লাখের বেশি মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হন, মৃত্যু হয় ৯৩ হাজারের। বাংলাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল প্রায় আট হাজার, যার মধ্যে ৬৮ শতাংশ শিশুর বয়স ১৫ বছরের নিচে। “টাইফয়েড টিকা নিলে এই জ্বরের প্রকোপ ও অ্যান্টিবায়োটিকের অপপ্রয়োগ কমবে,” বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানার সভাপতি আজমল হোসেন। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, ইউনিসেফের কান্ট্রি ডিরেক্টর রানা ফ্লাওয়ার এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডা. আহমদেম জামশেদ মোহাম্মদ।
জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদে ‘ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুমোদন
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ৯ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অধ্যাদেশটি অনুমোদন দেয়া হয়।
ব্যক্তিগত তথ্য-উপাত্তের গোপনীয়তা, নিরাপত্তা ও দায়িত্বশীল ব্যবহারের নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে ‘ব্যক্তিগত তথ্য-উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রণয়ণের কার্যক্রম গ্রহণ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ।
শনিবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ডিজিটাল যুগে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তির ন্যায্য ব্যবহার, এবং উদ্ভাবনের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়োজনে এই অধ্যাদেশটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রস্তাবিত আইনটি কার্যকর হলে ব্যক্তিগত উপাত্তের সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, স্থানান্তর ও বিনষ্টকরণে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত হবে এবং ডিজিটাল অর্থনীতির টেকসই বিকাশে এটি সহায়ক হবে।
‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর উল্লেখযোগ্য দিকসমূহ: মোট ৫৭টি ধারা সম্বলিত এই অধ্যাদেশে ব্যক্তিগত উপাত্তের মালিকানা স্বয়ং উপাত্তধারীর হাতে থাকবে, উপাত্ত সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে উপাত্তধারীর সম্মতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
শিশু বা সম্মতি দিতে অক্ষম ব্যক্তির উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণে পিতামাতা বা আইনগত অভিভাবকের অনুমতি প্রয়োজন হবে, উপাত্তধারী যে কোনো সময় তার সম্মতি প্রত্যাহার করতে পারবেন।
এতে সংবেদনশীল ব্যক্তিগত উপাত্ত শর্তসাপেক্ষে প্রক্রিয়াকরণের বিধান রাখা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা, জনস্বার্থ, অপরাধ প্রতিরোধ, শিক্ষা ও গবেষণা ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রয়োজনে সম্মতি ব্যতিরেকে উপাত্ত ব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়েছে।
সরকার ব্যক্তিগত উপাত্তকে ৪টি শ্রেণিতে বিভাজন করেছে: (ক) উন্মুক্ত, (খ) অভ্যন্তরীণ, (গ) গোপনীয়, ও (ঘ) সীমাবদ্ধ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধ্যাদেশের বিধান লঙ্ঘন, অননুমোদিত প্রবেশ বা অপব্যবহারের ক্ষেত্রে দণ্ড ও প্রশাসনিক জরিমানা আরোপের বিধান রাখা হয়েছে।
নির্ধারিত সময়ে স্বতন্ত্র উপাত্ত নিরীক্ষক কর্তৃক উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের অডিট সম্পাদনের বিধান রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উপাত্ত বিনিময় ও সংযুক্তির সুযোগ রাখা হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ বিশ্বাস করে, ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাস্তবায়িত হলে নাগরিকের গোপনীয়তা রক্ষা এবং তথ্যনির্ভর উদ্ভাবনে এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে সংবেদনশীল ব্যক্তিগত উপাত্ত শর্তসাপেক্ষে প্রক্রিয়াকরণের বিধান রাখা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা, জনস্বার্থ, অপরাধ প্রতিরোধ, শিক্ষা ও গবেষণা ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রয়োজনে সম্মতি ব্যতিরেকে উপাত্ত ব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়েছে।
জাতীয়

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রতি সর্বসাধারণের শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আজ রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জনসাধারণের ঢল নামে।
তিনি গতকাল বিকেল ৫টায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মুষল বৃষ্টির মধ্যেও সরকারি কর্মকর্তা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা অনুরাগীরা তাঁর প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর মধ্যে ছিল— প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, কপিরাইট অফিস, আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, কালি ও কলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ, লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, ব্র্যাক পরিবার, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব), শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশের জাসদ, বাসদ, ছায়ানট, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এবং বাংলা একাডেমি।
প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী তাঁর প্রাক্তন ছাত্র ও পরবর্তী সময়ের সহকর্মী সৈয়দ মনজুরুল ইসলামকে স্মরণ করে বলেন, 'মনজুর শুধু মেধাবী ছাত্রই ছিলেন না, তিনি ছিলেন অসাধারণ শিক্ষকও। তাঁর পিতা ছিলেন শিক্ষক, আর সেই উত্তরাধিকার তিনি গৌরবের সঙ্গে বহন করেছেন। তাঁর সব ছাত্র-ছাত্রী তাঁকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন।'
তিনি আরও বলেন, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম সাহিত্যিক হিসেবেও উজ্জ্বল ছিলেন, বিশেষত কথাসাহিত্যে। এজন্য তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও একুশে পদক লাভ করেন।
কথাসাহিত্যের পাশাপাশি তিনি শিল্পসমালোচক হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। চারু ও নন্দনকলার গভীর জ্ঞান ছিল তাঁর। তিনি শেক্সপিয়ারের নাটক অনুবাদ এবং ইংরেজিতেও মৌলিক সাহিত্য রচনা করেছেন।
প্রফেসর চৌধুরী বলেন, 'তিনি ছিলেন বিনয়ী, প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক মনোভাবের মানুষ। আমি কখনো তাঁকে দুঃখিত, হতাশ বা অসুস্থ দেখিনি। তাঁর মৃত্যু এক অপূরণীয় ক্ষতি। তবে শিক্ষক, লেখক, সমালোচক এবং সর্বোপরি একজন অসাধারণ মানুষ হিসেবে তাঁর কাজ আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।'
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষক আছেন, কিন্তু অল্প কয়েকজনই পুরো জাতির কাছে বুদ্ধিজীবী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। প্রফেসর মনজুরুল ইসলাম তাঁদের একজন।'
তিনি বলেন, প্রফেসর ইসলাম শুধু প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ছাত্রদেরই গড়ে তোলেননি, তাঁর সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে অসংখ্য তরুণ মনকেও অনুপ্রাণিত করেছেন। তাঁর কথাসাহিত্য নাগরিক জীবনের সংকটকে এমনভাবে ধারণ করেছে, যা খুব কম লেখকই করতে পেরেছেন।
'তাঁর প্রয়াণে আমরা জাতি হিসেবে এক অমূল্য সম্পদ হারালাম। তবে আমি বিশ্বাস করি, তিনি আজীবন আমাদের মাঝে অমর হয়ে থাকবেন,’ বলেন বাসস-এর প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আজ রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জনসাধারণের ঢল নামে।
জাতীয়

ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে: সেনা সদর
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
সেনা সদর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
ঢাকা সেনানিবাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শনিবার বিকেলে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে ব্রিফিংয়ে মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, “সেনাবাহিনীর কাছে কারও বিরুদ্ধে গুমের ওয়ারেন্টের কোনো কপি আসেনি। সেনাবাহিনী কোনো ওয়ারেন্ট পেপার পায়নি। এলপিআরের একজন এবং সার্ভিসে থাকা ১৫ জনসহ মোট ১৬ জনকে সেনা হেফাজতে নেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে এরই মধ্যে সেনা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। একজন আত্মগোপনে রয়েছেন। বাকি ৯ জন অবসরে গেছেন।”
মেজর জেনারেল কবির আত্মগোপনে গেছেন। তিনি যাতে বিদেশে চলে যেতে না পারেন, সেজন্য তৎপরতা অব্যাহত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
‘ওয়ারেন্টভুক্তদের ২২ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশ আছে, আইনি ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে এই ওয়ারেন্ট নিয়ে। কাজেই ২২ অক্টোবর এদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার বিষয়ে আইনের ব্যাখ্যা পাওয়া সাপেক্ষে সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। গুমের শিকার হওয়া প্রতিটি পরিবারের প্রতি সেনাবাহিনী সহানূভুতিশীল। সব অপরাধের বিচারের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান সেনাবাহিনী বিচার প্রক্রিয়া ও গুম কমিশনকে সহায়তা করে যাচ্ছে’-যোগ করেন এ সেনা কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গুমের ২ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গেলো ৮ অক্টোবর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে ডিজিএফআইয়ের সাবেক ৫ প্রধানসহ ২৫ জন সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন।
সেনা সদর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, “সেনাবাহিনীর কাছে কারও বিরুদ্ধে গুমের ওয়ারেন্টের কোনো কপি আসেনি। সেনাবাহিনী কোনো ওয়ারেন্ট পেপার পায়নি। এলপিআরের একজন এবং সার্ভিসে থাকা ১৫ জনসহ মোট ১৬ জনকে সেনা হেফাজতে নেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে এরই মধ্যে সেনা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। একজন আত্মগোপনে রয়েছেন। বাকি ৯ জন অবসরে গেছেন।”
মেজর জেনারেল কবির আত্মগোপনে গেছেন। তিনি যাতে বিদেশে চলে যেতে না পারেন, সেজন্য তৎপরতা অব্যাহত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
‘ওয়ারেন্টভুক্তদের ২২ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশ আছে, আইনি ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে এই ওয়ারেন্ট নিয়ে। কাজেই ২২ অক্টোবর এদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার বিষয়ে আইনের ব্যাখ্যা পাওয়া সাপেক্ষে সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। গুমের শিকার হওয়া প্রতিটি পরিবারের প্রতি সেনাবাহিনী সহানূভুতিশীল। সব অপরাধের বিচারের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান সেনাবাহিনী বিচার প্রক্রিয়া ও গুম কমিশনকে সহায়তা করে যাচ্ছে’-যোগ করেন এ সেনা কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গুমের ২ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গেলো ৮ অক্টোবর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে ডিজিএফআইয়ের সাবেক ৫ প্রধানসহ ২৫ জন সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন।
আলোচিত খবর

জাতীয় স্বার্থে জোটের প্রয়োজনে এনসিপি প্রস্তুত : আখতার হোসেন
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন শনিবার দুপুরে রংপুর নগরীর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শহীদ আবু সাঈদ চত্ত্বরে নেতাকর্মীদের সাথে কুশল বিনিময় শেষে তিনি সাংবাদিকদের বললেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এনসিপি নিবন্ধন পাওয়ার সকল ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এনসিপির পক্ষ থেকে কোনো দলের সাথে জোট বিষয়ে আলোচনা করা হয়নি। আমরা মনে করি, জাতীয় স্বার্থ রক্ষায়, দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষার জন্য যদি কারো সাথে জোটের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, তাহলে আর্দশিক জায়গা থেকে প্রয়োজন বিবেচনায় সেই ধরনের জোটের জন্য আমরা ওপেন রয়েছি।”
আখতার হোসেন বলেন, শুধু যেনতেনভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে উপদেষ্টাদের দায়মুক্তি সম্ভব নয়। অবশ্যই তাদের জনগণের পক্ষে গণঅভুত্থানে পাওয়া দায়িত্ব পুঙ্খানুপুঙ্খানু বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে উপদেষ্টারা সেফ এক্সিট পেতে পারেন।
‘উপদেষ্টা পরিষদের দীর্ঘ সময়ের কার্যকলাপ দেখে মনে হচ্ছে তারা ক্ষমতা হস্তান্তর করে চলে যেতে চান। সেফ এক্সিট নেওয়ার মানসিকতার সেই জায়গা থেকে পরিবর্তন যেন আসে, জনগণ তাদের যে দায়িত্বে অধিষ্ঠিত করেছে, সেই দায়িত্ব পালনে যেন কোনো ধরনের ফাঁকিবাজি তৈরি না হয় এটি আমাদের প্রত্যাশা। উপদেষ্টাদের পলায়নপর মানিসকতায় সেফ এক্সিট নিয়ে তারা শুধু ক্ষমতা হস্তান্তর করে বেঁচে যাবে বিষয়টি এমন নয়’-উল্লেখ করেন এনসিপির এ নেতা।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব জুলাই সনদে স্বাক্ষর প্রসঙ্গে বলেন, “জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়ার বিষয়ে সরকার তাদের তরফ থেকে আশ্বস্ত করেছে। আগামীতে গণভোটের মাধ্যমে সংসদকে একটি ক্ষমতা দিয়ে সেগুলো টেকসইভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার কথা সরকার ও ঐক্যমত কমিশন থেকে জানানো হয়েছে। জুলাই সনদের অর্জনকে ধারণ করতে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এনসিপি অংশ নেবে। সরকার যেন জুলাই ঘোষণাপত্রের মতো বিতর্কিত একপেশি আচরণ কিংবা কোন একটি দলের হয়ে কথা না বলে। জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতিতে যে জায়গাগুলো সুনির্দিষ্ট হয়নি, সেই জায়গায় সরকার যেন কোনো দলের দ্বারা নির্ধারিত না হয়ে জনগণের প্রত্যাশার জায়গায় সত্যিকারের আইনি ভিত্তি দিতে কাজ করে।”
তিনি বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যদি মাঠ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করা না যায়, বিচার ও সংস্কার দৃশ্যমান করা না হয়, তাহলে নির্বাচনের মহোৎসব অর্জন করা সম্ভব হবে না। নির্বাচন নিয়ে সরকারের প্রস্তুতি ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল দলের কাছে ও জনগণের কাছে যেন গ্রহণযোগ্য হয়, ক্ষেত্রে সর্বাত্মক ভূমিকা পালন করতে হবে।”
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য সফল করতে খুন, গুম, আয়নাঘরের বন্দি রাখার সাথে জড়িত সেনাবাহিনী, ডিজিএফআই, র্যাবের যেসকল সিনিয়র কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন, তাদের অনেকের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার হচ্ছে। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি-যোগ করেন আখতার হোসেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন শনিবার দুপুরে রংপুর নগরীর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শহীদ আবু সাঈদ চত্ত্বরে নেতাকর্মীদের সাথে কুশল বিনিময় শেষে তিনি সাংবাদিকদের বললেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এনসিপি নিবন্ধন পাওয়ার সকল ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এনসিপির পক্ষ থেকে কোনো দলের সাথে জোট বিষয়ে আলোচনা করা হয়নি। আমরা মনে করি, জাতীয় স্বার্থ রক্ষায়, দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষার জন্য যদি কারো সাথে জোটের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, তাহলে আর্দশিক জায়গা থেকে প্রয়োজন বিবেচনায় সেই ধরনের জোটের জন্য আমরা ওপেন রয়েছি।”
রাজনীতি

সিলিন্ডার গ্যাস ১ হাজার টাকার মধ্যে হওয়া উচিত: জ্বালানি উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের জ্বালানি খাতে চলমান সংকটের পেছনে রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের অদূরদর্শিতা ও অনিয়মকে দায়ী করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফওজুল কাবির খান। তিনি বলেন, এলপিজির দাম নিয়ন্ত্রণে আনা এখন সময়ের দাবি, কারণ এর বর্তমান উচ্চমূল্য শিল্প ও গৃহস্থালি— উভয় ক্ষেত্রেই চাপ সৃষ্টি করছে। তাঁর মতে, “প্রতি ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম এক হাজার টাকার মধ্যে থাকা উচিত।”
আজ ১১ অক্টোবর, ২০২৫ শনিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে দৈনিক বণিক বার্তা আয়োজিত ‘বাংলাদেশে এলপিজি: অর্থনীতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক নীতি-আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ফওজুল কাবির খান বলেন, “এলপিজির প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো দাম। এখন ১২০০ টাকার সিলিন্ডার কিছু জায়গায় ১৪০০–১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।” তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “দেশে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক মনোভাব অপরিহার্য। বিদেশে টাকা পাচারের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে এই খাতকে টিকিয়ে রাখতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, দেশের প্রাথমিক জ্বালানির ঘাটতি কোনো স্বাভাবিক পরিস্থিতি নয়, বরং এটি পরিকল্পিত সংকট। “কিছু রাজনীতিবিদ ও তাদের সহযোগী ব্যবসায়ী গোষ্ঠী অবৈধ সংযোগ দিয়ে গ্যাস ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করেছে। এই অব্যবস্থাপনা থেকেই আজকের ঘাটতি তৈরি হয়েছে,” যোগ করেন উপদেষ্টা।
বাপেক্সের সক্ষমতা ও অনুসন্ধান কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাপেক্সের জন্য নতুন রিড করা হচ্ছে, কিন্তু অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। ফলে বাধ্য হয়েই আমাদের এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে। তবে স্বল্পমেয়াদে ঘাটতি পূরণে এলপিজি হতে পারে কার্যকর বিকল্প।”
এ সময় তিনি এলপিজির দাম কমলে বিদ্যুৎ উৎপাদনেও এর ব্যবহার বাড়ানো সম্ভব বলে মত দেন। “যদি ভোক্তা পর্যায়ে দাম এক হাজার টাকার মধ্যে রাখা যায়, তাহলে এলপিজি শুধু গৃহস্থালিতে নয়, বিদ্যুৎ খাতেও বড় ভূমিকা রাখতে পারবে,” বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ। তাঁরা এলপিজি খাতের ভবিষ্যৎ নীতিমালা, নিরাপত্তা মানদণ্ড, বাজার কাঠামো, পরিবেশগত টেকসই ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে মতামত দেন।
দেশের জ্বালানি খাতে চলমান সংকটের পেছনে রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের অদূরদর্শিতা ও অনিয়মকে দায়ী করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফওজুল কাবির খান। তিনি বলেন, এলপিজির দাম নিয়ন্ত্রণে আনা এখন সময়ের দাবি, কারণ এর বর্তমান উচ্চমূল্য শিল্প ও গৃহস্থালি— উভয় ক্ষেত্রেই চাপ সৃষ্টি করছে। তাঁর মতে, “প্রতি ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম এক হাজার টাকার মধ্যে থাকা উচিত।”
জাতীয়

সাম্প্রদায়িকতা নষ্ট করতে পূজায় অসুরের মুখে দাড়ি— যথাযথ আইন প্রয়োগ করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী শুক্রবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ায় বোধিজ্ঞান ভাবনা কেন্দ্রে ‘কঠিন চীবর দানোৎসব’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বললেন, “সাম্প্রদায়িকতা নষ্ট করতে সম্প্রতি দুর্গা পূজায় অসুরের মুখে যারা দাড়ি লাগিয়ে পূজার আয়োজন করেছিলো তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। বিচ্ছিন্ন এমন কিছু ঘটনায় হিন্দু ধর্মের অনেকেই দুঃখ প্রকাশ করেছেন।”
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে কাজ করছে এই সরকার। তা যেন কেউ নস্যাত না করতে পারে সে বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের সন্তান হিসেবে মনীষী অতীশ দীপঙ্করের কীর্তি ও বিশ্বজোড়া খ্যাতিতে আমরা গর্বিত। তাঁর জ্ঞান, দর্শন, ধর্মচর্চা, কর্ম, শিক্ষা আমাদের সারাদেশে আরও বিস্তৃত পরিসরে ছড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন। সেজন্য তার জন্মভূমি বাংলাদেশে অতীশ দীপঙ্করের নামে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা করা সময়ের দাবি।
‘দেশের সকল বৌদ্ধ বিহারে আশ্বিনী পূর্ণিমার পর হতে কার্তিকী পূর্ণিমা পর্যন্ত মাসব্যাপী কঠিন চীবর দান কর্ম শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে’-যোগ করেন তিনি।
এসময় কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে সবার মাঝে অত্যাচার অনাচার বন্ধ করার বোধ জাগ্রত হোক। সবাইকে বিশ্ব মানবতার জন্য কাজ করার আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী শুক্রবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ায় বোধিজ্ঞান ভাবনা কেন্দ্রে ‘কঠিন চীবর দানোৎসব’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বললেন, “সাম্প্রদায়িকতা নষ্ট করতে সম্প্রতি দুর্গা পূজায় অসুরের মুখে যারা দাড়ি লাগিয়ে পূজার আয়োজন করেছিলো তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। বিচ্ছিন্ন এমন কিছু ঘটনায় হিন্দু ধর্মের অনেকেই দুঃখ প্রকাশ করেছেন।”
জাতীয়

অবিলম্বে পিআরসহ ৫ দফা মেনে নেয়ার দাবী ইসলামী আন্দোলনের
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
সাধারণ জনতার চাওয়া পূরণের জন্যই পিআর পদ্ধতির প্রস্তাব করছি দাবি করে ইসলামী আন্দোলনের নেতারা বলেছেন, অবিলম্বে পিআরসহ ৫দফা দাবি মেনে নিন। যাতে কোনোদিনই দেশে স্বৈরতন্ত্র ফিরে আসতে না পারে।
আজ ১০ অক্টোবর, ২০২৫ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে গণমিছিলপূর্ব সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলনের নেতারা বলেন, দেশের এতোগুলো রাজনৈতিক সংগঠন ধারাবাহিকভাবে রাজপথে আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। অথচ আমাদের দাবির যৌক্তিকতা সুস্পষ্ট। যারা আমাদের সন্তানদের হত্যা করেছে, যারা সেই হত্যাকাণ্ডে সহায়তা করেছে তাদের বিচারের মতো মৌলিক দাবি নিয়ে আমরা রাজপথে আন্দোলন করছি।
বক্তারা আরও বলেন, জুলাইয়ের রক্তের চাহিদা ছিল দেশ থেকে স্বৈরতন্ত্রকে চিরস্থায়ী বিলোপের ব্যবস্থা করা। জনতার সেই চাওয়া পূরণের জন্যই আমরা পিআর পদ্ধতির প্রস্তাব করছি। যাতে কোনোদিনই দেশে স্বৈরতন্ত্র ফিরে না আসতে পারে। এসব দাবির প্রতি সরকারের উদাসীনতা গ্রহণযোগ্য না।
জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন, গণহত্যার বিচার, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার ও বিচারকালীন তাদের দলকে নিষিদ্ধকরণের দাবিতে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের ২য় দফার কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহসহ দেশের সব বিভাগীয় শহরে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকায় বৃষ্টির জন্য আছরের পরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিলে বিভাগীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত মিছিলে নেতৃত্ব দেন দলের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই। দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, শায়েখে চরমোনাইসহ দলের শীর্ষ নেতারা।
সভাপতিত্ব করেন দলের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ এবং প্রধান বক্তা ছিলেন মাওলানা ইমতিয়াজ আলম।
সাধারণ জনতার চাওয়া পূরণের জন্যই পিআর পদ্ধতির প্রস্তাব করছি দাবি করে ইসলামী আন্দোলনের নেতারা বলেছেন, অবিলম্বে পিআরসহ ৫দফা দাবি মেনে নিন। যাতে কোনোদিনই দেশে স্বৈরতন্ত্র ফিরে আসতে না পারে।
রাজনীতি

মুক্তি পেয়েই ইসরাইল থেকে ইস্তাম্বুল হয়ে ভোরে দেশে ফিরছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর মুক্তি পেয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলম। ফিলিস্তিন সংহতি অভিযানে যোগ দেওয়ার পর তাকে আটক করা হয়। শুক্রবার মুক্তি পাওয়ার পর আগামীকাল শনিবার ভোরে ঢাকায় পৌঁছাবেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, শহিদুল আলমকে বহনকারী বিমানটি শনিবার সকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করার কথা রয়েছে।
এর আগে শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে শহিদুল আলম তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ইস্তাম্বুলে পৌছেন। সেখানে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান তাকে স্বাগত জানান।
তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আমানুর রহমান জানিয়েছেন, শহিদুল আলমের ইস্তাম্বুল থেকে ঢাকার ফেরার ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে ছাড়ার কথা রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শহিদুল আলমের মুক্তি ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে সহযোগিতার জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ শহিদুল আলমকে আটক করার পরপরই বাংলাদেশ সরকার জর্ডান, মিশর ও তুরস্কে অবস্থিত দূতাবাসগুলোকে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার মুক্তির জন্য দ্রুত কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সূত্র : বাসস
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর মুক্তি পেয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলম। ফিলিস্তিন সংহতি অভিযানে যোগ দেওয়ার পর তাকে আটক করা হয়। শুক্রবার মুক্তি পাওয়ার পর আগামীকাল শনিবার ভোরে ঢাকায় পৌঁছাবেন।
জাতীয়

টাঙ্গাইল-৫ আসনে জনপ্রিয় প্রার্থী বাছাইয়ে সতর্ক
টাঙ্গাইল দর্পণ:
জাতীয় সংসদের টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনটি জেলার মধ্যে নানা কারণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতার পর এ আসন থেকে বিজয়ী প্রার্থীর দলই সরকার গঠন করার ইতিহাস রয়েছে। ১২টি ইউনিয়ন ও প্রথম শ্রেণির ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত টাঙ্গাইল-৫(সদর) সংসদীয় আসন। এখানে মোট ভোটার চার লাখ ৪০ হাজার ২৪জন। এরমধ্যে পুরুষ দুই লাখ ২০ হাজার ৯৭৬জন, নারী ভোটার ২ লক্ষ ১৯ হাজার ৪৮জন।
নির্বাচনী এলাকা টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি, আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টির ভোটব্যাংক রয়েছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও জাতীয় পার্টি এখনও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেয়নি। টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০২২ সালের ১ নভেম্বর। ওই সম্মেলনে কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে হাসানুজ্জামিল শাহীন সভাপতি ও ফরহাদ ইকবাল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। কিন্তু প্রায় তিন বছরেও দলটির পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি গঠন করতে না পারার অভিযোগ রয়েছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলছেন তারা দুই দফায় পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটির তালিকা কেন্দ্রীয় বিএনপির কাছে জমা দিলেও অজ্ঞাত কারণে পাস করা হয়নি। এক্ষেত্রে তাদের কিছু করার নেই। এ আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি অর্ধডজন নেতা। তবে দলের মনোনয়ন দৌঁড়ে মাঠপর্যায়ে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল। তারা একত্রে দলীয় কর্মসূচিসহ দলের ইউনিয়ন ও শহর পর্যায়ের নানা অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। ওয়ার্ড পর্যায়ে দুজনই ক্রীড়া, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় স্ব স্ব অবস্থান স্পষ্ট করছেন। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি অন্য নেতাদের মধ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছাইদুল হক ছাদু, জেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সভাপতি খন্দকার আহমেদুল হক সাতিল, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খালেদা পান্নার ছেলে জিয়াউর রহমান (প্লেটো) এবং সব সময়ের প্রার্থী সৈয়দ খালেদ মোস্তফাও প্রচারণায় নেমেছেন।
টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির আবদুর রহমান জয়লাভ করেন। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মীর মাজেদুর রহমান এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান জয়লাভ করেন এবং পরে তিনি জাতীয়পার্টি ছেড়ে বিএনপিতে যোগদান করেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মেজর জেনারেল(অব.) মাহমুদুল হাসান জয়লাভ করেন। একই সালের জুনে অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের আব্দুল মান্নান নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মেজর জেনারেল(অব.) মাহমুদুল হাসান এমপি নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির(এরশাদ) আবুল কাশেম জয়লাভ করেন। কিন্তু ভোট কারচুপির অভিযোগে মেজর জেনারেল(অব.) মাহমুদুল হাসান মামলা দায়ের করেন। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে জাতীয় পার্টির আবুল কাশেমের এমপি পদ রহিত করে ২০১২ সালের ৩০ মে বিএনপির মেজর জেনারেল(অব.) মাহমুদুল হাসানকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ছানোয়ার হোসেন নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ছানোয়ার হোসেন এমপি নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ আসনটি তাদের শরিক দল জাতীয়পার্টিকে ছেড়ে দয় এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ছানোয়ার হোসেন এমপি নির্বাচিত হন।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন যৌথভাবে পান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান ও জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছাইদুল হক ছাদু। পরে হাইকমান্ডের নির্দেশে ছাইদুল হক ছাদু মানোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এবারও তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশি। এদিকে ২০০১ সালের অষ্টম, ২০০৮ সালের নবম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফরহাদ ইকবাল। মনোনয়ন না পেলেও দলীয় প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। জেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি খন্দকার আহমেদুল হক সাতিল, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খালেদা পান্নার ছেলে জিয়াউর রহমান (প্লেটো) এবং সৈয়দ খালেদ মোস্তফা বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর থেকে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক এবং যুবদল ও ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এ আসনের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নানাবিধ দলীয় কর্মসূচি ও সামাজিক অনুষ্ঠানে সদলবলে যোগ দিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীতা ঘোষণা করছেন- বিএনপির ৩১ দফা সম্বলিত পোস্টার বিলাচ্ছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে টানছেন, মনোনয়ন পেলে এলাকার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল ছাত্র রাজনীতি থেকে দলের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দলীয় মনোনয়নের আশায় কাজ করছেন। এবার তিনি দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে আশা করেন। তিনি প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিএনপির ৩১দফা বাস্তবায়নের যৌক্তিকতা তুলে ধরে স্বীয় অবস্থান শক্ত করছেন।
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মূলত দো’টানায় পড়ে গেছেন। একদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, অন্যদিকে ঘরের ছেলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল। গত বছরের ৫ আগস্টের পর উদয় হওয়া সুলতান সালাউদ্দিন টুকু নিঃসন্দেহে জাতীয় নেতা। তার নেতৃত্বে টাঙ্গাইলের বিএনপির নেতাকর্মীরা সুসংগঠিত হয়ে কাজ করার প্রয়াস পাবে এটাই স্বাভাবিক। এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেলে তিনি হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এমপি হওয়ার প্রত্যাশায় দলীয় মনোনয়ন চেয়ে না পেয়েও দুঃসময়ে দলের হাল ধরে রাখা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল তাদের ঘরের ছেলে। গত ১৭ বছর সরকারের জেল-জুলুম ও মামলা-হামলা মোকাবিলা করে দলকে তিনি আগলে রেখেছেন। শহরের প্রাণকেন্দ্রে সভা-সমাবেশ তো দূূরের কথা বিএনপির নাম নিয়ে দাঁড়ানো যখন সম্ভব হয়নি তখনও ফরহাদ ইকবাল শহরতলীর বিভিন্ন মাঠ বা রাস্তায় তার অনুসারীদের নিয়ে দলীয় কর্মসূচি পালন করেছেন। এবার ফরহাদ ইকবাল দলের অনুকম্পা চান। তবে জাতীয়পার্টি এখনও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি। জাপা নির্বাচনে এলে দলের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক দলের মনোনয়ন চাইবেন। জাতীয়পার্টি নির্বাচনে এলে বিএনপির প্রার্থীকে জাপা প্রার্থীর সঙ্গে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীনও দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় গণসংযোগ করছেন। দলের মনোনয়ন পেলে স্থানীয় সমস্যা সমাধানে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছেন। জেলা ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি খন্দকার আহমেদুল হক সাতিল ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চান। ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে আওয়ামীলীগে যোগ দেওয়ার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার উপর নির্যাতনের খর্গ নেমে আসে। এক পর্যায়ে ফ্যাসিস্টরা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। অবস্থা বেগতিক দেখে তিনি বিদেশে পাড়ি জমান। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগের পতনের পর দেশে ফিরে এসে গণসংযোগে নেমেছেন।
এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী দলের জেলা আমির আহসান হাবীব মাসুদ। এনসিপি থেকে প্রার্থী হবেন দলের কেন্দ্রীয় সংগঠক আজাদ খান ভাসানী। তিনি মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নাতি। তিনি মওলানা ভাসানীর ইমেজ কাজে লাগাতে ব্যস্ত। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা শাখার সভাপতি আকরাম আলী প্রার্থী হবেন। খেলাফত মজলিসের প্রার্থী দলের জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মো. ছানোয়ার হোসেন সরকার।
টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির আবদুর রহমান জয়লাভ করেন। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মীর মাজেদুর রহমান এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান জয়লাভ করেন এবং পরে তিনি জাতীয়পার্টি ছেড়ে বিএনপিতে যোগদান করেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মেজর জেনারেল(অব.) মাহমুদুল হাসান জয়লাভ করেন। একই সালের জুনে অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের আব্দুল মান্নান নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মেজর জেনারেল(অব.) মাহমুদুল হাসান এমপি নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির(এরশাদ) আবুল কাশেম জয়লাভ করেন। কিন্তু ভোট কারচুপির অভিযোগে মেজর জেনারেল(অব.) মাহমুদুল হাসান মামলা দায়ের করেন। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে জাতীয় পার্টির আবুল কাশেমের এমপি পদ রহিত করে ২০১২ সালের ৩০ মে বিএনপির মেজর জেনারেল(অব.) মাহমুদুল হাসানকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ছানোয়ার হোসেন নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ছানোয়ার হোসেন এমপি নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ আসনটি তাদের শরিক দল জাতীয়পার্টিকে ছেড়ে দয় এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ছানোয়ার হোসেন এমপি নির্বাচিত হন।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন যৌথভাবে পান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান ও জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছাইদুল হক ছাদু। পরে হাইকমান্ডের নির্দেশে ছাইদুল হক ছাদু মানোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এবারও তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশি। এদিকে ২০০১ সালের অষ্টম, ২০০৮ সালের নবম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফরহাদ ইকবাল। মনোনয়ন না পেলেও দলীয় প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। জেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি খন্দকার আহমেদুল হক সাতিল, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খালেদা পান্নার ছেলে জিয়াউর রহমান (প্লেটো) এবং সৈয়দ খালেদ মোস্তফা বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর থেকে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক এবং যুবদল ও ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এ আসনের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নানাবিধ দলীয় কর্মসূচি ও সামাজিক অনুষ্ঠানে সদলবলে যোগ দিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীতা ঘোষণা করছেন- বিএনপির ৩১ দফা সম্বলিত পোস্টার বিলাচ্ছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে টানছেন, মনোনয়ন পেলে এলাকার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল ছাত্র রাজনীতি থেকে দলের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দলীয় মনোনয়নের আশায় কাজ করছেন। এবার তিনি দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে আশা করেন। তিনি প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিএনপির ৩১দফা বাস্তবায়নের যৌক্তিকতা তুলে ধরে স্বীয় অবস্থান শক্ত করছেন।
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মূলত দো’টানায় পড়ে গেছেন। একদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, অন্যদিকে ঘরের ছেলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল। গত বছরের ৫ আগস্টের পর উদয় হওয়া সুলতান সালাউদ্দিন টুকু নিঃসন্দেহে জাতীয় নেতা। তার নেতৃত্বে টাঙ্গাইলের বিএনপির নেতাকর্মীরা সুসংগঠিত হয়ে কাজ করার প্রয়াস পাবে এটাই স্বাভাবিক। এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেলে তিনি হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এমপি হওয়ার প্রত্যাশায় দলীয় মনোনয়ন চেয়ে না পেয়েও দুঃসময়ে দলের হাল ধরে রাখা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল তাদের ঘরের ছেলে। গত ১৭ বছর সরকারের জেল-জুলুম ও মামলা-হামলা মোকাবিলা করে দলকে তিনি আগলে রেখেছেন। শহরের প্রাণকেন্দ্রে সভা-সমাবেশ তো দূূরের কথা বিএনপির নাম নিয়ে দাঁড়ানো যখন সম্ভব হয়নি তখনও ফরহাদ ইকবাল শহরতলীর বিভিন্ন মাঠ বা রাস্তায় তার অনুসারীদের নিয়ে দলীয় কর্মসূচি পালন করেছেন। এবার ফরহাদ ইকবাল দলের অনুকম্পা চান। তবে জাতীয়পার্টি এখনও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি। জাপা নির্বাচনে এলে দলের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক দলের মনোনয়ন চাইবেন। জাতীয়পার্টি নির্বাচনে এলে বিএনপির প্রার্থীকে জাপা প্রার্থীর সঙ্গে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীনও দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় গণসংযোগ করছেন। দলের মনোনয়ন পেলে স্থানীয় সমস্যা সমাধানে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছেন। জেলা ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি খন্দকার আহমেদুল হক সাতিল ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চান। ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে আওয়ামীলীগে যোগ দেওয়ার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার উপর নির্যাতনের খর্গ নেমে আসে। এক পর্যায়ে ফ্যাসিস্টরা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। অবস্থা বেগতিক দেখে তিনি বিদেশে পাড়ি জমান। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগের পতনের পর দেশে ফিরে এসে গণসংযোগে নেমেছেন।
এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী দলের জেলা আমির আহসান হাবীব মাসুদ। এনসিপি থেকে প্রার্থী হবেন দলের কেন্দ্রীয় সংগঠক আজাদ খান ভাসানী। তিনি মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নাতি। তিনি মওলানা ভাসানীর ইমেজ কাজে লাগাতে ব্যস্ত। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা শাখার সভাপতি আকরাম আলী প্রার্থী হবেন। খেলাফত মজলিসের প্রার্থী দলের জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মো. ছানোয়ার হোসেন সরকার।
রাজনীতি

না ফেরার দেশে চলে গেলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম মারা গেছেন।
১০ অক্টোবর, ২০২৫ শুক্রবার বিকাল ৫টায় রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে মাজহারুল ইসলাম এক ফেসবুক পোস্টে জানান, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের শারীরিক অবস্থা গুরুতর অবনতির কারণে তাকে শুক্রবার সকালে আবারও লাইফসাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। স্যারের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসকরা প্রাণপণ চেষ্টা করছেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি হাসপাতালে ভীড় না করে স্যারের জন্য প্রার্থনা ও মঙ্গল কামনার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর) ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে যাওয়ার পথে গাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। গাড়িচালক একজনের সহায়তায় তাকে প্রথমে মোহাম্মদপুরের একটি হাসপাতালে নেন। পরে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান, তার ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এরপর অস্ত্রোপচার করে দুটি রিং পরানো হয় তাকে।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ১৮ জানুয়ারি ১৯৫১ সালে সিলেট শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সৈয়দ আমীরুল ইসলাম এবং মাতা রাবেয়া খাতুন। তিনি সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক পাস করেন। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন সিলেট এমসি কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন ১৯৭১ ও ১৯৭২ সালে। ১৯৮১ সালে কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইয়েটস-এর কবিতায় ইমানুয়েল সুইডেনবার্গের দর্শনের প্রভাব বিষয়ে পিএইচডি করেন।
তিনি সত্তরের দশকে লেখালেখি আরম্ভ করেছিলেন, এরপর স্বেচ্ছাবিরতির কারণে বাংলা কথাসাহিত্যে আত্মপ্রকাশ ঘটে আশির দশকে। সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম নিয়মিত কলাম লিখেছন/ একদম শুরুর দিবে সংবাদ সাময়িকীতে, ‘অলস দিনের হাওয়া’ তাকে পরিচিত করে তোলে। প্রধানত বিদেশি সাহিত্য ও সাহিত্যিকদের নিয়ে আলোচনা করতেন তিনি।
তার গল্পগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে— স্বনিরবাচিত শ্রেষ্ঠ গল্প (১৯৯৪), থাকা না থাকার গল্প (১৯৯৫), কাচ ভাঙ্গা রাতের গল্প (১৯৯৮), অন্ধকার ও আলো দেখার গল্প (২০০১), প্রেম ও প্রার্থনার গল্প (২০০৫)। সুখদুঃখের গল্প, বেলা অবেলার গল্প।
জাতীয়

মব ভায়োলেন্সকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সাথে মিলিয়ে ফেলা হচ্ছে: উপদেষ্টা মাহফুজ আলম
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলম বলেছেন, বিগত সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে গণমাধ্যমের ভূমিকার আত্মসমালোচনা হওয়া প্রয়োজন। একইসঙ্গে গণমাধ্যমকে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ হতে হবে। এর মাধ্যমে গণমাধ্যমের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরে আসবে।
৯ অক্টোবর, ২০২৫ বৃহস্পতিবার ঢাকায় প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) অডিটোরিয়ামে 'গণমাধ্যমে জুলাই ও তারপর' শীর্ষক প্রকাশনা উৎসব ও আলোচনা সভায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে গণমাধ্যমে যে অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্ব হয়েছে, তা তদন্ত করার জন্য গত মে মাসের শেষের দিকে (অথবা, জুন মাসের শুরুতে) জাতিসংঘকে পত্র দেওয়া হয়েছিল। গত আগস্ট মাসে জাতিসংঘ থেকে ইউনেস্কোর সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়েছে। ইউনেস্কো বিগত সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে গণমাধ্যমের অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্বের বিষয়ে তদন্তে আগ্রহ দেখায়নি। ইউনেস্কো সাংবাদিকদের আচরণবিধি (কোড অভ্ কনডাক্ট) তৈরিতে আগ্রহ প্রকাশ করে।
উপদেষ্টা বলেন, যেসব গণমাধ্যম বিগত সরকারের শাসনামলে অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্ব করেছে, সেসব গণমাধ্যমের মালিক ও সম্পাদককে অবশ্যই ক্ষমা চাওয়া উচিত, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ হওয়া উচিত, জনগণের কাছে আসা উচিত।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে টেলিভিশন চ্যানেলের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো কী ভূমিকা রেখেছে, সে বিষয়ে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করার জন্য তিনি পিআইবি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এই গবেষণার কাজ শেষ করারও তাগিদ দেন তিনি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যেসব গণমাধ্যম নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছেন, উপদেষ্টা সেসব গণমাধ্যমের মালিক ও সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান।
বেসরকারি নতুন টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা টেলিভিশনে নতুন মুখ দেখতে চান না, তারাই টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন নিয়ে হাহাকার করছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা নতুন মিডিয়া দিতে চাই। এই নতুন মিডিয়ার মাধ্যমে নতুন মুখ আসবে, নতুন ন্যারেটিভ (বয়ান) আসবে, নতুন বক্তব্য আসবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর পিআইবির প্রকাশিত গ্রন্থের প্রশংসা করে তিনি বলেন, সার্মথ্য অনুযায়ী পিআইবি বেশ ভালো প্রকাশনা করেছে। এসব প্রকাশনা ইতিহাস চর্চায় কাজে দেবে। একইসঙ্গে রেফারেন্স হিসেবেও ব্যবহৃত হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর পাঁচটি গ্রন্থ প্রকাশ করায় উপদেষ্টা পিআইবি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চিন্তাবিদ ও লেখক সলিমুল্লাহ খান বলেন, পৃথিবীতে কোনো বিপ্লব ষোলা আনা সফল হয় না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সফলতা হলো মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছেন। ইতিহাস পর্যালোচনা করে তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে অভ্যুত্থান-পরবর্তী হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা কম। তিনি দেশের স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অর্থনীতিবিদ মাহ্বুব উল্লাহ্ বলেন, ইতিহাস থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে মুছে ফেলা যাবে না। এই গণঅভ্যুত্থানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি আরও বলেন, অনেকে মনে করেন অভ্যুত্থানের পর সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে, এই ধারণা সঠিক নয়। এই দেশকে গড়ে তোলা সহজ কাজ নয়। গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তিনি জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন গবেষক ও লেখক সাইমুম পারভেজ। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। আলোচনা সভায় সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন পিআইবি পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ফিরদৌস আজিম। অনুষ্ঠানে পিআইবি প্রকাশিত ৫টি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। গ্রন্থসমূহ হলো : 'তারিখে জুলাই', 'জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ও রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবিতা', 'নিরীক্ষা : অভ্যুত্থান মিডিয়া বয়ান', 'জুলাই গণ-অভ্যুত্থান যে সাংবাদিকদের হারিয়েছি' ও 'ঘটনাপঞ্জি ২০২৪'। মোড়ক উন্মোচনের পর অনুষ্ঠানে বাংলাফ্যাক্টডটকম (banglafact.com) ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করা হয়। সূত্র : মাহফুজ আলমের ওয়াল থেকে

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর পিআইবির প্রকাশিত গ্রন্থের প্রশংসা করে তিনি বলেন, সার্মথ্য অনুযায়ী পিআইবি বেশ ভালো প্রকাশনা করেছে। এসব প্রকাশনা ইতিহাস চর্চায় কাজে দেবে। একইসঙ্গে রেফারেন্স হিসেবেও ব্যবহৃত হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর পাঁচটি গ্রন্থ প্রকাশ করায় উপদেষ্টা পিআইবি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।

জাতীয়

ইসিতে এনসিপির দৃঢ় অবস্থান: শাপলা প্রতীক ছাড়া নিবন্ধন নয়
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
শাপলা প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে টানাপোড়েনের মধ্যেই নিজেদের দাবিতে অনড় অবস্থান নিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী জানিয়েছেন, শাপলা প্রতীক পাওয়ার দাবিতে এনসিপি কোনোভাবেই পিছপা হবে না। আইনি বা রাজনৈতিক দিক থেকে এই প্রতীক দিতে কোনো বাধা নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী। বৈঠকটি চলে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই আড়াই ঘণ্টার মধ্যে সিইসি দুই ঘণ্টা নিশ্চুপ ছিলেন। কেন শাপলা প্রতীক দেওয়া যাবে না, কমিশন কোনো আইনি ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে নির্বাচন কমিশন শাপলা প্রতীক থেকে সরে আসছে। কিন্তু শাপলা আমাদের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক পরিচয়ের প্রতীক। এটি ছাড়া আমরা নিবন্ধনে যাচ্ছি না। কমিশনের সামনে এখন দুটি পথ— হয় শাপলা প্রতীক দিতে হবে, নয়তো একই ধরনের প্রতীক যেমন ধান বা সোনালী আঁশ বাতিল করতে হবে।’
নাসীরুদ্দীন আরও বলেন, ‘শাপলা প্রতীক না দিলে এটি হবে আমাদের সাংবিধানিক অধিকারে হস্তক্ষেপ। আমরা গণতান্ত্রিক উপায়ে আমাদের অধিকার আদায় করব, তবে আপস করব না। শাপলা ছাড়া এনসিপির নিবন্ধন হবে না।’
এর আগে ৭ অক্টোবর এনসিপি পুনরায় নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠিয়ে শাপলা প্রতীকের দাবি জানায়। সেই চিঠির সঙ্গে তারা বিভিন্ন নকশায় আঁকা শাপলার নমুনা ছবি জমা দেয়। একইসঙ্গে ইসির দেওয়া ৫০টি বিকল্প প্রতীকের প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করে দলটি।
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকের সঙ্গে সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিকভাবে গভীরভাবে যুক্ত। তাই এই প্রতীকই এনসিপির আদর্শিক প্রতিফলন। দলটির নেতারা বলেন, গণতান্ত্রিক নীতি ও সাংবিধানিক অধিকারের প্রশ্নে তারা শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবেন।
শাপলা প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে টানাপোড়েনের মধ্যেই নিজেদের দাবিতে অনড় অবস্থান নিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী জানিয়েছেন, শাপলা প্রতীক পাওয়ার দাবিতে এনসিপি কোনোভাবেই পিছপা হবে না। আইনি বা রাজনৈতিক দিক থেকে এই প্রতীক দিতে কোনো বাধা নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।
রাজনীতি

দেশের আভ্যন্তরীন ও আন্তর্জাতিক সব বিমানবন্দরে সতর্কতা জারী
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
লন্ডনের হিথ্রো, ব্রাসেলস ও বার্লিন বিমানবন্দরে একযোগে সাইবার হামলার পর বাংলাদেশেও বাড়ানো হয়েছে সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলায় দেশের সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এর অংশ হিসেবে বিমানবন্দরগুলোকে পাঠানো হয়েছে ১০ দফা নিরাপত্তা নির্দেশনা।
বেবিচকের সদস্য (পরিকল্পনা ও পরিচালনা) এয়ার কমডোর আবু সাঈদ মেহবুব খানের স্বাক্ষরিত নির্দেশনাপত্রটি গত সপ্তাহে দেশের সব বিমানবন্দর প্রধান ও সিভিল এভিয়েশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়। বিষয়টি বুধবার (৯ অক্টোবর) নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন বিমানবন্দরে সম্প্রতি সাইবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশে বিমান পরিবহন কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। এজন্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার, সন্দেহজনক ই-মেইল বা লিংক থেকে বিরত থাকা, সফটওয়্যার ও অ্যান্টিভাইরাস নিয়মিত আপডেট রাখা, পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার না করা এবং অফিসিয়াল ডিভাইসে ব্যক্তিগত অ্যাপ ইনস্টল না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (এমএফএ) ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
বেবিচক নির্দেশনায় আরও বলা হয়, কোনো ধরনের সাইবার নিরাপত্তা–সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে বেবিচকের সিএএবি সার্ট টিম, আইটি বিভাগ এবং জাতীয় সাইবার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমকে অবহিত করতে হবে।
বেবিচকের সূত্র জানিয়েছে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সাইবার হামলার সম্ভাব্য ঝুঁকি ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে জানানো হয়, লন্ডনের কিছু বিমানবন্দরে সাম্প্রতিক হামলার পর সেখানে ফ্লাইট পরিচালনা সাময়িকভাবে বন্ধ করতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশে আগাম সতর্কতা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় আরও উল্লেখ করা হয়, বেবিচকের ওয়েবসাইট সম্প্রতি সাইবার হামলার শিকার হয়েছিল। এ কারণে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি জরুরি ভিত্তিতে বেবিচকের সাইবার ঝুঁকি মূল্যায়নের পরামর্শ দিয়েছে। এজন্য দ্রুত একটি অভিজ্ঞ ও স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান নিয়োগের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সাইবার হামলার ঝুঁকি এখন আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন খাতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশে আগাম সতর্কতা জারি করায় বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হবে বলে তারা আশা করছেন।
লন্ডনের হিথ্রো, ব্রাসেলস ও বার্লিন বিমানবন্দরে একযোগে সাইবার হামলার পর বাংলাদেশেও বাড়ানো হয়েছে সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলায় দেশের সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এর অংশ হিসেবে বিমানবন্দরগুলোকে পাঠানো হয়েছে ১০ দফা নিরাপত্তা নির্দেশনা।
জাতীয়

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ আর নেই
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
স্থানীয় সরকার ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা বিশিষ্ট প্রশাসন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ আর নেই।
৮ অক্টোবর, ২০২৫ বুধবার রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদের জামাতা লেফটেন্যান্ট কর্নেল সরোয়ার জাহান জানান, তিনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসকরা তাঁর হৃদ্যন্ত্রে তিনটি ব্লক শনাক্ত করেন। পাশাপাশি ফুসফুসেও সংক্রমণ ছিল। বুধবার বিকেলে রিং পরানোর অস্ত্রোপচারের সময় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। রাত সাড়ে নয়টার দিকে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তোফায়েল আহমেদ ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান। দীর্ঘ পেশাগত জীবনে তিনি স্থানীয় সরকারকে বিকেন্দ্রীকরণ ও গণতান্ত্রিক করার পক্ষে নিরলসভাবে কাজ করেছেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় তিনি স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৬-২০০৭ সালে ‘স্থানীয় সরকার কমিশন’-এরও সদস্য ছিলেন তিনি।
স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ২০২৪ সালের ১৮ নভেম্বর তাঁকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। তাঁর নেতৃত্বে গঠিত কমিশনটি গত ২০ এপ্রিল দুই খণ্ডে বিভক্ত চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৎকালীন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে তুলে দেয়।
তোফায়েল আহমেদ ছিলেন স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার বিকাশ ও নির্বাচন সংস্কারে দেশের অন্যতম গবেষক ও নীতিনির্ধারক পরামর্শদাতা। তাঁর লেখালেখি, পরামর্শ ও চিন্তাধারা বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব ফেলেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ফতেহপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।
স্থানীয় সরকার ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা বিশিষ্ট প্রশাসন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ আর নেই।
জাতীয়

মধ্যপ্রাচ্যে ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় আট বাংলাদেশী নিহত
টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় আট বাংলাদেশী শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
৮ অক্টোবর, ২০২৫ বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে দেশটির দুকুম সিদরা এলাকায় মাছবাহী একটি কনটেইনার ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মাইক্রোবাসে থাকা নয়জন বাংলাদেশি শ্রমিক মাছ ধরতে সমুদ্রের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন।
ওমানের রাজধানী মাস্কাটে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) আসাদুল হক গণমাধ্যমকে জানান, চালকসহ নয়জন বাংলাদেশি শ্রমিক মাস্কাট থেকে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দুকুম সিদরার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মাছবাহী কনটেইনার ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আটজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং চালক গুরুতর আহত হন। আহত চালককে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের পর মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়, ফলে উদ্ধারকাজে বেশ সময় লাগে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মাস্কাটে বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নিহতদের মরদেহ দুকুমের বিভিন্ন হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ওমানে বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, নিহতদের মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিহতদের আনুষ্ঠানিক পরিচয় প্রকাশ করা না হলেও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের বেশিরভাগই চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দা।
সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মংচিংনু মারমা বলেন, “ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় আমাদের উপজেলার সাতজন প্রবাসী নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। নিহতদের পরিবারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।”
স্থানীয় গণমাধ্যম ও প্রবাসী সংগঠনের সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে আছেন আমিন সওদাগর, আরজু, রকি, বাবলু, শাহাবউদ্দিন, জুয়েল, রনি ও আলাউদ্দিন।
দূতাবাসের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে সহায়তা এবং মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় আট বাংলাদেশী শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
৮ অক্টোবর, ২০২৫ বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে দেশটির দুকুম সিদরা এলাকায় মাছবাহী একটি কনটেইনার ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মাইক্রোবাসে থাকা নয়জন বাংলাদেশি শ্রমিক মাছ ধরতে সমুদ্রের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন।
আন্তর্জাতিক

দীর্ঘ ৭ বছর পর সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের সমাধিতে খালেদা জিয়া
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের সমাধিতে কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া করেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
৮ অক্টোবর, ২০২৫ বুধবার রাত সাড়ে ১০টার পর রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রওনা হয়ে রাত ১১টার দিকে তিনি চন্দ্রিমা উদ্যানে পৌঁছান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
দলের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বেগম খালেদা জিয়ার এই সফর ছিল সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত এবং হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্ত। একাধিক নেতা জানান, কারো কোনো পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই তিনি স্বামীর সমাধি জিয়ারতের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতা তাঁর সঙ্গে চন্দ্রিমা উদ্যানে যান।
একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, “নিজের স্বামীর সমাধি জিয়ারত করতে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।” অন্য এক নেতার ভাষ্য, “২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারাগারে যাওয়ার আগে তিনি সর্বশেষ সমাধি জিয়ারত করেছিলেন। এর পর এতদিন পর আবার যাওয়া সত্যিই আবেগঘন একটি মুহূর্ত।”
বেগম জিয়ার সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ দলের আরও কয়েকজন সিনিয়র নেতা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় চন্দ্রিমা উদ্যানে ছাত্রদল ও যুবদলের কিছু নেতাকর্মীকেও দেখা যায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, “বুধবার রাতে বেগম জিয়া হঠাৎ স্বামীর সমাধি জিয়ারতের কথা বলেন। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিয়ে তাঁর সঙ্গে সেখানে যাই। এটি তাঁর ব্যক্তিগত ও আবেগঘন একটি সিদ্ধান্ত ছিল—রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্য নয়।”
খালেদা জিয়া কিছু সময় সেখানে অবস্থান করে কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া করেন। এরপর রাতেই তিনি পুনরায় গুলশানের ফিরোজায় ফিরে আসেন।
বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের সমাধিতে কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া করেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
জাতীয়

টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী ১৮
নিজস্ব প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) সংসদীয় আসনটি নাগরপুর উপজেলার ১২টি ও দেলদুয়ার উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি ১৮ জন। তারা সবাই মাঠ পর্যায়ে বিএনপির ৩১দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি গণসংযোগ করছেন। সভা-সমাবেশ ও সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। একই সঙ্গে বিএনপির হাইকমান্ডের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশিদের মধ্যে দুজন যুক্তরাজ্য প্রবাসী।
অনেকেই বলছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান তাদেরকে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর পাশাপাশি মাঠে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের আব্দুল মান্নান নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নূর মুহাম্মদ খান এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির নূর মুহাম্মদ খান নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির নূর মুহাম্মদ খান নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির খন্দকার আবু তাহের নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির খন্দকার আবু তাহের নির্বাচিত হন।
একই সালের জুন মাসে অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির গৌতম চক্রবর্তী দ্বিতীয়বার এমপি নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বীরমুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আব্দুল বাতেন নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়নে খন্দকার আব্দুল বাতেন পুনরায় এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের আহসানুল ইসলাম টিটু দ্বিতীয়বার এমপি নির্বাচিত হন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সাবেক মন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তিনি কয়েক বছর আগে পরলোকগমণ করেন। এবার তার স্ত্রী দিপালী চক্রবর্তী মনোনয়ন প্রত্যাশি। এ আসন থেকে বিএনপির আরও ১৭ প্রার্থী মনোনয়ন চাইছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশিরা হচ্ছেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী নূর মুহাম্মদ খান, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এবং সাবেক ছাত্রদল ও যুবদল নেতা মো. রবিউল আওয়াল লাভলু, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হল শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সম্মানিত সদস্য মীর আবুল কালাম আজাদ ওরফে রতন, জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট আলী ইমাম তপন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. শরিফ উদ্দিন আরজু, ঢাকা মহানগর উত্তরের জাসাস- এর আহ্বায়ক ও নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. শরীফুল ইসলাম স্বপন, উপজেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট মো. ইকবাল হোসেন খান, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল ইসলাম রেজা, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা রাজীব আহমেদ, টাঙ্গাইল জেলা জিয়া পরিষদের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শামীম চৌধুরী ওরফে বাবু চৌধুরী, দেলদুয়ার উপজেলা বিএনপি নেতা মো. জুয়েল সরকার, যুক্তরাজ্যের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী সমাজসেবক মোহাম্মদ মাইনুল আলম খান কনক, দেলদুয়ার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম ফেরদৌস হোসেন। এছাড়া নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ ছালাম ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হবিও দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।
সরেজমিনে বিএনপির নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, সাবেক মন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তীর মৃত্যুর পর অনেকেই বিএনপি দলীয় মনোনয়ন চাইছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশি গৌতম চক্রবর্তীর স্ত্রী দিপালী চক্রবর্তী এবং সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নূর মুহাম্মদ খান এখনও নির্বাচনি প্রচারণায় নামেন নি। গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর মনোনয়ন প্রত্যাশিদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। সবাই বিএনপির হাইকমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছে। ইতোপূর্বে তাদের কেউ কেউ দলীয় মনোনয়ন চেয়ে না পেয়ে দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশির তালিকা জেলার মধ্যে এ আসনে বেশি হলেও তারা প্রত্যেকেই দলীয় সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাবেন বলে জানিয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি নেতারা প্রতিদিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত দলীয় সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন।
গণসংযোগের দৌঁড়ে জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি পরিশ্রমী নেতা মো. রবিউল আওয়াল লাভলু, ক্লিন ইমেজের অধিকারী বিশিষ্ট শিল্পপতি আতিকুর রহমান আতিক এবং নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক ত্যাগী নেতা মীর আবুল কালাম আজাদ ওরফে রতন অন্যদের চেয়ে প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন। এ তিন নেতা কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. শরিফ উদ্দিন আরজু এলাকায় ত্যাগী নেতা হিসেবে পরিচিত। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার আন্তরিকতা প্রশ্নাতীত। মনোনয়ন প্রত্যাশিরা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনি মাঠে ভোটের আমেজ সৃষ্টি করেছেন। জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট আলী ইমাম তপন ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত গৌতম চক্রবর্তীর স্ত্রী দিপালী চক্রবর্তী সহ অন্য প্রার্থীরা সপ্তাহ বা দুই সপ্তাহের ব্যবধানে নিজস্ব সমাবেশ করছেন। পাড়া-মহল্লার চায়ের আড্ডা, হাট-বাজার ও জনবহুল স্থানে ঘুরে ঘুরে ৩১ দফা সম্বলিত লিফলেট বিলি করেছেন। পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন টাঙিয়ে নিজেদের প্রার্থীতা জানান দিচ্ছেন।
অবস্থাদৃষ্টে প্রতীয়মান হচ্ছে, এ আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেতে জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি পরিশ্রমী নেতা মো. রবিউল আওয়াল লাভলু, ক্লিন ইমেজের অধিকারী বিশিষ্ট শিল্পপতি আতিকুর রহমান আতিক এবং নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক ত্যাগী নেতা মীর আবুল কালাম আজাদ ওরফে রতন, নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. শরিফ উদ্দিন আরজুর মধ্যে প্রচারণার যুদ্ধ জমে ওঠেছে। তবে কেন্দ্রীয় বিএনপিও মাঠ পর্যায়ে খোঁজখবর নিচ্ছে। সাংগঠনিক তদন্ত টীম মাঠ জরিপ করছে। তবে মিরাকল ঘটিয়ে উল্লেখিত মনোনয়ন প্রত্যাশিদের টেক্কা দিয়ে নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ ছালাম দলীয় মনোনয়ন পেলে আশ্চর্যের কিছু থাকবেনা বলে জানাগেছে।
টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ডা. একেএম আব্দুল হামিদ। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আখিনুর মিয়াকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। খেলাফত মজলিসের প্রার্থী দলের অঙ্গ সংগঠন শ্রমিক মজলিসের জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল মান্নান শেখ। এ ছাড়া এনসিপি’র মেজর (অব.) মো. সালাউদ্দিন, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর সদস্য ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার কবীর হোসেন নিজ নিজ দল থেকে মনোনয়ন চাইবেন।
টাঙ্গাইল-৬(নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের দুই উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৪৭ হাজার ৮১৫জন। এরমধ্যে নাগরপুর উপজেলায় মোট ভোটার দুই লাখ ৬৩ হাজার ৫৭জন। পুরুষ এক লাখ ৩৩ হাজার ৫২ জন, নারী ভোটার এক লাখ ২৯ হাজার ৯৮১ জন, তৃতীয় লিঙ্গের(হিজরা) ভোটার রয়েছে ৪ জন। দেলদুয়ার উপজেলায় মোট ভোটার এ লাখ ৮৪ হাজার ৭৫৮ জন। পুরুষ ৯৩ হাজার ৫৮৪ জন, নারী ভোটার ৯১ হাজার ১৭১ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের (হিজরা) ভোটার রয়েছে ৩ জন।
টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) সংসদীয় আসনটি নাগরপুর উপজেলার ১২টি ও দেলদুয়ার উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি ১৮ জন। তারা সবাই মাঠ পর্যায়ে বিএনপির ৩১দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি গণসংযোগ করছেন। সভা-সমাবেশ ও সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। একই সঙ্গে বিএনপির হাইকমান্ডের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশিদের মধ্যে দুজন যুক্তরাজ্য প্রবাসী।
অবস্থাদৃষ্টে প্রতীয়মান হচ্ছে, এ আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেতে জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি পরিশ্রমী নেতা মো. রবিউল আওয়াল লাভলু, ক্লিন ইমেজের অধিকারী বিশিষ্ট শিল্পপতি আতিকুর রহমান আতিক এবং নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক ত্যাগী নেতা মীর আবুল কালাম আজাদ ওরফে রতন, নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. শরিফ উদ্দিন আরজুর মধ্যে প্রচারণার যুদ্ধ জমে ওঠেছে। তবে কেন্দ্রীয় বিএনপিও মাঠ পর্যায়ে খোঁজখবর নিচ্ছে। সাংগঠনিক তদন্ত টীম মাঠ জরিপ করছে। তবে মিরাকল ঘটিয়ে উল্লেখিত মনোনয়ন প্রত্যাশিদের টেক্কা দিয়ে নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ ছালাম দলীয় মনোনয়ন পেলে আশ্চর্যের কিছু থাকবেনা বলে জানাগেছে।